আগামী 11 অগস্ট শপথগ্রহণ করবেন ইমরান খান।
হাইলাইটস
- পাকিস্তানের সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হয়েছে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ
- যদিও, সরকার গড়ার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যার থেকে কিছুটা পিছিয়ে তারা
- বিজিত দলগুলি ভোটে রিগিং-এর অভিযোগ এনেছে
নিউ দিল্লি: পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে তাঁর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে সার্কের সদস্য দেশগুলির রাষ্ট্রপ্রধানদের আমন্ত্রণ জানানোর সিদ্ধান্ত নিল ইমরানের খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ। আজ দলের পক্ষ থেকে এই কথা জানানো হয়। 25 জুলাইয়ের সাধারণ নির্বাচনের পর ইমরান খানের দল পাকিস্তানের সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসাবে ক্ষমতায় আসে। যদিও, সরকারের গড়ার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যাটির থেকে এখনও কিছুটা দূরেই রয়েছে তাঁর দল।
গত সন্ধেয় ইমরান খান বলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে তিনি শপথ নিতে চলেছেন আগামী 11 অগস্ট।
“পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের কোর কমিটির পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, ইমরান খানের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে সার্কের সদস্য দেশগুলির রাষ্ট্রপ্রধানদের আমন্ত্রণ জানানো হবে। এই বিষয়ে খুব তাড়াতাড়িই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানো হবে”, সংবাদসংস্থা পিটিআইকে আজ এই কথা বলেন তেহরিক-ই-ইনসাফের এক শীর্ষনেতা।
ইমরান খানের জয়ের পর তাঁকে করা নরেন্দ্র মোদীর ফোনটির কথাও উল্লেখ করেন তিনি। মোদীর এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, দুই দেশের সম্পর্কের বুনোটকে দৃঢ় করবে এই সৌহার্দ্য।
ইমরান খানের দলের মুখপাত্র ফাওয়াদ চৌধুরী ইমরান খানের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে নরেন্দ্র মোদীর আসার সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দেননি। তিনি বলেন, “খুব তাড়াতাড়িই দলের পক্ষ থেকে এই ব্যাপারে সিদ্ধান্তগ্রহণ করা হবে। বিদেশমন্ত্রকের সঙ্গে কথা বলার পর এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে”।
সোমরা মোদী ইমরান খানকে ফোন করে তাঁর জয়ের জন্য অভিনন্দন জানান। পাকিস্তান ও ভারত এই দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করবে বলে আশাপ্রকাশও করেন।
ইমরান খান মোদীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আলোচনার মাধ্যমেই ফাটলগুলো পূরণ করতে হবে। “যুদ্ধ আর রক্ত কোনও সমাধান নয়, তা আসতে পারে কেবল দু’পক্ষের আলোচনার মধ্য দিয়েই”, সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ের সূত্র অনুয়ায়ী, এই কথা বলেন ইমরান খান।