This Article is From Sep 27, 2019

দুটি পরমাণু শক্তিধর দেশ লড়াই করলে, বিশ্বে “প্রভাব” পড়ে, রাষ্ট্রসংঘে বললেন ইমরান খান

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ভাষণের পর, জবাব দেবে ভারত

দুটি পরমাণু শক্তিধর দেশ লড়াই করলে, বিশ্বে “প্রভাব” পড়ে, রাষ্ট্রসংঘে বললেন ইমরান খান

ইমরান খান দাবি করেন, “পাকিস্তানে কোনও জঙ্গি সংগঠন নেই”

রাষ্ট্রসংঘ:

প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির পাশাপাশি শুক্রবার রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় (UN General Assembly) বক্তব্য রাখলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান (Imran Khan)। সেখানে তিনি বলেন, যখন দুটি পরমাণু শক্তিধর দেশ লড়াই করে, গোটা বিশ্বে তার “প্রভাব” পড়ে। রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় জম্মু ও কাশ্মীরে একাধিক বিষয় তুলে ধরে, তিনি বলেন, “এটা রাষ্ট্রসংঘের কাছে পরীক্ষা”, এর বেশ কিছুটা আগে, ভাষণে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে গোটা বিশ্বকে এক হওয়ার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ভাষণের পর, জবাব দেবে ভারত। ১৫ মিনিট সময়সীমার বেশী ধরে ভাষণে, বেশীরভাগ সময়েই জম্মু ও কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার নিয়ে ভারতের সিদ্ধান্তের প্রসঙ্গ তুলে ধরেন ইমরান খান।  

“আমরা বিশ্বকে বুদ্ধ দিয়েছি, যুদ্ধ নয়”, রাষ্ট্রসংঘে বললেন প্রধানমন্ত্রী

তিনি বলেন, “দুটি দেশের মধ্যে যদি প্রচলিত যুদ্ধ শুরু হয়...যা কিছু হতে পারে”। ইমরান খান দাবি করেন, “পাকিস্তানে কোনও জঙ্গি সংগঠন নেই”।

পাকিস্তানের নাম না করে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, মানবিকতার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদ যা করছে, তাতে বিশ্বজুড়ে তা নিয়ে আরও ক্ষোভের সঞ্চার হওয়ার প্রয়োজন। তিনি বলেন, “আমরা বিশ্বকে বুদ্ধ দিয়েছি, যু্দ্ধ নয়। যখন আমরা সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্দে সোচ্চার হই, তা গুরুত্ব এবং ক্ষোভে ভরা থাকে”। তিনি বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি যে, সন্ত্রাসবাদ কোনও একটি বিশেষ দেশের কাছে চ্যালেঞ্জ নয়, সমস্ত দেশ এবং মানবতার কাছেই চ্যালেঞ্জ। মানবতার জন্য, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বিশ্বকে এক হতে হবে”। 

“সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে রাগ, দায়বদ্ধতা রয়েছে”, রাষ্ট্রসংঘে বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

এক সপ্তাহের আমেরিকা সফরে, পাকিস্তানের প্রত্যক্ষভাবে নাম না করে, পরিষ্কার করে দিয়েছেন, যে, দেশটি সন্ত্রাসবাদের উৎসস্থল, এবং তাদের মাটিতে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ বন্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।

গত রবিবার, হাউস্টনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে “হাউডি মোদি” অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, “তাদের মূল এজেন্ডা হল ভারতের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়ানো। তারা সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করে, তারা সন্ত্রাসবাদীদের প্রশয় দেয়। সেটা ৯/১১-এ আমেরিকা হোক বা ২৬/১১ এর মুম্বই হামলা, ষড়যন্ত্রকারীদের কোথায় পাওয়া গিয়েছিল? শুধু আপনারা নন, সারা বিশ্ব জানে, তারা কোন দেশের”।

.