হাইলাইটস
- ২৭ দিনে পড়ল এসএসসি-র অনশন, নিজেদের অবস্থানে এখনও অনড় চাকরিপ্রার্থীরা
- সরকারের তরফ থেকে অনশন প্রত্যহাররে অনুরোধ করা হয়েছে
- চাকরিপ্রার্থীরা বলছেন নিয়োগের দাবি না মানা পর্যন্ত অনশন চলবে
কলকাতা: স্কুল শিক্ষক নিয়োগ ঘিরে তৈরি হওয়া জটিলতার জেরে তৈরি হওয়া অনশন (Hunger Strike) ২৭ দিনে পড়ল। নিজেদের দাবিতে অনড় পড়ুয়ারা এখনও অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন। সরকারের তরফ থেকে অনশন প্রত্যহাররে অনুরোধ করা হয়েছে। করা হয়েছে কমিটিও (Govt Committee)। কিন্তু চাকরিপ্রার্থীরা বলছেন নিয়োগের দাবি না মানা পর্যন্ত অনশন চলবে। এরই মধ্যে রাজ্য সরকাররে বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ এনেছেন আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁদের দাবি পুলিশ মাথার উপরে থাকা ত্রিপল খুলে দিয়েছে। তাছাড়া অনশন তুলে নিয়ে দ্রুত জায়গা খালি করার জন্য প্রশাসনের (State Administration) তরফে চাপ দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ চাকরিপ্রার্থীদের অনেকের।
জট কাটাতে পাঁচ সদস্যের কমিটি গড়েছে রাজ্য সরকার। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় গত শুক্রবার বিকেলে সাংবাদিকদের একথা জানান। নিয়োগের দাবিতে শ'দুয়েক আবেদনকারী ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য আন্দোলন এবং ধর্না চালাচ্ছেন। আন্দোলনকারীদের দাবি, বিপুলসংখ্যক শিক্ষকের পদ খালি রয়েছে কিন্তু কর্তৃপক্ষ কিছুতেই যাবতীয় প্রয়োজনীয় যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও তাঁদের নিয়োগের জন্য ইন্টারভিউতে ডাকছেন না। তবে শিক্ষামন্ত্রী জানান কী কী যোগ্যতা থাকলে চাকরি পাওয়া যাবে তা নির্দিষ্ট করা আছে। যোগ্য প্রার্থীদের কেউই বঞ্চিত হবেন না। কিন্তু তিনি জানান আন্দোলনে এমন অনেকেই আছেন যাঁদের যোগ্যতা নেই।
দিন কয়েক আগে মঞ্চের পক্ষ থেকে একটি গণ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। তাতে অংশ নেন পরিচালক অনীক দত্ত থেকে শুরু করে অভিনেতা বাদশা মৈত্র সহ অনেকেই। তাছাড়া আন্দোলনের প্রায় শুরুর দিন থেকেই বহু বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব আন্দোলনকারীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। বিশেষ বার্তা পাঠিয়ে সহমর্মিতা জ্ঞাপন করেছেন শঙ্খ ঘোষও। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে দেখা করেছেন একাধিক বিরোধী দলের নেতা- নেত্রীরাও। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় জটের জন্য সকলেই দুষেছেন সরকারকে। তবে শিক্ষামন্ত্রীর দাবি নিয়োগ প্রক্রিয়া হচ্ছে নিয়ম মেনেই। এমতাবস্থায় রাজ্য সরকারের আধিকারিকদের নিয়ে তৈরি কমিটি কী সিদ্ধান্ত নেয় সেটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হতে চলেছে। অতি সম্প্রতি কবি সুবোধ সরকার থেকে শুরু করে গায়ক কবির সুমন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন।