গত কয়েক মাসে যতবারই প্রকাশ্যে এসেছেন তিনি, নাকে নল লাগানো ছিল। (ফাইল চিত্র)
পানাজি: প্রয়াত হলেন গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর পাররিকর। দেশের প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রীও ছিলেন তিনি। দীর্ঘদিন ভুগছিলেন অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসারে। মৃত্যুর সময় বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর। গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই গোয়া, মুম্বাই, দিল্লি ও নিউ ইয়র্কের একের পর এক হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য যাতায়াত লেগেই ছিল তাঁর। গোয়ার তিনবারের মুখ্যমন্ত্রী মনোহর পাররিকর গত জানুয়ারিতেই জানিয়েছিলেন, “আমি আমার শেষ নিঃশ্বাস ফেলার আগে পর্যন্ত কাজ করে যাব জনগণের জন্য”।
গোয়ায় অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিলেন চারবারের এই মুখ্যমন্ত্রী। অথচ, জীবনযাপন ছিল অত্যন্ত সাধারণ। মাঝেমাঝেই নিজের সাধের স্কুটারটি নিয়ে ঘুরতে বেড়িয়ে যেতেন তিনি।
গত কয়েক মাসে যতবারই প্রকাশ্যে এসেছেন তিনি, নাকে নল লাগানো ছিল। অত্যন্ত অসুস্থও দেখাচ্ছিল তাঁকে।
আরও পড়ুনঃ দীর্ঘ রোগভোগের পর প্রয়াত হলেন মনোহর পারিকর
এছাড়া, গোয়ানদের স্বভাবসিদ্ধ ‘ঢিলেঢালা'ও ছিল না তাঁর মধ্যে। নিজেই বলতেন, আমি তেমন নই। ১৬ থেকে ১৮ ঘন্টা ধরে কাজ করি প্রতিদিন। এনডিটিভিকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন তিনি। চার বছর আগে।
১৯৭৮ সালে বম্বে আইআইটি থেকে মেটালার্জিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পাশ করা মনোহর পাররিকর ছিলেন তথ্যপ্রযুক্তিবিদ নন্দন নীলেকানির সহপাঠী। তাঁর দুই পুত্র বর্তমান। যারা বেড়ে উঠেছে গোয়ার পাররা গ্রামে। স্ত্রী মেধাও মারা যান ক্যানসারেই। ২০০০ সালে। বিজেপির সফলতম এই মুখ্যমন্ত্রী ঘনিষ্ঠ ছিল আরএসএসেরও। যে সময় পর্তুগিজদের উপনিবেশ ছিল গোয়া, সেই সময়ই ১৯৫৫ সালে জন্মগ্রহণ করেন মনোহর পাররিকর।
তিনিই প্রথম আইআইটি'র ছাত্র, যিনি বিধায়ক হন এ দেশে তারপর হন মুখ্যমন্ত্রী।
জানুয়ারিতেই গোয়ার বাজেট পেশ করার সময় তিনি বলেছিলেন, “বর্তমান পরিস্থিতির জন্য আমি বিস্তারিত বাজেট বক্তৃতা পেশ করতে পারছি না। কিন্তু একটা জোশ রয়েছেই। খুব উঁচুতারে বাঁধা জোশ রয়েছে। আর, আমি রয়েছি হুঁশেই”, তারপরই তিনি ওষুধ খান বলে জানায় সংবাদসংস্থা আইএএনএস।
এই বছরের শুরুতেই গোয়ায় একটি ব্রিজের উদ্বোধন করেন তিনি। যেখানে বহু লোককে উচ্ছ্বাসে ভাসিয়ে চিৎকার করে বলে উঠেছিলেন সেই বহু ব্যবহৃত পাঞ্চলাইন- হাউ'জ দ্য জোশ?