উস্কানিমূলক মন্তব্যের জন্য আহমেদাবাদ ক্রাইম ব্রাঞ্চ তাঁর বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার ধারা লাগিয়ে গ্রেফতার করেছিল।
হাইলাইটস
- ২০ দিন ধরে হার্দিক প্যাটেল কোথায়, আমি কিছুই জানি না
- শুক্রবার প্রশ্নও তুললেন হার্দিক-পত্নী কিঞ্জল প্যাটেল
- জানা গিয়েছে, ১১ ফেব্রুয়ারি টুইটারে সক্রিয় ছিলেন ওই পাতিদার নেতা
আহমেদাবাদ: ২০ দিন ধরে আমার স্বামী কোথায়? সে ব্যাপারে কিছু জানি না। শুক্রবার এমন অভিযোগ তুললেন হার্দিক-পত্নী (Hardik Patel's Wife) কিঞ্জল প্যাটেল। স্বামীর এই রহস্যময় অন্তর্ধানের (No Trace Since 20 Days) জন্য গুজরাত সরকারকে কাঠগড়ায় তুলেছেন কিঞ্জল প্যাটেল (Kinjal Patel)। ইন্টারনেটে শেয়ার করা এক ভিডিওতে কিঞ্জল প্যাটেলের প্রশ্ন, "২০ দিন ধরে আমার স্বামী কোথায় কেউ কিছু জানি না। পরিবার অত্যন্ত উদ্বেগের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। আমি মানুষের কাছে জানতে চাই, এমন বিরহ ক'জন সহ্য করতে পারবে? ২০১৭ সালে গুজরাত সরকার (Gujrat Government) বলেছিল পাতিদারদের বিরুদ্ধে থাকা সব মামলা সরকার প্রত্যাহার করবে। এখন তাহলে কেন শুধু হার্দিককে আক্রমণ করা হচ্ছে? পাতিদার আন্দোলনের Two Leaders Of Patidar Movement) অন্য দুই নেতা কেন বহাল তবিয়তে ঘুরে বেড়াচ্ছেন?"
ওমর আবদুল্লার মুক্তির বিষয়ে তাঁর বোনের আবেদনে প্রশাসনকে আদালতের নোটিস
সেই ভিডিওতে তাঁর আরও অভিযোগ, "সরকার চায় না হার্দিক মানুষের সঙ্গে কথা বলুক আর তাঁদের সমস্যাগুলো জনমানসে তুলে ধরুক।" তবে গুজরাত পুলিশ সূত্রে খবর, হার্দিকের কোনও খোঁজ পাওয়া না গেলেও ১১ ফেব্রুয়ারি উনি টুইটারে সক্রিয় ছিলেন। দিল্লি ভোটে জয়ের জন্য অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে টুইট করে শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন হার্দিক প্যাটেল। এই হার্দিকই আবার গত ১০ ফেব্রুয়ারি টুইট করে অভিযোগ করেছিলেন, গুজরাত সরকার তাঁকে জেলে পুড়তে চাইছে। রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট আসন্ন। তাই এভাবে বিরোধী কণ্ঠ রোধ করতে চাইছে প্রশাসন। সেই টুইটে তাঁর আরও অভিযোগ ছিল; ৪ বছর আগে লোকসভা ভোট চলাকালীন গুজরাত পুলিশ আমার বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছিল। আমি আহমেদাবাদের পুলিশ কমিশনারকে অনুরোধ করেছিলাম, কী ধারায় আমার বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়েছে, তাঁর নথি পাঠান। সে সময় বলা হয়েছিল সেই মামলা আমার বিরুদ্ধে ছিল না। তারপরেই এক রাতে পুলিশ আমার বাড়িতে গ্রেফতারি পরোয়ানা নিয়ে চড়াও হয়। কিন্তু সে সময় আমি বাড়িতে ছিলাম না।
বিহারে কানহাইয়া কুমারের কনভয় লক্ষ্য করে ছোঁড়া হল পাথর
জানুয়ারির ২৪ পর্যন্ত হার্দিক প্যাটেলের জেল হেফাজতের নির্দেশ ছিল। আহমেদাবাদের এক নিম্ন আদালত অবমাননার দায়ে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। সেই গ্রেফতারির দৌলতে তাঁর জেল হেফাজত হয়েছিল। সেই মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার ধারা চাপানো হয়েছিল। কিন্তু এরপর জামিনে মুক্তি পান পাতিদার আন্দোলনের প্রধান মুখ হার্দিক প্যাটেল। সেই মুক্তির পর একটা টুইট বার্তায় হার্দিক ঘোষণা করেছিল, তাঁর আন্দোলন জারি থাকবে।