This Article is From Nov 29, 2018

"অতীতের ভুলের জন্য আমাদের সরকারকে দোষ দেবেন না", দাউদ নিয়ে বললেন ইমরান

আজ এনডিটিভির প্রশ্নের উত্তরে ইমরান জানান যে, অতীতে কী হয়েছিল বা না হয়েছিল তার ভিত্তিতে তাঁকে দোষারোপ করাটা ঠিক হবে না।

ভারতের 'মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায় দাউদের নাম রয়েছে কয়েক দশক ধরে।

হাইলাইটস

  • সন্ত্রাসে মদত দেবে না পাকিস্তান, বললেন ইমরান
  • হাফিজ সৈয়দের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারির কথাও বলেন তিনি
  • তিনি বলেন, অতীতকে আঁকড়ে ধরে বেঁচে থাকতে পারে না পাকিস্তান
ইসলামাবাদ:

পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী তথা প্রাক্তন ক্রিকেটার ইমরান খান তাঁর শাসনকালের প্রথম দিন থেকেই ভারতের সঙ্গে 'বন্ধুত্ব' দৃঢ় করার জন্য স্পষ্টতই উদগ্রীব ছিলেন। আজ এনডিটিভির প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান যে, অতীতে কী হয়েছিল বা না হয়েছিল তার ভিত্তিতে তাঁকে দোষারোপ করাটা ঠিক হবে না। এনটিভির পক্ষ থেকে তাঁকে ভারতের 'মোস্ট ওয়ান্টেড' জঙ্গি তালিকায় থাকা দাউদ ইব্রাহিমের ব্যাপারে প্রশ্ন করা হয়েছিল। তিনি ইসলামাবাদে বসে এনডিটিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, "আমরা অতীতকে আঁকড়ে ধরে বাঁচি না। আমাদের কাছেও মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকা রয়েছে। যেখানে নাম আছে বহু ভারতীয়র। বাইরের দেশে জঙ্গিহানা করার জন্য পাকিস্তানের ভূমিকে কোনওভাবেই ব্যবহার করতে দিতে চাই না আমরা। ১৯৯৩ সালে মুম্বাই বিস্ফোরণের মূল অভিযুক্ত দাউদ ইব্রাহিম। গোটা মুম্বাই জুড়ে ১২'টি জায়গায় বিস্ফোরণ হয়েছিল।  প্রাণ হারিয়েছিলেন ২৫৭ জন। আহত হয়েছিলেন ৭০০'র বেশি মানুষ। রাষ্ট্রপুঞ্জের সিকিউরিটি কাউন্সিলের পক্ষ থেকে দাউদকে 'আন্তর্জাতিক জঙ্গি'র তকমা দেওয়া হয়। কিন্তু তাকে গ্রেফতার করার বহু চেষ্টা সত্ত্বেও তা ব্যর্থ হয়েছে একাধিকবার। দাউদও বহাল তবিয়তে রয়েছে পাকিস্তানেই। 

পড়ুন ব্লগঃ এক গাঙ্গেয় সন্ধ্যার বিষণ্ণ রূপকথা

ভারত বহবার দাবি করেছে যে, দাউদ আছে পাকিস্তানেই। প্রতিবারই সেই দাবি উড়িয়ে দিয়েছে পাকিস্তান। অবশেষে, চলতি বছর রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা কাউন্সিল জানায়, ভারতের এতদিনের দাবিই ঠিক। দাউদ ইব্রাহিম রয়েছে পাকিস্তানের করাচির বাড়িতে।


উত্তরপ্রদেশের পুকুরে ভেসে উঠল ৪৮২'টি বিপন্ন প্রজাতির কচ্ছপের মৃতদেহ

অন্যদিকে, মুম্বাইয়ে ২৬/১১ হানার প্রধান মস্তিষ্ক হাফিজ সৈয়দ বহাল তবিয়তে ঘুরে বেড়াচ্ছে পাকিস্তানেই। ইমরান বলেন, "জামাত-উদ-দুয়া প্রধান হাফিজ সৈয়দের বিরুদ্ধের ইতিমধ্যেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। রাষ্ট্রপুঞ্জও হাফিজ সৈয়দের ব্যাপারে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছে। আসলে সমস্যা হয়েছে একটাই। আমাদের আগের বা তার আগের সরকারের আমলে যে সব ত্রুটি হয়েছে তার দায়ভারও এসে পড়েছে আমাদের ঘাড়েই"।

ব্লগঃ টেলিফোন বুথের দিনকাল ও শ্যামল কাকা

প্রসঙ্গত, ২৬/১১-এর ঘটনার পর হাফিজ সৈয়দকে গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু ২০০৯ সালে পাকিস্তানের এক আদালতের রায়ের ফলে মুক্তি পেয়ে যায় একদা লস্কর ই তৈবার প্রধান। আমেরিকা যার মাথার দাম রেখেছে ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

g0l435kg

 

.