Read in English
This Article is From Jan 07, 2020

‘‘আমি আপন‌াদের পাহারাদার, আপনাদের দিন ও রাত পাহারা দেব’’: মুখ্যমন্ত্রী

এদিনের জনসভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমরা কারও দয়ায় বেঁচে নেই। আমি কাউকে আমাদের অধিকার ছিনিয়ে নিতে দেব না।’’

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) নিজেকে দাবি করলেন মানুষের অধিকারের রক্ষাকর্তা হিসেবে। (ফাইল)

‘‘আমি আপনাদের পাহারাদার। মানুষের অধিকার কাউকে ছিনিয়ে নিতে দেব না।'' উত্তর ২৪ পরগনার পাথরপ্রতিমায় এক জনসভায় এই দাবি করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তিনি নিজেকে দাবি করলেন মানুষের অধিকারের রক্ষাকর্তা হিসেবে। জানালেন, জনগণের স্বার্থকে কেউ আঘাত করবে, তা তিনি হতে দেবেন না। সম্প্রতি এনআরসি (NRC) ও এনপিআর নিয়ে গোটা দেশে শুরু হওয়া বিতর্কের ঢেউ পৌঁছেছে পশ্চিমবঙ্গেও। মুখ্যমন্ত্রী বরাবরই এর বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। এদিনের জনসভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমরা কারও দয়ায় বেঁচে নেই। আমি কাউকে আমাদের অধিকার ছিনিয়ে নিতে দেব না।'' তিনি জানিয়ে দেন, ‘‘আমি আপনাদের পাহারাদার। কেউ আপনাদের অধিকার ছিনিয়ে নিতে এলে তাদের আমার মৃতদেহের উপর দিয়ে যেতে হবে। তার আগে নয়। এটা মোটেই সহজ হবে না। কোনও মিথ্যে গুজব, চক্রান্তে কান দেবেন না।''

কেন্দ্র আয়োজিত নাগরিকত্ব আইনের নৈশভোজে অংশ নেওয়ার কথা অস্বীকার বলিউডের প্রযোজকের

তিনি আরও বলেন, ‘‘ওরা আপনাদের অধিকার ছিনিয়ে নেবে আর আমরা বসে বসে ললিপপ খাব? তেমনটা হবে না। আমাদের আন্দোলন চলবে। মানুষের জয় হবে। ভাল থাকুন আর আপনাদের দুশ্চিন্তা আমার উপর ছেড়ে দিন। আমি আপনাদের দিন ও রাত পাহারা দেব।''

Advertisement

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনে আফগানিস্তান, পাকিস্তান, বাংলাদেশ থেকে ২০১৫ সালের আগে আগত অমুসলিম শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। সমালোচকদের মতে, এই আইন বৈষম্যমূলক এবং সংবিধানে বর্ণিক দেশের ধর্মনিরপেক্ষ ভাবমূর্তির পরিপন্থী।

গত মাসে পরপর কয়েকদিন টানা নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে মিছিলে হাঁটেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি রাজ্যে এনআরপির কাজও বন্ধ করে দিয়েছেন তিন‌ি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নও তাঁর রাজ্যে এই আইন লাগু করতে দেবেন না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

Advertisement

গত মাসে এনপিআর চালু করার কথা জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। কেবল অসম ছাড়া দেশের বাকি অংশে এটি হওয়ার কথা বলা হয়েছিল। এনপিআরকে এনআরসির পক্ষে প্রথম পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও দেশজুড়ে সংশোধিত আইনের প্রতিবাদের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানিয়ে দিয়েছেন, এনআরসি নিয়ে এখনও কোনও আলোচনা হয়নি। তাঁর দাবিকে সমর্থন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

প্রসঙ্গত, এনআরসি, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে কেন্দ্রকে বারংবার আক্রমণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 

Advertisement