১৯৯৫ সালের ব্যাচের আইএএস আধিকারিক বর্ষা জোশী
নয়াদিল্লি: দিল্লির (Delhi) এক আইএএস আধিকারিক (IAS Officer) তাঁর অভিজ্ঞতার কথা টুইটারে জানালেন যৌন হেনস্থা (Sex Harassment) প্রসঙ্গে। মহিলাদের পরিসরে পুরুষদের ঢুকে পড়া প্রসঙ্গে তিনি জানান, এই অভিজ্ঞতা তাঁর নিজের চেম্বারেই হয়েছে। তিনি লেখেন, ‘‘ওঁরা বুঝতেও পারেন না কী করছেন।'' যৌন হেনস্থা সংক্রান্ত একটি টুইটের উত্তরে তিনি এই কথা জানান। উত্তর দিল্লির পুর কমিশনার বর্ষা জোশী বুধবার একটি টুইটের উত্তরে একথা লেখেন, যে টুইটে তাঁর কাছে এক মহিলা সমাধান জানতে চেয়েছিলেন উত্তর ভারতে মহিলাদের সর্বক্ষণ যে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয় সে সম্পর্কে। দিল্লিতে কোনও এক মহিলার যৌন হেনস্থা নিয়ে করা ওই টুইটে মহিলা বর্ষা যোশীকে ট্যাগ করেন।
হাসপাতালে ৬৩ জন শিশুর মৃত্যুর দায়ে অভিযুক্ত চিকিৎসক কাফিল খানেকে ক্লিনচিট!
তিনি বর্ষাকে ট্যাগ করে লেখেন, ‘‘সুপ্রভাত ম্যাম। মহিলাদের পক্ষে রাস্তা দিয়ে যাওয়া খুব কঠিন হয়ে পড়ে। রাস্তায় বসা পুরুষরা ক্রমাগত লক্ষ করে। সারাদিন বসে হুঁকো খায় আর তাস খেলে। এর আগেও এই ইস্যু উত্থাপন করেছি। কিন্তু আজ পর্যন্ত কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। দয়া করে দ্রুত পদক্ষেপ করুন আপনার কর্মীদের সাহায্যে।''
ওই টুইট রিটুইট করেন বর্ষা যোশী। তিনি লেখেন, ‘‘যদিও এটা পুলিশের বিষয়, উত্তর ভারতে ২৪/৭ মহিলাদের কাছে এটা চ্যালেঞ্জের। আমি আমার অফিস চেম্বারে এটার সম্মুখীন হয়েছি। দুর্ব্যবহার, অধিকারপূর্ণ ব্যবহার ও আমার স্পেসের মধ্যে পুরুষদের ঢুকে পড়া। ওঁরা বুঝতেও পারেন না কী করছেন। এর সমাধান কী?'' বর্ষা কোনও ব্যক্তি বা সংস্থার নামোল্লেখ করেননি।
প্রধানমন্ত্রীর কাছে নালিশ, “ফেক এনকাউন্টার” করেছেন সিবিআইয়ের যুগ্ম অধিকর্তা?
তিনি তাঁর টুইটে এই ধরনের সমস্যার ক্ষেত্রে কেমন সমাধান হতে পারে তার একটা উল্লেখ করেন। তিনি লেখেন, ‘‘আমি বিশ্বাস করি যদি মহিলারা প্রতিবেশীদে মহিলার সঙ্গে রাস্তায় বেরোন, জমায়েত হন বা হাসাহাসি, সেলাই বা কথাবার্তা বলা যা তাঁদের পছন্দ তা করে সময় কাটান জনসমাগমস্থলে, তাহলে আমরা কিছুটা পরিবর্তন দেখতে পাব। আমি মানছি পরিবর্তন আনা সহজ নয়। কিন্তু আমরা প্রতিবেশী মহিলাদের সঙ্গে এটা চেষ্টা করে দেখতেই পারি।''
১৯৯৫ সালের ব্যাচের আইএএস আধিকারিক বর্ষা জোশী গত দু'দশক আমলা হিসেবে কর্মরত। তিনি রাষ্ট্রসঙ্ঘের সঙ্গেও যুক্ত।
দেখুন ভিডিও