দেশের বহু বিশিষ্ট ব্যক্তি এসেছিলেন তেজপ্রতাপ যাদবের বিয়েতে।
পাটনা: তাঁর ছ'মাসের বিবাহিত জীবন কাটানোর পর স্ত্রী ঐশ্বর্য রায়ের সম্বন্ধে বিহারের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা লালুপ্রসাদ যাদবের ছেলে তেজ প্রতাপ যাদব বললেন, "ওর সঙ্গে আমি আর থাকতে পারছি না"। মাত্র ছ'মাস আগেই দশ হাজার লোক নিমন্ত্রিত ছিল লালুর বড় ছেলের বিয়েতে। খরচ হয়েছিল কয়েক কোটি টাকা। তেজপ্রতাপের আইনজীবীও জানান, "ওঁরা একসঙ্গে থাকতেই পারছেন না"। কয়েকদিন আগেই তেজপ্রতাপ বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা করতে গিয়েছিলেন পাটনা আদালতে। কিন্তু কিছু ত্রুটি থাকার জন্য সেই মামলা গ্রহণ করেনি আদালত।
"আমি ডিভোর্সের মামলা করেছি। এটা একদম সত্যি। আমি উত্তর মেরু হলে ও হল দক্ষিণ মেরু। এইভাবে থাকা যায় না। সারাক্ষণ ঝগড়া হয় আমার আর আমার স্ত্রী'র মধ্যে আমার অভিভাবকদের সামনেই। আমি ওর সঙ্গে থাকতে চাই না আর। এইভাবে অসুখী হয়ে বেঁচে থেকে তো কোনও লাভ নেই", বলেন তেজপ্রতাপ।
দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের স্নাতক ঐশ্বর্য রায় রাষ্ট্রীয় জনতা দলের ছ'বারের সাংসদ চন্দ্রিকা রায়ের কন্যা। চন্দ্রিকা রায় লালুপ্রসাদ যাদবের সরকারের মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন।
এই মামলার খবরটি প্রকাশ্যে আসার সঙ্গে সঙ্গেই ঐশ্বর্য রায় তাঁর বাবা-মা'কে সঙ্গে নিয়ে দেখা করতে যান তেজপ্রতাপের মা রাবরী দেবীর সঙ্গে।
এই মুহূর্তে রাঁচি জেলে থাকা লালুপ্রসাদ যাদবও খবর পেয়ে ছেলেকে জেলে ডেকে পাঠিয়েছেন। আত্মীয়স্বজনরা জানিয়েছেন, তেজপ্রতাপ যাতে বিবাহবিচ্ছেদের মামলাটি প্রত্যাহার করেন, তার জন্য তাঁরা সবরকমভাবে চেষ্টা চালাচ্ছেন।