আজ সকালে পাকিস্তানের বালাকোটে জঙ্গি ঘাঁটিতে যুদ্ধ বিমানের হামলার কয়েকঘন্টা পরেই সর্বদল বৈঠক হয়, নিজেদের রাজনৈতিক মতাদর্শকে দুরে সরিয়ে রেখে ভারতীয় বায়ুসেনার প্রশংসা করেছে সবাই, কিন্তু উল্লেখ করে দিয়েছে, এই অভিযানকে উগ্র দেশাত্মবোধের আবেগকে যেন উস্কে না দেয়, যাতে কাশ্মীরীদের ওপর আবার হামলা হয়।
বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ জানান, বৈঠকে উপস্থিত প্রত্যেকেই বালাকোটে জইশ-ই-মহম্মদের সবচেয়ে বড় ক্যাম্পে ১২ টি মিরাজ ২০০০ যুদ্ধবিমান থেকে ৬ টি বোমা নিক্ষেপ করা, ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামা হামলায় ৪০ জন সিআরপিএফ জওয়ানের শহিদ হওয়ার ঘটনার যোগ্য জবাব।বৈঠকের পর বিদেশমন্ত্রীর মন্তব্য উল্লেখ করে এএনআই জানিয়েছে, “আমি খুশি যে, নিজেদের রাজনৈতিক মতাদর্শকে দুরে সরিয়ে রেখে সমস্ত দল ভারতীয় বায়ুসেনাকে সাধুবাদ জানিয়েছে”।
কীভাবে পরিকল্পনা অপারেশন বালাকোট, জানুন
তবে বিমান হামলায় ৩০০ জন জঙ্গির মৃত্যুর খবরের সত্যতা স্বীকার করে নি সরকার।
বায়ুসেনার এই কাজকে দলের তরফে স্বীকৃতি দিয়েছেন কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদ। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “আমাদের সুরক্ষাবাহিনীর প্রচেষ্টার সাধুবাদ জানাচ্ছি আমরা, সন্ত্রাসবাদ দমনে তারা সবসময় আমাদের ভরসা। জঙ্গি এবং জঙ্গি ঘাঁটির লক্ষ্যে এটি একটি নিখুঁত অভিযান”।
বৈঠকে বিরোধীরা সতর্ক করে দিয়েছে, এই বিমান হামলাকে আনাহুত আক্রমণ এবং নিজেদের পছন্দমতো জায়গা এবং সময়ে এর পাল্টা দেওয়ার পাকিস্তানের সতর্কবার্তার বিষয়ে।কাশ্মীরীদের মনবল বাড়াতে সরকারের পদক্ষেপ করার জন্য।
পরে এক বর্ষীয়ান বিরোধী নেনাত এনডিটিভিকে জানান, কাশ্মীরী পড়ুয়াদের সুরক্ষার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন রাজনাথ সিং এবং এই বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের জারি করা উপদেশ কার্যকর ছিল।
নিয়ন্ত্রণরেখায় ব্যাপক গুলি, বোমাবর্ষণ, কিন্তু কেন?
বৈঠকের প্রদান ছিলেন সুষমা স্বরাজ, উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং, অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি, সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী বিজয় গোখলে, সিপিএমের সীতারাম ইয়েচুরি, তৃণমূল কংগ্রেসের ডেরেক ও ব্রায়েন, ন্যাশনাল কনফারেন্সের ওমর আব্দুল্লার মতো বিভিন্ন দলের প্রতিনিধিরা।পাকিস্তানে নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত অজয় বিসারিয়া উপস্থিত ছিলেন বৈঠকে।
সূত্রের খবর, বিরোধী নেতাদের সুষমা স্বরাজ জানান, হামলার পর আমেরিকার স্টেট সেক্রেটারি মাইকেল পম্পেওর সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি।বুধবার রাশিয়া এবং চিনের মন্ত্রীদের সঙ্গে আলোচনার পরিকল্পনা রয়েছে তাঁর।