অধীর চৌধুরীর অভিযোগ, আয়কর আধিকারিকরা কর সন্ত্রাসবাদী হয়ে উঠছেন।
মঙ্গলবারই দুর্গা পুজো (Durga Puja) কমিটিকে আয়করের নোটিশ পাঠানোর প্রতিবাদে সুবোধ মল্লিক স্কোয়ারে আট ঘণ্টার জন্য ধর্নায় বসেছিল শাসক দল তৃণমূলের (TMC) মহিলা শাখা ‘বঙ্গজননী ব্রিগেড'। আর ওইদিনই এই বিষয়ে প্রতিবাদে মুখর হলেন কংগ্রেস সাংসদ অধীররঞ্জন চৌধুরী (Adhir Chowdhury)। তিনি জানালেন, এর ফলে ‘কর সন্ত্রাস'-এর জন্ম হচ্ছে। কংগ্রেসের দলীয় দফতরে তিনি বলেন, ‘‘আয়কর দফতর দুর্গা পুজো কমিটির কার্যকলাপ সম্পর্কে প্রশ্ন তুলে তাদের ট্যাক্স রিটার্ন ফাইল করতে বলেছে। তারা এমন একটা বিষয় প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে যে কমিটিগুলি ‘কালো টাকা' ব্যবহার করছে। আয়কর আধিকারিকরা কর সন্ত্রাসবাদী হয়ে উঠছেন। তাঁরা জন্ম দিচ্ছেন কর সন্ত্রাসের।''
বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা বলেন, পশ্চিমবঙ্গের মানুষ খেটে খাওয়া অর্থ পুজোয় অনুদান দেন। সেই টাকাতেই মণ্ডপ নির্মাণ ও পুজো সম্পন্ন হয়। তিনি বলেন, ‘‘পুজোতে টাকা অনুদান দেওয়ার সংস্কৃতি নতুন কিছু নয়। এটা কলকাতার খুব পুরনো সংস্কৃতি।''
রাজ্যের পুজো কমিটিগুলিকে আয়করের নোটিশ পাঠানোর প্রতিবাদে ধর্নায় বসল তৃণমূল কংগ্রেস
এদিকে প্রতিবাদের সুর চড়িয়েছে তৃণমূলও। তাদের দাবি, পুজোকে করের আওতায় আনলে চলবে না।
এপ্রসঙ্গে অধীরের বক্তব্য, ‘‘যদি কোনও রাজনৈতিক দলের সদস্য পুজোয় অংশ নেন, চাঁদা দেন বা উৎসব উদযাপন করেন তাহলেই দুর্গা পুজোকে কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত করে দেওয়াটা ভুল।''
পুজোর পরিবেশ ধ্বংস করে দেওয়াকে তিনি একেবারেই সমর্থন করছেন না বলে জানান অধীর। তিনি বলেন, ‘‘আমি এই পদক্ষেপকে সমর্থন করছি না। এবং আয়কর দফতরের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছি।''
‘‘বেকারত্ব নিয়ে উত্তর চাও কেন্দ্র সরকারের কাছে'': তরুণ প্রজন্মের কাছে আবেদন মুখ্যমন্ত্রীর
রবিবার টুইটারে এবিষয়ে নিজের ক্ষোভ উগরে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি ‘টিডিএস'কে ‘টেরিবল ডিজাস্টার স্কিম' বলে কটাক্ষ করেন।
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘‘এটা আমাদের সংস্কৃতি এবং দুর্গা পুজো উৎসবের প্রতি আক্রমণ। আমি জানি না এটা ইচ্ছাকৃত নাকি অনিচ্ছাকৃত ভাবে করা হচ্ছে। কিন্তু বিষয়টি খুব খারাপ হচ্ছে। বিশেষ করে সমস্ত ধর্ম ও জাতির মানুষ যেখানে আমাদের দুর্গা পুজোয় অংশ নেন।''
এদিকে বিজেপির জাতীয় সচিব রাহুল সিনহা জানিয়েছেন, ‘‘দুর্গা পুজো কমিটির টাকার উৎস সম্পর্কে যদি আয়কর জানতে চায় তাতে ক্ষতি কী? কোনও কোনও পুজো কমিটিতে তৃণমূল নেতা ও মন্ত্রীরা গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন রয়েছেন। কাটমানি ও চিট ফান্ড কেলেঙ্কারি থেকে লুঠ করা কালো টাকা এখানে ব্যবহার করছেন তাঁরা। তৃণমূল ভয় পাচ্ছে সেই যোগসূত্র এবার ফাঁস হয়ে যাবে।''