সিএএ-র প্রতিবাদে জাফরাবাদ মেট্রো স্টেশনের কাছে অবরোধে বসেছেন প্রায় ২০০ মহিলা।
হাইলাইটস
- জাফরাবাদ মেট্রো স্টেশনের কাছে অবরোধে বসেছেন প্রায় ২০০ মহিলা
- সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে এই অবরোধ
- রাস্তা অবরোধমুক্ত করার প্রয়াস চালানো হচ্ছে বলে জানাচ্ছে পুলিশ
নয়াদিল্লি: উত্তর-পূর্ব দিল্লির (Delhi) জাফরাবাদে এক গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা শনিবার রাত থেকে অবরোধ করে রেখেছেন শতাধিক মহিলা প্রতিবাদীরা। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (CAA) প্রতিবাদে এই অবরোধ বলে জানিয়েছে দিল্লি পুলিশ। রবিবার সকাল থেকে সেই রাস্তা অবরোধমুক্ত করার প্রয়াসও চালানো হচ্ছে বলে জানাচ্ছে পুলিশ। এই মহিলা প্রতিবাদীরা সমর্থন করছেন ভীম আর্মি প্রধান চন্দ্রশেখর আজাদের ভারত বনধকেও। প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্ট এমাসের গোড়ায় জানিয়েছিল, সরকারি চাকরির জন্য কোটা ও সংরক্ষণ কোনও মৌলিক অধিকার নয়। সেই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতেই বনধের আহ্বান করেছে ভীম আর্মি। শনিবার রাত থেকে জাফরাবাদ মেট্রো স্টেশনের কাছে অবরোধে বসেছেন প্রায় ২০০ মহিলা। তাঁদের জাতীয় পতাকা দুলিয়ে ‘আজাদি' স্লোগান দিতে দেখা গিয়েছে।
‘‘মেহবুবা মুফতি, আবদুল্লাহদের দ্রুত মুক্তির জন্য প্রার্থনা করছি'': রাজনাথ সিংহ
এক প্রতিবাদী স্পষ্ট জানাচ্ছেন, ‘‘আমরা সিএএ, এনআরসি থেকে স্বাধীনতা চাই।'' প্রতিবাদের কারণে মেট্রো স্টেশনটি সাময়িক ভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে।
রবিবার সকালে সিনিয়র পুলিশ আধিকারিক বেদপ্রকাশ সূর্য জানাচ্ছেন, রাস্তা খোলার ব্যাপারে পুলিশকর্মীরা আলোচনা করছেন প্রতিবাদীদের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘‘আমরা প্রতিবাদীদের সঙ্গে কথা বলে যাচ্ছি। এভাবে ওঁরা কোনও গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা আটকে রাখতে পারেন না। আমরা আধাসেনা বাহিনীকেও ডেকেছি।''
আপে যোগ দিতে চলেছেন প্রশান্ত কিশোর! যোগ দিলে স্বাগত তাঁকে, জানালেন আপ নেতা
এই অবরোধ শাহিনবাগের পরে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে রাজধানীতে হওয়া সাম্প্রতিকতম অবরোধ। প্রসঙ্গত, ৭০ দিন অবরোধ চলার পর শনিবার খুলে দেওয়া হয় শাহিনবাগের রাস্তা।
গত ডিসেম্বরে শয়ে শয়ে প্রতিবাদী প্ল্যাকার্ড ও জাতীয় পতাকা নিয়ে অবরোধ শুরু করেন।
শনিবার রাতের অবরোধে প্রতিবাদীদের হাতে নীল ব্যান্ড লাগিয়ে জাফরাবাদ মেট্রো স্টেশনে ‘জয় ভীম' স্লোগানও দিতে দেখা যায়। গত ৯ ফেব্রুয়ারি শীর্ষ আদালত জানিয়েছিল, সরকারি চাকরির জন্য কোটা ও সংরক্ষণ কোনও মৌলিক অধিকার নয়। এর প্রতিবাদে রবিবার বিক্ষোভ দেখানোর পরিকল্পনা রয়েছে ভীম আর্মির।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনে আফগানিস্তান, পাকিস্তান, বাংলাদেশ থেকে ২০১৫ সালের আগে আগত অমুসলিম শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। সমালোচকদের মতে, এই আইন বৈষম্যমূলক এবং সংবিধানে বর্ণিক দেশের ধর্মনিরপেক্ষ ভাবমূর্তির পরিপন্থী।
2184296
Reported by Sayed Ali Abbas Naqvi