This Article is From Jan 07, 2019

স্ত্রী সম্পর্কে সোশ্যাল মিডিয়ায় অপমানজনক মন্তব্য, থানায় গিয়ে যুবককে মার জেলাশাসকের

ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে যুবককে খুনের হুমকি দিচ্ছেন আলিপুরদুয়ারের জেলাশাসক নিখিল নির্মল।

থানায় গিয়ে যুবককে বেধড়ক মারধর ও হুমকি দেন জেলাশাসক

কলকাতা:

ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে যুবককে খুনের হুমকি দিচ্ছেন আলিপুরদুয়ারের জেলাশাসক নিখিল নির্মল।

স্ত্রী সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করায় এক যুবককে থানার মধ্যে রাজ্যের একজন আইএএস আধিকারিকের বেধড়ক মারধরের ভিডিও ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়।ভিডিওতে দেখা গেছে, এক যুবককে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছেন আলিপুরদুয়ারের জেলাশাসক নিখিল নির্মল।রবিবার ঘটনাটি ঘটনার পরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় ভিডিওটি।তারপরেই ঝড় ওঠে।

পুলিশ সূত্রের খবর, জেলাশাসকের স্ত্রী নন্দিনী কিষাণ সম্পর্কে সোশ্যাল মিডিয়ায় আপত্তিকর মন্তব্য করেন এক যুবক বিনোদকুমার সরকার নামে এক যুবক। ফালাকাটা থানায় অভিযোগ দায়ের করলে ওই যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ।

১৯ জুলাই তৃণমূলের বিগ্রেড সমাবেশ, মঞ্চে কারা তা নিয়েই জল্পনা রাজনৈতিক মহলে

রবিবার থানায় যান জেলাশাসক এবং তাঁর স্ত্রী। থানার ইনচার্জ সৌম্যজিৎ রায়ের সামনেই যুবককে মারধর করেন জেলাশাসক। তাঁকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য আকুতি জানান ওই যুবক। যদিও দম্পত্তিকে থামানো যায় নি। এমনকী, নন্দিনী কিষাণ পুলিশকে লাঠি আনতে বলেন। যদিও পুলিশকর্মীরা জানান, লাঠি ব্যবহার করা যায় না।

তৃণমূল নয়, পুলিশকে আক্রমণ করুন”, মন্তব্য রাজ্য বিজেপি নেতার

বিনোদকুমার সরকারকে জেলাশাসক বলেন, “আমার জেলায় কেউ আমার বিরুদ্ধে কথা বলতে পারবে না। আমি যদি আধঘন্টার মধ্যে তোমায় জেলে পাঠাতে পারি, তাহলে বাড়ি গিয়ে তোমায় মেরেও ফেলতে পারি”।

জেলাশাসকের স্ত্রী বলেন, “কেউ তোমায় বলেছে এসব করতে, তারা কারা” ? তিনি তাঁর ফোন বের করে, বিনোদকুমার সরকার যা লিখেছেন তা জোরে জোরে পড়তে বলেন।তবে যুবকটি তা করেন নি।এরপরেই যুবককে জিজ্ঞেস করেন, আমার নাম কী ? তখনও যুবকটি চুপ করেছিলেন। তারপরেই তাঁকে লাথি এবং চড় মারতে থাকেন নন্দিনী কিষাণ।

চটুল গানে নাচ, ধর্ষণ করা হয়েছিল কিশোরীদের, মুজফ্ফরপুরের ঘটনায় জানাল সিবিআই

শেষমেস যুবকটি সরিয়ে নিয়ে যান পুলিশকর্মীরা। এপিডিআর-এর জলপাইগুড়ি শাখার সদস্য জাতিশ্বর ভারতীর কথায়, “জেলাশাসক জেলার প্রধান। থানায় ঢুকে যুবককে মারধর তাঁর পক্ষে ভুল কাজ। কেউ যদি সোশ্যাল মিডিয়ায় কারও স্ত্রীর সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করে, তাহলে তাঁর সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ করা উচিত।পুলিশের উচিত আইন মোতাবেক চলার। কিন্তু থানায় গিয়ে অভিযুক্তকে মারধর এবং খুনের দেওয়া মেনে নেওয়া যায় না”।

যদিও ফোনের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায় নি জেলাশাসকের, তবে সূত্রের খবর, এই ধরণের ঘটনার খবর অস্বীকার করেছেন জেলাশাসক। ঘটনার পর ওই আইএএস আধিকারিককে ছুটিতে পাঠান হয়েছে।

 

.