যদিও আইআইটি-রুরকির সেই অধ্যাপকের দাবির সমর্থনে এগিতে আসেনি কোনও চিকিৎসক সংগঠন।
হাইলাইটস
- করোনা সংক্রমণ কিনা বলে দেবে সফটওয়্যার। দাবি করলেন এক অধ্যাপক
- আইআইটি-রুরকির সেই অধ্যাপক ৪০ দিনে তৈরি করেছেন সেই সফটওয়্যার
- যদিও এর কার্যকারিতা নিয়ে এখনও সরব হয়নি কোনও চিকিৎসক সংগঠন
নয়া দিল্লি: সংক্রমণ চিহ্নিত করতে বিশেষ সফটওয়্যার (Corona detect Software) তৈরি করলেন আইআইটি-রুরকির এক অধ্যাপক। শুক্রবার এমন দাবি খোদ করলেন সেই অধ্যাপক কমল জৈন (IIT-Roorki professor)। তিনি জানিয়েছেন, ৪০ দিন সময় লেগেছে এই সফটওয়্যার তৈরি করতে। প্রতিষ্ঠানের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক এই কমল জৈন। তাঁর দাবি, "কোনও সন্দেহভাজন রোগীর এক্স-রে স্ক্যান এই সফটওয়্যারে দিলেই, আদৌ তিনি করোনায় সংক্রমিত কিনা জানা যাবে।" আইসিএমআর-এর কাছে এই সফটওয়্যারের পেটেন্ট চেয়ে দরবার করেছেন ওই অধ্যাপক। তিনি আরও দাবি করেছেন, "এই সফটওয়্যার কেবল নমুনা পরীক্ষার খরচ কমানোর সঙ্গে অন্যদের সংক্রমিত হওয়ার হাত থেকেও বাঁচাবে।" তবে এখনও পর্যন্ত কোনও চিকিৎসক সংগঠন এই সফটওয়্যারেে কার্যকারিতা নিয়ে মুখ খোলেনি।
করোনাকে রুখতে পরীক্ষামূলক ড্রাগ 'রেমডেসিভির' মানবদেহে কাজ করতে ব্যর্থ
এই সফটওয়্যার প্রসঙ্গে অধ্যাপক জৈন আরও বলেছেন, "আমি কোভিড-১৯ রোগী আর নিউমোনিয়ার রোগীর বুকের এক্স-রে নিয়ে পারিপার্শ্বিক তথ্যর সঙ্গে সেই রিপোর্ট মিলিয়ে দেখেছি। একটা আপেক্ষিক পার্থক্য খুঁজে পেয়েছি। নিউমোনিয়া আর কোভিড-১৯ রোগীর বুকের এক্স-রে রিপোর্টে সেই পার্থক্য স্পষ্ট। পাশাপাশি মার্কিন সংস্থা এনআইএইচ ক্লিনিকাল সেন্টারের থাকা এক্স-রে'র তথ্য ঘেঁটেও একটা উপসংহার টানতে পেরেছি।"
করোনা নিয়ে ফ্রান্সে নয়া পরীক্ষা, সিগারেটের নিকোটিন দিয়ে চিকিৎসার চেষ্টা
তিনি বলেন, "আমার সফটওয়্যার ব্যবহার করে তৈরি এক্স-রে রিপোর্ট আপলোড করতে পারবেন চিকিৎসকরা। সেই রিপোর্ট থেকেই ফারাকটা স্পষ্ট হয়ে যাবে রোগীর দেহে কোন রোগের লক্ষ্মণ। কোভিড-১৯, না নিউমোনিয়া,না অন্য কোনও ফুসফুস জনিত রোগে আক্রান্ত সেই রোগী। স্পষ্ট করে দেবে সেই সফটওয়্যার।" পাঁচ সেকেন্ডের মধ্যে সংক্রমণের লক্ষ্মণ চিহ্নিত হয়ে যাবে, দাবি করেছেন সেই অধ্যাপক।
তবে প্রাথমিক সংক্রমণ ধরিয়ে দিতে কাজ করবে এই সফটওয়্যার। যাতে পরবর্তী কালে সঠিক চিকিৎসা করিয়ে সারিয়ে তোলা যায় সেই রোগীকে, এমন দাবিও শোনা গিয়েছে অধ্যাপক জৈনের গলাতে।