কোয়েম্বাটুর: ২৬ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের বালাকোটে বিমানহানায় কতজনের মৃত্যু হয়েছে, তার উত্তরে বায়ুসেনা প্রধান বিএস ধানোয়া জানালেন, কতজন মানুষ মারা গেছে, তা গুনতে পারে না বায়ুসেনা।
একটি সাংবাদিক সম্মেলনে বায়ুসেনা প্রধান জানান, “আমরা গুনতে পারি নি কতজন মানুষের মৃত্যু হয়েছে।কতজন মানুষ সেখানে ছিল, তার ওপরে এটা নির্ভর করে”।
“হতাহতের সংখ্যা গোনার মতো পরিস্থিতিতে নেই বায়ুসেনা”।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমকে উদ্ধৃত করে আন্তর্জাতিক সাংবাদমাধ্যমের খবরের পর বিমান হানার প্রভাব নিয়ে রাজনৈতিক চাপান উতোর চলে।বিমান হানায় কতজনের মৃত্য হয়েছে, তার উত্তরেই একথা জানান বায়ুসেনা প্রধান।
ভারতীয় বায়ুসেনার স্ট্রাইকে ২৫০ জনেরও বেশি জঙ্গিকে নিকেশ করা গিয়েছেঃ অমিত
সরকারের তরফে বিমান হানা সফল বলে দাবি করা হয়েছে, যদিও কতজনের মৃত্যু হয়েছে, তা জানানো হয় নি।২৫০ জন জঙ্গিকে নিকেশ করা সম্ভব হয়েছে বলে দাবি করেছেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ।
বায়ুসেনা প্রধান বলেন, সরকার বলবে কতজনকে আক্রমণ করা হয়েছে।
এয়ার চিফ মার্শাল বিএস ধানোয়া বলেন, “ভিতরে কতজন ছিল, তা জানানোর মতো অবস্থায় নেই বায়ুসেনা। আমরা গণনা করি, কতজনকে আক্রমণ করা হবে, কতজনকে নয়”।
আমাদের টার্গেট কতজন ছিল, এবং ভারতীয় বায়ুসেনা সেই টার্গেটকে আক্রমণ করেছে কিনা, তা জিজ্ঞাসা করা হয় বায়ুসেনা প্রধানকে।
বিমানহানায় টার্গেট মিস করা হয়েছে, সেই অভিযোগ সরকারিভাবে খারিজ করে দিয়ে বায়ুসেনা প্রধান বলেন, “টার্গেট সম্পর্কে সবিস্তার বর্ণনা দিয়েছেন বিদেশসচিব এবং আমরা যদিকোনও টার্গেট করি, সেখানে আক্রমণ করি...না হলে কেন তারা(পাকিস্তান)জবাব দিল?আমরা যদি জঙ্গলে বোমা নিক্ষেপ করতাম, তাহলে জবাব দেওয়ার কোনও প্রয়োজন ছিল না”।
জঙ্গি হামলার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আড়াল করছেন মোদী: মায়াবতী
তাৎপর্যপূর্ণভাবে বায়ুসেনা প্রধান জানিয়ে দেন, “চলতি অপারেশন” সম্পর্কে মন্তব্য করবেন না তিনি, জঙ্গিঘাঁটিতে ভারতের বিমান হানার পরদিন, ভারতীয় যুদ্ধবিমান এবং পাকিস্তানের বিমানের মধ্যে নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে লড়াইয়ের প্রসঙ্গে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়।