কনস্যুলেট জেনারেল অফ ইন্ডিয়ার সাইট অনুসারে, মিঃ চক্রবর্তী ১৯৯৬ সাল থেকে আইএফএসের সদস্য ছিলেন
নিউইয়র্ক সিটি/নয়া দিল্লি: জম্মু ও কাশ্মীরের বিষয়ে মোদি সরকারের নেওয়া সিদ্ধান্তকে ইজরায়েল এবং প্যালেস্তাইনের সঙ্গে তুলনা করে বসলেন এক ভারতীয় কূটনীতিবিদ (Sandeep Chakravorty)। নিউ ইয়র্ক সিটিতে ভারতীয় দূতাবাসের একটি অনুষ্ঠানে কূটনীতিক সন্দীপ চক্রবর্তীর এই মন্তব্য নিয়ে নয়া বিতর্ক মাথা চাড়া দিয়েছে। এর আগে এমন প্রসঙ্গ উঠেছিল যে ভারত ইজরায়েল এবং প্যালেস্তাইনকে নকল করেই কাশ্মীর (Jammu & Kashmir) নিয়ে ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যদিও কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রক এই তুলনাকে খারিজ করে দিয়ে ওই যুক্তি প্রত্যাখ্যান করে। নিউইয়র্কে একটি ব্যক্তিগত অনুষ্ঠানে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের প্রসঙ্গে কূটনীতিক সন্দীপ চক্রবর্তীকে বলতে বলা হলে তিনি "কাশ্মীরি সংস্কৃতিকে হিন্দু সংস্কৃতি" বলে মন্তব্য করেন এবং তিনি এও প্রতিশ্রুতি দেন যে বিতাড়িত কাশ্মীরি পণ্ডিতরা খুব তাড়াতাড়ি কাশ্মীরে ফিরে আসতে পারবেন, বলেন, "ইতিমধ্যে বিশ্বে এই ধরণের ঘটনার উদাহরণ আছে ... ইজরায়েলিরা যদি এটি করতে পারেন ... "।
যদিও তাঁর এই মন্তব্য নিয়ে মুখ খোলেনি কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রক।
"কেউ (শ্রোতাদের মধ্যে) ইহুদি ইস্যু সম্পর্কে ... ইজরায়েলের ইস্যু সম্পর্কে নানা কথা বলেছেন ... তাঁরা তাঁদের সংস্কৃতিকে তাঁদের দেশের বাইরেও ২ হাজার বছর ধরে বাঁচিয়ে রেখেছিলেন। আমি মনে করি আমাদেরও কাশ্মীরি সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। কাশ্মীরি সংস্কৃতি হল ভারতীয় সংস্কৃতি ... এটি হিন্দু সংস্কৃতি", বলেন শ্রী চক্রবর্তী।তিনি আরও বলেন, "আমরা কেউ কাশ্মীর ছাড়া ভারতের কল্পনাও করতে পারি না"।
ওই অনুষ্ঠানের একটি ভিডিওতে দেখা যায় তিনি বলছেন যে, "আমি বিশ্বাস করি, আমার জীবদ্দশায় আমাদের জমি ফিরে আসবে এবং আমাদের লোকেরা সেখানে ফিরে যাবে। আমাদের কাশ্মীরি ভাইরা শরণার্থী শিবিরে বাস করছেন ... তাঁরা অবশ্যই নিজের জায়গায় ফিরে যেতে পারবেন", একথাও বলেন তিনি।
"কাশ্মীর ছাড়া ভারত সম্ভব নয়": মার্কিন কংগ্রেসে বললেন ভারতীয় সাংবাদিক
"ইতিমধ্যেই মধ্য প্রাচ্যে আমাদেরই মতো এরকম উদাহরণ রয়েছে ... ইজরায়েলের মানুষ যদি এটি করতে পারেন ..." বলতে শোনা যায় তাঁকে।
গত বছর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন।
অগাস্টের পর থেকেই জম্মু ও কাশ্মীরে বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়
পাকিস্তান, যেভাবে বিশ্বের দরবারে কাশ্মীর সমস্যা উত্থাপন করার চেষ্টা করেছিল, তা নিয়েও নিজের ভাষণে কিছু মন্তব্য করতে শোনা যায় ওই ভারতীয় কূটনীতিককে। ওই ভিডিওটির প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান টুইট করে, মিডল ইস্ট আই এর একটি ঘটনার সূত্র শেয়ার করেন।
অনুচ্ছেদ ৩৭০, ৩৫এ আসলে "সন্ত্রাসের প্রবেশদ্বার" ছিল, প্রধানমন্ত্রী সেটি বন্ধ করলেন: অমিত শাহ
পাকিস্তানের নাম না করে ওই কূটনীতিক বলেন যে, "কিছু মানুষ এই সিদ্ধান্ত (370 Article) নিয়ে আমাদের উপর বিরক্ত হয়েছেন ... মানবাধিকার কাউন্সিলে, মার্কিন কংগ্রেসে এ বিষয়টি উত্থাপন করেছেন... আমার মত হল তাঁরা সিরিয়া বা ইরাক বা আফগানিস্তানে গিয়ে ফটো তোলেন না কেন? কেন এখানের বিষয় নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছেন?"
কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদ ও হানাহানি প্রসঙ্গে ভারতীয় কূটনীতিক বলেন: "আমরা জীবনের ভয়ে সেখানে যাব না? এবার দেখবেন এই ভয় চলে যাবে। আমাদের কিছুটা সময় দিন"।
দেখে নিন এই ভিডিও: