தமிழில் படிக்க हिंदी में पढ़ें Read in English
This Article is From Dec 11, 2019

2002 Gujarat Riots: প্রধানমন্ত্রী মোদিকে ক্লিনচিট দিল নানাবতী কমিশন

Nanavati Commission: রিপোর্টে বলা হয়েছে, জনগণকে নিয়ন্ত্রণে অপারগ হওয়ায় ও "প্রয়োজনীয় ভূমিকা" প্রদর্শন না করায় পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by (with inputs from PTI)

Nanavati Commission: নানাবতী কমিশন রিপোর্ট জমা দেওয়ার পাঁচ বছর পরে গুজরাট বিধানসভায় পেশ করা হয় সেটি

Highlights

  • নরেন্দ্র মোদিকে ক্লিনচিট দিল নানাবতী কমিশন
  • ২০০২ সালের গুজরাটের সাম্প্রদায়িক হিংসায় ওই ক্লিনচিট দেয় কমিশন
  • তবে সেই সময় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে নানাবতী কমিশন
নয়া দিল্লি:

২০০২ সালে গুজরাটের সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনা (2002 Gujarat Riots) নিয়ে নানাবতী কমিশনের রিপোর্টে নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) নেতৃত্বে তৎকালীন রাজ্য সরকারকে ক্লিন চিট দেওয়া হল। পাশাপাশি সেই সময় জনগণকে নিয়ন্ত্রণে অপারগ হওয়ায় ও "প্রয়োজনীয় ভূমিকা" প্রদর্শন না করায় পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেছে কমিশন। নানাবতী কমিশন রিপোর্ট জমা দেওয়ার পাঁচ বছর পরে গুজরাট বিধানসভায় বুধবার পেশ করা হয় সেটি। কমিশনের রিপোর্টে (Nanavati Commission) এই কথা স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে, "ওই সাম্প্রদায়িক হিংসা চলাকালীন রাজ্যের কোনও মন্ত্রী এই ঘটনাকে মদত দিয়েছিলেন বা উস্কে দিয়েছিলেন বা প্ররোচিত করেছিলেন" এমন কোনও প্রমাণ মেলেনি। এই রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে যে কিছু এলাকায় সংখ্যার বিচারে পুলিশ কম থাকায় বা সশস্ত্র না থাকার কারণে তাঁরা উত্তেজিত জনতাকে নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হয়েছিল।

গুজরাটের ওই হানাহানির সময় সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন নরেন্দ্র মোদি। পরবর্তীতে তিনি ২০১৪ সালে দেশের প্রধানমন্ত্রী হন। টানা ৫ বছর শাসন করার পর ২০১৯ সালেও দেশের মানুষ ভরসা রাখেন মোদি সরকারের উপরেই।

বিলকিস বানোকে ৫০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট

Advertisement

অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি জিটি নানাবতী এবং অক্ষয় মেহতা ২০১৪ সালে ২০০২ সালে হওয়া ওই রাজনৈতিক হিংসার বিষয়ে তাদের চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা দিয়েছিলেন। ওই সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনায় সেই সময় এক হাজারেরও বেশি মানুষ, যাঁদের মধ্যে আবার বেশিরভাগই মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ নিহত হন।

২০০২ সালে গোধরায় ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডে ৫৯ জন মানুষের মৃত্যু হয়। তারপরেই গুজরাটের বিভিন্ন জায়গায় সাম্প্রদায়িক হানাহানি শুরু হয়, যাতে মারা যান প্রায় হাজার খানেক মানুষ। ওই ঘটনায় অভিযোগের আঙুল ওঠে তৎকালীন গুজরাট সরকার এবং সরকারে মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দিকে। মোদির বিরুদ্ধে পরোক্ষ উস্কানি দেওয়া এবং হিংসা নিয়ন্ত্রণে যথাযথ ব্যবস্থা না নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এবার সেই সমস্ত অভিযোগ খারিজ করে দিয়ে নানাবতী কমিশন জানিয়েছে যে মোদির বিরুদ্ধে ওঠা কোনও অভিযোগের প্রমাণই খুঁজে পায়নি তাঁরা।

Advertisement

"হাইকোর্টের সাজা বিতর্কিত" বলে গুজরাট দাঙ্গার ৪ অভিযুক্তকে জামিনে মুক্তি দিল সুপ্রিম কোর্ট

তবে ওই হিংসার ঘটনা ছড়িয়ে পড়ার সময় বেশ কিছু পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে কর্তব্যে গাফিলতি করার প্রমাণ পেয়েছে নানাবতী কমিশন। রিপোর্টে বলা হয়েছে, তিন দিন ধরে ওই সাম্প্রদায়িক হানাহানি চললেও তা নিয়ন্ত্রণে আনতে কিছু পুলিশ আধিকারিক ‘প্রয়োজনীয় তৎপরতা ও আগ্রহ দেখাননি'। কিছু পুলিশ আধিকারিক আবার হিংসার ঘটনাটিকে নিয়ন্ত্রণ করার ব্যাপারে পুরোপুরি ‘নিষ্ক্রিয়' ছিলেন বলেও উল্লেখ করা হয়েছে নানাবতী কমিশনের রিপোর্টে। তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্তের সুপারিশও করেছে কমিশন। রিপোর্টে বলা হয়েছে, "কিছু জায়গায় পুলিশ ভিড় নিয়ন্ত্রণে অকার্যকর ভূমিকায় ছিল।"

Advertisement

দেখে নিন এই খবরগুলোও:

  .  
Advertisement