This Article is From Dec 14, 2019

গত ৬ মাসে ভারতের অর্থনীতি গুঁড়িয়ে দিয়েছে মোদি সরকার: পি চিদাম্বরম

P Chidambaram: "অর্থমন্ত্রী বলেছেন সবকিছু ঠিক আছে, আমরা বিশ্বের শীর্ষে রয়েছি, কেবল আচ্ছে দিন আনে ওয়ালে হ্যায়, কেবল এই কথাটি বলতেই বাকি রেখেছেন তিনি"

গত ৬ মাসে ভারতের অর্থনীতি গুঁড়িয়ে দিয়েছে মোদি সরকার: পি চিদাম্বরম

Bharat Bachao Rally: কেন্দ্রীয় সরকারের অর্থনীতি নিয়ে তীব্র আক্রমণ করলেন পি চিদাম্বরম

হাইলাইটস

  • মোদি সরকারের অর্থনীতি নিয়ে তীব্র সমালোচনায় চিদাম্বরম
  • গত ৬ মাসে দেশের অর্থনীতিকে গুঁড়িয়ে দিয়েছে মোদি সরকার, মত তাঁর
  • ভারত বাঁচাও সমাবেশ থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনা করেন ওই কংগ্রেস নেতা
নয়া দিল্লি:

গত ৬ মাসে দেশের অর্থনীতিকে ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছে মোদি সরকার, কংগ্রেসের মহা সমাবেশ "ভারত বাঁচাও" (Bharat Bachao Rally) থেকে কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকারের সমালোচনায় সোচ্চার হলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী তথা কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা পি চিদাম্বরম। সমাবেশের মঞ্চে দাঁড়িয়ে তিনি (P Chidambaram) বলেন,"গত ৬ মাসে মোদি সরকার ভারতের অর্থনীতির ক্ষতি করেছে। তারপরেও মন্ত্রীরা চুপচাপ বসে আছেন। গতকাল অর্থমন্ত্রী বলেছেন যে সবকিছু ঠিক আছে, আমরা বিশ্বের শীর্ষে রয়েছি। 'আচ্ছে দিন আনে ওয়ালে হ্যায়' (আচ্ছে দিন আসতে চলেছে), কেবল একথাই বলেননি তিনি"। কংগ্রেসের এই মহা সমাবেশে (Congress Rally) অংশ নেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধি, প্রিয়াঙ্কা গান্ধি এবং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং সহ দলের শীর্ষস্থানীয় নেতারাও। মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ এবং ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেলও দিল্লির রামলীলা ময়দানে আয়োজিত ওই সমাবেশে যোগ দিয়েছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী মোদি একাই ভারতীয় অর্থনীতিকে ধ্বংস করছেন, বললেন রাহুল গান্ধি

"দেশের দুর্দশার ছবি জনগণের সামনে স্পষ্ট। কংগ্রেস সব সময় জনগণের পক্ষে লড়াই করেছে", বলেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ ।

কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধির "রেপ ইন ইন্ডিয়া" মন্তব্য নিয়ে বিজেপির নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হওয়া প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করা হলে, ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী বাঘেল বলেন, "দিল্লিকে 'ধর্ষণের রাজধানী' বলায় মোদির বিরুদ্ধেও তাদের নির্বাচন কমিশনে যাওয়া উচিত ছিল। হায়দরাবাদ ও উত্তরপ্রদেশের ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে বিজেপি নেতারা কেন চুপ ছিলেন?"

রাজস্থানের উপ-মুখ্যমন্ত্রী শচীন পাইলট বলেন যে, গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলির উপর মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা উচিত।

“সত্যি কথা বলার জন্যে ক্ষমা চাইবো না”, রেপ ইন ইন্ডিয়া মন্তব্যে ফের বললেন রাহুল গান্ধি

"অর্থনীতি প্রায় স্থবির হয়ে পড়েছে। দেশের কর্মক্ষেত্রে বেকারত্বের সংখ্যা সর্বোচ্চ সীমা ছুঁয়েছে এবং তার উপর আবার রয়েছে মুদ্রাস্ফীতির যন্ত্রণা। সরকার পাল্টা পদক্ষেপ করতে ব্যর্থ হয়েছে", বলেন কংগ্রেস নেতা পাইলট ।

ভারত বাঁচাও নামে এই সমাবেশে কংগ্রেস ইস্যু করছে সদ্য হওয়া সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (Citizenship Act 2019), কৃষক সমস্যা, বেকারত্ব সহ দেশের নানা সমস্যাকে। এই সমাবেশে সারাদেশ থেকে আসা কংগ্রেস কর্মীরা অংশ নিচ্ছেন।

এর আগে কংগ্রেস দলের এই সমাবেশটি ৩০ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল তবে সংসদের শীতকালীন অধিবেশনের কথা মনে রেখে সমাবেশের দিন পিছিয়ে ১৪ ডিসেম্বর করা হয়। প্রসঙ্গত শুক্রবারই শেষ হয়েছে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন।

দেখে নিন নাগরিকত্ব বিল নিয়ে কী বলছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়:

.