Read in English
This Article is From Aug 18, 2018

খেলা থেকে রাজনীতি- জেনে নিন ইমরান খান ছাড়া আরও পাঁচ জন এমন মানুষের কথা

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ইমরান খানের যোগদান আসলে বিশ্বকাপ জয়ী ক্রিকেট অধিনায়ক থেকে পারমাণবিক অস্ত্র সম্বলিত দেশের নেতা হয়ে ওঠার এক জার্নি

Advertisement
অফবিট

প্রাক্তন পাক ক্রিকেটার এবং পিটিআই চিফ ইমরান খান পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নিলেন

নিউ দিল্লি :

খেলার মাঠ ছেড়ে রাজনীতির ময়দান – সময়টা দু’দশকেরও বেশি। পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ইমরান খানের যোগদান আসলে বিশ্বকাপ জয়ী ক্রিকেট অধিনায়ক থেকে পারমাণবিক অস্ত্র সম্বলিত দেশের নেতা হয়ে ওঠার এক জার্নি। কিন্তু তিনি একাই নন, খেলা থেকে রাজনীতিতে আসা মানুষের তালিকা নেহাত কম না। এখানে পাঁচজন খেলোয়াড়ের কথা রইল যারা পরবর্তী জীবনে রাজনীতিতে যোগ দিয়েছেন:

 

- জর্জ ওয়েহ -

Advertisement

ইমরান খানের প্রধানমন্ত্রীত্ব গ্রহণের ঠিক আট মাস আগে লাইবেরিয়ার প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত হয়েছেন জর্জ ওয়েহ।

মনরোভিয়ার বস্তিতে অন্য শিশুদের সাথেই বলে লাথি মারতে মারতে আফ্রিকার অন্যতম সেরা ফুটবলারদের একজন হয়ে উঠেছিলেন জর্জ। শীর্ষস্থানীয় ইউরোপিয়ান ক্লাবের হয়ে খেলে ফিফার বর্ষসেরা খেলোয়াড় এবং ব্যালন ডি'অর উভয় খেতাবই জেতেন।

Advertisement

2004 সালে লাইবেরিয়াতে প্রাণঘাতী গৃহযুদ্ধ থেকে কোনও ক্রমে বেঁচে যান তিনি। লাইবেরিয়ার বেশিরভাগ অংশই ধ্বংস করে দিলেও জর্জের সম্পদ ও খ্যাতি নষ্ট করতে ব্যর্থ হয় এই গৃহযুদ্ধ। 2005 সালে প্রেসিডেন্টের পদে ভোটে লড়েও ব্যর্থ হন তিনি। বারো বছর পর তিনি জয়লাভ করেন। শিক্ষা, চাকরি সংস্থান এবং পরিকাঠামোর উন্নয়ন বিষয়েই জোর দিয়েছিলেন তিনি।

 

Advertisement

- আর্নল্ড শোয়ার্জেনেগার -

রূপোলী পর্দা এবং রাজনীতির আগে, অস্ট্রীয় বংশোদ্ভূত আর্নল্ড শোয়ার্জেনেগার ছিলেন বিশ্বের সেরা বডিবিল্ডারদের মধ্যে অন্যতম।

Advertisement

স্থানীয় ফুটবল দলে খেলার সময়েই শোয়ার্জেনেগার বডিবিল্ডিং দ্বারা আকৃষ্ট হন। এবং পরবর্তীকালে তিনিই হয়ে ওঠেন মিস্টার ইউনিভার্স প্রতিযোগিতার সর্বকনিষ্ঠ বিজয়ী।

পরে তিনি অভিনয়ের জগতে ঢুকে পড়েন। 1980-এর দশকে কনান দ্য বার্বারিয়ান এবং টার্মিনেটরের মতো সিনেমায় অভিনয়ও করেন আর্নল্ড। একজন মধ্যপন্থী রিপাবলিকান হিসেবে তিনি 2003 সালে ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর হন এবং টানা দু’বার ওই পদেই নির্বাচিত হন।

Advertisement

তিনি বেশ কয়েকবার সামাজিক বেশ কিছু বিষয় যেমন গর্ভপাত, গে বিবাহ এবং বন্দুক নিয়ন্ত্রণের মতো বিষয় থেকে নিজেকে দূরে রেখেছেন। টুইটারে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে প্রায়ই মতানৈক্যও দেখা গিয়েছে আর্নল্ডের।

 

- ম্যানি প্যাকুইয়াও -

বক্সার ম্যানি প্যাকুইয়াও ফিলিপিনসের অন্যতম আইকন।

আটটি ভিন্ন ওজন বিভাগে 12 টি বিশ্ব শিরোপা বিজয়ী ম্যানি সফলভাবে তার বক্সিং খ্যাতিকে রাজনৈতিক কর্মজীবনের কাজে লাগিয়েছেন। তিনি হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস পদে নির্বাচিত হন এবং তারপর 2016 সালে সেনেটেও নির্বাচিত হন। প্যাকুইয়া একটি আন্তর্জাতিক সাক্ষাৎকারে সমকামীদের সঙ্গে পশুদের তুলনা করলে সারা বিশ্বই তাঁর সমালোচনা করে। পরে নিজের বক্তব্যের সাপেক্ষে তিনি  বাইবেলের কথাও উদ্ধৃতি হিসেবে টেনে আনেন।

 

- ভিটালি ক্লিটস্কো -

দু’মিটার লম্বা (6 ফুট 6 ইঞ্চি) হেভিওয়েট চ্যাম্পিয়ন ক্লিটস্কো একজন ইউক্রেনীয় বিরোধী নেতা এবং বর্তমানে কিয়েভের মেয়র পদে আসীন। তিনি পৃথিবীর বক্সিং সার্কিটের একজন শান্ত বুদ্ধিজীবী হিসেবেই পরিচিত। বিভিন্ন ভাষায় পারদর্শী, স্পোর্টস সায়েন্সে পিএইচডি করা ভিটালি অবসর কাটাতে ভালোবাসেন দস্তয়ভস্কির উপন্যাস পড়ে।

"কিয়েভের মেয়র হওয়ার চেয়ে বিশ্বের হেভিওয়েট চ্যাম্পিয়ন হওয়াটা অনেক সহজ," গার্ডিয়ান পত্রিকার একটি সাক্ষাৎকারে এই বছরের গোড়ার দিকেই এমনটা বলেছিলেন তিনি। তাঁর মতে, "রাজনীতি আপনাকে পিছন থেকে আঘাত করে।  এটি আদতে খুবই কঠিন।"

 

- অর্জুন রানাতুঙ্গা -

শ্রীলঙ্কার এই ক্রিকেটার অবসর গ্রহণের পর শীঘ্রই রাজনীতিতে প্রবেশ করেন, বিরোধীদের দলে আসার আগে কিছু সময়ের জন্য জুনিয়র পর্যটন মন্ত্রী হিসেবে কাজ করেন অর্জুন।

2015 সালে তিনি শ্রীলঙ্কার ক্যাবিনেট মন্ত্রী হিসেবে মনোনীত হন এবং বর্তমানে পেট্রোলিয়াম মন্ত্রকের দায়িত্বে আছেন তিনিই। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে রানাতুঙ্গা শ্রীলংকার দূর্নীতিগ্রস্ত ক্রিকেট বোর্ডের বিরুদ্ধে বারেবারেই সরব হয়েছেন

Advertisement