Read in English
This Article is From Dec 01, 2018

শীঘ্রই ৮.৫ মাত্রার বিধ্বংসী ভূমিকম্পের কবলে পড়তে পারে হিমালয়- জানাচ্ছে গবেষণা

বিশেষত এখানকার ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা এবং পরিবেশের কথা মাথায় না রেখেই অপরিকল্পিত নির্মাণকাজ ও সম্প্রসারণ সার্বিকভাবে বিশাল চাপ সৃষ্টি করছে হিমালয়ে।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া

গুগল আর্থ এবং ভারতীয় স্পেস এজেন্সি ইসরোর কার্টোস্যাট-১ স্যাটেলাইটের চিত্রাবলী ছাড়াও জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া দ্বারা প্রকাশিত স্থানীয় ভূতত্ত্ব ও কাঠামোগত মানচিত্র অনুসরণ করেছেন গবেষকরা

Highlights

  • গবেষণা বলছে ক্রমাগত চাপ বাড়ছে হিমালয়ের
  • ৮.৫ তীব্রতার একটি ভূমিকম্প হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে হিমালয়ে
  • ৬০০-৭০০ বছর ধরে ভূমিকম্পের দিক থেকে শান্ত হয়ে আছে এই হিমালয়
বেঙ্গালুরু :

হিমালয় পর্বতমালায় বড়সড় ভূমিকম্পের ভবিষ্যৎবাণী বিজ্ঞানীরা আগেই করেছিলেন। ভারতীয় গবেষকদের আরও একটি গবেষণায় আরও জোরদার হয়েছে এই আশঙ্কার কথাই।

বেঙ্গালুরুতে জওহরলাল নেহরু সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড সায়েন্টিফিক রিসার্চের সিসমোলজিস্ট সিপি রাজেন্দ্রনের নেতৃত্বাধীন নতুন গবেষণায় বলা হয়েছে, “এই অঞ্চলে চাপের পরিমাণ ক্রমাগত বাড়তে থাকায় ৮.৫ বা তার বেশি মাত্রার একটি অথবা একাধিক ভূমিকম্প কেন্দ্রীয় হিমালয়ে ভবিষ্যতে যে কোন সময় ঘটতে পারে।"

"জিওলজিকাল জার্নালে" প্রকাশিত এই গবেষণা অনুযায়ী, গবেষকরা সমকালীন তথ্য এবং পশ্চিম নেপাল এবং চরগালিয়ায় অবস্থিত মহানা খোলার, যা ভারতীয় সীমান্তের মধ্যেই পড়ে, স্থানীয় তথ্য যাচাই করেছে। এই তথ্য কেন্দ্রীয় হিমালয়ের শেষ চ্যুতির সময় নির্ধারণ করতে ব্যবহৃত হয়েছে।

গুগল আর্থ এবং ভারতীয় স্পেস এজেন্সি ইসরোর কার্টোস্যাট-১ স্যাটেলাইটের চিত্রাবলী ছাড়াও জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া দ্বারা প্রকাশিত স্থানীয় ভূতত্ত্ব ও কাঠামোগত মানচিত্র অনুসরণ করেছেন গবেষকরা।

Advertisement

বিশ্লেষকরা বলছেন, "আমাদের এই সিদ্ধান্তে পৌঁছতেই হয়েছে যে ১৩১৫ থেকে ১৪৪০ সালের মাঝামাঝি ৮.৫ বা তারও বেশি তীব্রতার বিশাল ভূমিকম্প কেন্দ্রীয় হিমালয়ে প্রায় ৬০০ কিলোমিটার (ভাতপুর থেকে মোহনা খোলা পার করে বিশাল সিসমিক প্রভেদ) দৈর্ঘ্যের একটি প্রসারণ ঘটিয়েছে। যার গড় চ্যুতির পরিমাণ ১৫ মিটার।”

বর্তমান গবেষণায় বোঝা যাচ্ছে যে, এই বিশাল ভূমিকম্পের পরে কেন্দ্রীয় হিমালয় (ভারতের এবং পূর্ব নেপালের অংশগুলিতে বিস্তৃত) ৬০০ থেকে ৭০০ বছর ভূকম্প থেকে প্রচ্ছন্ন হয়ে রয়েছে। যার ফলে এই অঞ্চলে তীব্রভাবে চাপ বাড়ছে।

‘জীবন্ত ডাস্টবিন' হয়েই পরিবেশ বাঁচানোর ডাক দিচ্ছেন উড়িষ্যার যুবক

"বহুকাল ধরে হিমালয়ের এই অংশে ৮.৫ বা তারও বেশি মাত্রার ভূমিকম্প হয়নি। এই সম্ভাব্য উচ্চমাত্রার ভূমিকম্পের ঝুঁকি এখানে ভয়াবহ হয়ে দেখা দিতে পারে। বিশেষত এখানকার ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা এবং পরিবেশের কথা মাথায় না রেখেই অপরিকল্পিত নির্মাণকাজ ও সম্প্রসারণ সার্বিকভাবে বিশাল চাপ সৃষ্টি করছে হিমালয়ে।" বলেন রাজেন্দ্রন।

Advertisement

হিমালয়ের ভূকম্প নিয়ে বিশদে কাজ করা কলোরাডো বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কিন জিওফিজিসিস্ট রজার বিলহ্যামও ভারতীয় গবেষকদের এই ফলাফলকে পুরোপুরি সমর্থন করেছেন। বিলহ্যাম বলেন, "তারা একেবারে সঠিক বলেছেন। ভূমিকম্প একটা হবেই এই সময়। তার মাত্রা ৮.৫ এর সমানও হতে পারে"।

 

Advertisement

আরও খবর পড়ুন এখানে 



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদিত করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে.)
Advertisement