বালাকোটের জঙ্গি প্রশিক্ষণ শিবিরে হামলা চালায় ভারতীয় বায়ুসেনার যুদ্ধবিমান মিরাজ ২০০০
হাইলাইটস
- ৩০০ জনেরও বেশী জঙ্গিকে নিকেশ করা সম্ভব হয়েছে
- ভারতীয় বায়ুসেনা ভোর ৩:৩০ নাগাদ আঘাত হানে
- প্রশিক্ষণ নিত জইশ প্রধান মাসুদ আজাহারের আত্মীয় ও অন্যান্য জঙ্গিরা
নিউ দিল্লি: পুলওয়ামা হামলার পর পাক অধিকৃত কাশ্মীর থেকে পাহাড়ের চূড়ার জঙ্গলে একটি পাঁচতারা হোটেল, রিসর্টে ছিল জইশ-ই-মহম্মদের জঙ্গি এবং তাদের প্রশিক্ষকরা, মঙ্গলবার ভোররাতে নিয়ন্ত্রণরেখার সেই জায়গাতেই হামলা চালায় ভারতীয় বায়ুসেনা।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে জানা গেছে. ৩০০ জনেরও বেশী জঙ্গিকে নিকেশ করা সম্ভব হয়েছে, সেই সময় ঘুমাচ্ছিল তারা।বালাকোটের এই ক্যাম্পেই অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র এবং প্রশিক্ষণ নিত জইশ প্রধান মাসুদ আজাহারের আত্মীয় ও অন্যান্য জঙ্গিরা।
সমস্ত পরিস্থিতির জন্য তৈরি থাকুন, বায়ু সেনার হামলার পর পাকিস্তানের সেনা ও জনগণকে বার্তা ইমরানের
জম্মু কাশ্মীরের পুলওয়ামায় ১৪ ফেব্রুয়ারি জঙ্গি হামলায় শহিদ হন ৪০ জন। বালাকোটের ক্যাম্পে ছিল “৩২৫ জন জঙ্গি এবং ২৫-২৭ জন প্রশিক্ষক”। ক্যাম্পটি একসময় ব্যবহার করত হিজবুল মুজাহিদিন। জঙ্গিদের উদ্বুব্ধ করতে এখানেই ভাষণ দিত জইশ প্রধান মাসুদ আজাহার।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রের খবর, কুনহার নদীর পাশে এই ক্যাম্পে জলপথেরও প্রশিক্ষণের সুবিধা দেওয়া হত জঙ্গিদের।প্রশিক্ষকরা পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর প্রাক্তন কর্মী।
ভারতীয় বায়ুসেনার অভিযান: মাসুদ আজাহারের শ্যালকের নেতৃত্বাধীন জইশ ক্যাম্পে হামলা চালানো হয়েছে: কেন্দ্র
সূত্রের খবর, অস্ত্র, বিস্ফোরক, ঘটনাস্থলের কৌশল, নিরাপত্তাকর্মীদের কনভয়ে হামলা, বম্ব তৈরি এবং প্রতিস্থাপন, আত্মঘাতী হামলার প্রস্তুতি, উচ্চচাপযুক্ত এলাকায় কাজ করার বিভিন্ন কৌশল শেখান হত এখানে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে জানা গেছে, আত্মঘাতী হামলায় ওস্তাদ জইশ-ই-মহম্মদ এবং তারা “ধর্মীয় মৌলবাদ এবং মগজধোলাই করে জইশ”।
কার্গিল যুদ্ধের সময়ও এই কাজটা করেনি বায়ু সেনা, এবার করল, জেনে নিন কী সেটা
সূত্র মারফৎ জানা গেছে, ক্যাম্পের সবাই সেই সময় ঘুমাচ্ছিল এবং তাদের দেশের এত ভিতরে ঢুকে হামলা হতে পারে এমনটা তাদের ধারণায় ছিল না, কারণ, নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর পাক অধিকৃত কাশ্মীরেই সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের আশঙ্কা করেছিল তারা।