অবশেষে খেলা ঘুরল। জিতে গেল ছাত্ররা।
কলকাতা: অবশেষে খেলা ঘুরল। জিতে গেল ছাত্ররা। ইতিহাস জানে, এই তরুণদের জয় ছিল অবশ্যম্ভাবী। সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, টানা চোদ্দদিন ধরে অনির্দিষ্টকালীন অনশন চলার পর হোস্টেল এবং অন্যান্য বিষয় নিয়ে ছাত্রদের রাখা সমস্ত দাবি মেনে নিল কলকাতা মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ। প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের সঙ্গেই, 2015-16, 2016-17 ও 2017-18 মরশুমের পড়ুয়াদেরও নতুন দশ তলার হোস্টেলটিতে রাখার সিদ্ধান্ত নিল মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ফলের রস খাইয়ে ছাত্রদের অনশন ভাঙালেন অধ্যক্ষ।
শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে বহু ঐতিহাসিক আন্দোলনের সাক্ষী থেকেছে এই বাংলা। সেই আন্দোলনগুলির সবকটির সঙ্গে ধারে ও ভারে একাসনে বসতে পারবে কি না মেডিকেল কলেজের ছ’জন ছাত্রের এই দাঁতে দাঁত চেপে থাকা লড়াই, তার উত্তর দেবে সময়। কিন্তু, এই আন্দোলনের মাধ্যমে একটি কঠোর ও কুর্নিশযোগ্য তর্জনী যে তারা তুলে ধরতে পারল সময়ের দিকে তাগ করে, তা মেনে নিচ্ছেন সকলেই।
p>
মেডিকেলের পড়ুয়াদের দাবি মেনে নেওয়ার খবরের আনন্দে সামিল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়াও। প্রখ্যাত লেখিকা ও চিকিৎসক দোলনচাঁপা দাশগুপ্ত বললেন, "ছাত্রদের এই লড়াই দেখিয়ে দিল, এখনও সব শেষ হয়ে যায়নি। এখনও আশা রাখা যায়"।
গোটা শহর জুড়ে জোরালো বর্ষণ গতকাল থেকেই। ছাত্রদের এই জয়ের খবর শোনার পর, কেউ কেউ বলে উঠলেন, এই বর্ষা আসলে ভরসারও!
চোদ্দদিন মানে দু’ সপ্তাহ ধরে চলেছে আন্দোলন। ধীরে ধীরে গোটা শহরকে পাশে পেয়েছেন আন্দোলোনকারীরা। বিরোধী দলের নেতা থেকে শুরু করে অনেকেই দেখা করেন পড়ুয়াদের সঙ্গে। প্রতিক্রিয়া দেন শঙ্খ ঘোষ, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের মতো মানুষরাও। সকলেই এক বাক্যে বলেছেন অনশন ঠিক না ভুল সেটা বিচার করে সময় নষ্ট করার কোনও মানে হয় না। যত দ্রুত সম্ভব অনশন প্রত্যাহাররে ব্যবস্থা হোক। শেষমেশ অনড় অবস্থান থেকে সরে এল কর্তৃপক্ষ। উঠে গেল অনশন। যাদবপুর আর প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের পর কলকাতা মেডিক্যাল কলেজেও জয় হল ছাত্র আন্দলনের।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদিত করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে.)