Article 370 Jammu and Kashmir: মঙ্গলবার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বক্তব্য রাখলেন পাকিস্তান সংসদের যুগ্ম অধিবেশনে।
নয়াদিল্লি: জম্মু ও কাশ্মীরে (J&K) ৩৭০ ধারা (Article 370) বাতিল করে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে রূপান্তরিত করার পদক্ষেপ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। মঙ্গলবার পাকিস্তানের (Pakistan) প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান (Imran Khan) এই নিয়ে বক্তব্য রাখলেন পাকিস্তান সংসদের যৌথ অধিবেশনে। তিনি বলেন, ‘‘ওরা (ভারত) কিছু করতে পারে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে। আমরা প্রতিশোধ নেব। শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত লড়ব।'' এদিনই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সংসদে জানিয়ে দেন জম্মু ও কাশ্মীর বলতে তিনি পাক অধিকৃত কাশ্মীরকেও বোঝেন। তিনি বলেন, ‘‘কাশ্মীর ভারতের অখণ্ড অংশ। আমি এটা সম্পূর্ণ পরিষ্কার করে দিতে চাই যে যখনই আমরা জম্মু ও কাশ্মীর বলি, তার মধ্যে পাক-অধিকৃত কাশ্মীরও পড়ে (গিলগিট-বালটিস্তান সহ) এবং আকসাই চিনও পড়ে। এ নিয়ে কোনও সন্দেহ থাকা উচিত নয়। সমগ্র জম্মু ও কাশ্মীর হল ভারতের অখণ্ড অংশ।''
দুই দেশের পারমাণবিক শক্তি রয়েছে, একথা জানিয়ে ইমরান বলেন, এই পরিস্থিতিতে কী হতে পারে পরবর্তী পদক্ষেপ। যুদ্ধ প্রসঙ্গে পাক প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য, ‘‘প্রথাগত যুদ্ধ? কিন্তু কেউ এতে জিতবে না।''
দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ হচ্ছে জম্মু ও কাশ্মীর
এরপর ইমরান বলেন, ‘‘আমি কি নিউক্লিয়ার ব্ল্যাকমেল করছি? আমি সাধারণ জ্ঞান প্রয়োগ করছি।''
সম্প্রতি মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে কাশ্মীর ইস্যুতে মধ্যস্থতা করার জন্য বলেন ইমরান খান। ভারত অবশ্য বরাবরই জানিয়ে এসেছে এবিষয়ে পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক আলোচনা হতে পারে। কিন্তু কোনও মধ্যস্থতাকারী তারা চায় না। এছাড়াও ভারতের বক্তব্য, পাকিস্তান সন্ত্রাসে মদত দেওয়া বন্ধ না করলে দ্বিপাক্ষিক আলোচনাতে বসাও সম্ভব নয়।
‘যেভাবে ৩৭০ ধারা বাতিল হল তা সাংবিধানিক অবৈধতা'': ডেরেক ও'ব্রায়েন
রাষ্ট্রসঙ্ঘের প্রতিরক্ষা কাউন্সিলের স্থায়ী সদস্য চিন, ফ্রান্স, রাশিয়া, ব্রিটেন এবং আমেরিকাকে কাশ্মীরের পদক্ষেপ সম্পর্কে বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে যে এটি দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। উদ্দেশ্য সন্ত্রাস বন্ধ এবং প্রশাসনিক উন্নতি।
৩৭০ ধারা বাতিল করে জম্মু ও কাশ্মীরের ‘স্পেশাল স্ট্যাটাস' তুলে দিয়ে রাজ্যকে দু'টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করার কেন্দ্রীয় সরকারের পদক্ষেপকে মঙ্গলবার তাদের সমর্থন জানিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি। সংযুক্ত আরব আমিরশাহির রাষ্ট্রদূত ড. আহমেদ আল বান্না জানিয়েছেন, ‘‘রাজ্যের পুনর্গঠন স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে কোনও ব্যতিক্রমী ঘটনা নয় এবং এটা মূলত করা হচ্ছে আঞ্চলিক বৈষম্য দূর করে উন্নতির লক্ষ্যে। ভারতীয় সংবিধান অনুযায়ী এটি একটি অভ্যন্তরীণ বিষয়।''