This Article is From Jul 24, 2018

মায়ের চাকরি ভাল লাগত না মহিলার, জেনে নিন কীভাবে বদলে গেল সেই ধারনা

মাকে এভাবে  দেখতে ভাল লাগত না তাঁর। কিন্তু বদলে গেল সব ভাবনা। পাল্টে যাওয়া সেই  ধারনার কথাই ফেসবুকে লিখেছেন ওই  মহিলা

মায়ের চাকরি ভাল লাগত না মহিলার, জেনে নিন কীভাবে বদলে গেল সেই ধারনা

নেট দুনিয়ায় ইতিমধ্যেই সাড়া ফেলেছে পোস্টটি

এটা আর নতুন কোনও সমস্যা নয়। শতকের পর  শতক ধরে চলে আসা প্রথার বিরুদ্ধে সরব হয়েছে সমাজ। বাড়ির  চার দেওয়ালে আটকে না থেকে বাইরে পা রাখছেন মহিলারা। খুঁজে নিচ্ছেন চাকরি। বেছে নিচ্ছেন নিজের পছন্দমতো একটা জীবন। আর সেখানেই হচ্ছে গোলমালটা। কেউ কেউ প্রশ্ন তুলছে মা যদি রোজগার করতে বাড়ির বাইরে যান তাহলে সন্তানদের কী হবে? তারা ভালমন্দ শিখবে কোথা থেকে? একই সমস্যায় পড়েছেন মুম্বইয়ের এক মহিলাও। তাঁর মাও অনেক দিন ধরে   চাকরি করেন। বাইরের কাজ শেষ করে বাড়ি ফিরে রান্নাঘরে মন দেন বাবাও। মাকে এভাবে  দেখতে ভাল লাগত না তাঁর। কিন্ত বদলে গেল সব ভাবনা। পাল্টে যাওয়া সেই  ধারনার কথাই ফেসবুকে লিখেছেন ওই  মহিলা।      

                                  

পেজটার নাম হিউম্যানস অফ বম্বে। সেখানেই লেখা হয়েছে এই পোস্ট। অবশ্য এমন অভিজ্ঞতা কার হল সেটা জানার সুযোগ নেই। কারণ এই লেখাটি কার সেটা কোথাও বলা নেই। তিনি লিখেছেন, তাঁর কোনও বন্ধুর মা-ই কাজ করতেন না। সকলেই থাকতেন বড়িতে। সন্তান মানুষ করাই প্রথম এবং শেষ কাজ। নিজের সঙ্গে তেমনটা না হওয়ায় খারাপ লাগাত তরুণীর। কিন্তু ঘরে-বাইরের সব কাজ দুজনকে একসঙ্গে করতে দেখেই তার মন বদলাল।  শিক্ষিত হলেন জীবনের সবচেয়ে বড় শিক্ষায়। বুঝলেন সাম্যের অধিকার শুরু হওয়া উচিত বাড়ি থেকেই। আর তাই মায়ের রোজগার করতে যাওয়া বা বাবার রান্না ঘরে ঢোকার মধ্যে কোনও ‘অপরাধ’ নেই।          

  পড়ুন সেই পোস্ট        

 

 
 

 

নেট দুনিয়ায় ইতিমধ্যেই সাড়া ফেলেছে পোস্টটি। প্রথম তিন ঘণ্টাতেই 3,700 জন ফেসবুক ব্যবহারকারী সেটিতে লাইক বা কমেন্ট করেছেন।  শেয়ারের সংখ্যা প্রায় 500। প্রশংসা করার সঙ্গে সঙ্গেই অনেকে নিজেদের প্রাসঙ্গিক অভিজ্ঞতাও লিখেছেন।

এত মানুষের ভালোবাসা স্বভাবতই খুশি করেছে ওই মহিলাকে। সকলকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেছেন গত এক যুগ ধরে আমার স্বামী  আর আমি একই কাজ করে চলেছি। প্রতিদিন প্রায় বারো ঘণ্টা অফিসের কাজ করতে হয় আমায়। তাই সন্তানের ‘মা’ হয়ে উঠেছে আমার স্বামী। রান্না থেকে শুরু করে বাড়ির অনেক কাজই করে দেয়। আর আমরা দুজনে আট বছরের শিশুকে নিয়ে খুবই আনন্দে আছি।  

.