জম্মু কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখার আখনুর, নৌসেরা এবং কৃষ্ণা ঘাটি সেক্টরে মর্টার হামলা এবং ছোটো অস্ত্র নিয়ে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে পাকিস্তান।তীব্রভাবে তার পাল্টা দেয় ভারতীয় সেনা। তবে এই গুলি এবং বোমা বর্ষণের জন্য জম্মুতে স্কুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। পাশাপাশি বেড়েছে নজরদারি। সরকারি আধিকারিকদের বক্তব্য অনুযায়ী, বালাকোটে জইশ-ই-মহম্মদের ক্যাম্পে বোমা হামলা চালিয়ে “বহু সংখ্যক জঙ্গি”কে নিকেশ করতে সক্ষম হয় ভারতীয় বায়ুসেনা, তারপরেই এই ঘটনা। পাঁচজন ভারতীয় সেনা আখনুরে গুরুতর জখম হয়েছে। ভারতীয় সেনার এক মুখপাত্র জানান, পাকিস্তানি সেনা সাধারণ মানুষকে 'শিখণ্ডী' করে তাদের বাড়ির ভিতর থেকেই মর্টার, মিসাইল ইত্যাদি ছুঁড়তে থাকে। যদিও, ভারতীয় সেনা তার প্রত্যুত্তরে পাকিস্তানের যে যে পোস্টগুলি উড়িয়ে দিয়েছিল, তা সাধারণ মানুষের থাকা এলাকায় মধ্যে নয়। তার ফলে সাধারণ মানুষের ওপর আঘাত নেমে আসেনি।
মঙ্গলবার ভোরবেলা বালাকোটে ভারতীয় বায়ুসেনা জইশ-ই-মহম্মদের ঘাঁটি উড়িয়ে দেওয়ার পরই 'জবাব' দিতে পাকিস্তান সীমান্তের ওপার থেকে মর্টার ও মিসাইল ছুঁড়তে আরম্ভ করে।
প্রসঙ্গত, যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করা পাকিস্তানের কাছে একরকম 'জলভাত'। গত বছর সবথেকে বেশিবার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে পাকিস্তান। ২০০৩ সালে এই চুক্তি দু'দেশের মধ্যে হওয়ার পর থেকে যুদ্ধবিরতি লঙ্গনের কারণে প্রাণ গিয়েছে সেনা জওয়ান থেকে শুরু করে বহু সাধারণ মানুষের।