হাইলাইটস
- প্রথম দুর্গাপ্রতিমা পাড়ি দিল মেলবোর্নে। কিছুটা আশ্বস্ত কুমোরটুলি
- লকডাউন ও সংক্রমণ আবহে বরাত ছিল না কুমোরটুলির
- অনেক ছোট বাজেটের পুজো এবার বরাত দেয়নি প্রতিমা তৈরির
কলকাতা: করোনা সঙ্কটের (Covid-19) মধ্যেই প্রথম দুর্গা প্রতিমা অস্ট্রেলিয়া পাঠালো (Shipment to Australia) কুমোরটুলি। একটা সময় ছিল; যখন বরাতের অপেক্ষায় দিন গুজরান করছিল উত্তর কলকাতার এই মৃৎশিল্পী পাড়া (Kumartuli)। কিন্তু মে'র প্রথম সপ্তাহ থেকে ঘুরতে থাকে অবস্থা। কলকাতার বড় পুজো কমিটির সঙ্গে প্রবাসী বাঙালিদের পুজোর বরাত আসতে শুরু করে কুমোরটুলিতে। সেই বরাত মেনেই চলতি সপ্তাহে ভারত মহাসাগর পাড়ি দিল ফাইবার গ্লাসের দুর্গা প্রতিমা (Durga Idol) জানা গিয়েছে, মেলবোর্ন দুর্গাপুজো কমিটির জন্য এই প্রতিমা পাঠানো হয়েছে। বুধবার মৃৎশিল্পী সংগঠনের সদস্য কৌশিক ঘোষ বলেছেন; "স্যানিটাইজ করেই আমরা প্রতিমা ভিন দেশে পাঠাচ্ছি। সেখানে গিয়ে আরও একবার স্যানিটাইজ করানো হবে। জার্মানি থেকে আসা একটা প্রতিমা বরাতের সরবরাহ দিতে এখন কাজ চলছে। তবে এই বছর অন্য বছরের তুলনায় অনেক কম বরাত এসেছে। কম বাজেটের কিছু পুজো কমিটি একেবারেই প্রতিমা নির্মাণের বরাত এখনও দেয়নি।" তিনি জানিয়েছেন; প্রতিবছর হালকা ওজনের ফাইবার গ্লাসের এই প্রতিমাগুলো অস্ট্রেলিয়া কিংবা জার্মানি যায়। প্রবাসীদের কাছে এই প্রতিমার চাহিদা বেশী। প্রতিবছর প্রবাসী বাঙালিদের তরফে প্রায় ৪০-৪১টি প্রতিমার বরাত আসে। কিন্তু এবছর ৩০টি প্রতিমা নির্মাণের বরাত পেয়েছি। এমন দাবি করেছেন তিনি।
জানা গিয়েছে; তাঁর প্রতিমা অস্ট্রেলিয়া, জার্মানি ছাড়াও কানাডা ও ইউএসে পাড়ি দেয়। গত ১৫ বছর ধরে এই প্রথা চলছে। প্রতিবার প্রবাসী বাঙালি ছাড়াও কলকাতার ১২টি কমিটি তাঁর প্রতিমায় পুজো আয়োজন করে। কিন্তু এবার মাত্র নয়টি কমিটি তাঁকে বরাত দিয়েছে।
এদিকে; পরিস্থিতি প্রতিকূল থাকায় এবার কোনও কমিটির বরাত নেয়নি কুমোরটুলির পরিচিত মুখ প্রদ্যুৎ পাল। পাশাপাশি ছোট অনেক মৃৎশিল্পির হাড়ির হাল। এলাকা ঘুরে এই চিত্রে সামনে এসেছ। কারণ যেহেতু পুজো কমিটির বাজেট কমেছে, পাল্লা দিয়ে কমেছে প্রতিমা তৈরির বাজেট। সেক্ষেত্রে কাঁচা মাল কিনে প্রতিমা তৈরির পর হাতে আর কিছুই পড়ে থাকছে না। এমনটাই দাবি মৃৎশিল্পীদের। কারণ ফেব্রুয়ারি থেকে বন্ধ বরাত নেওয়ার কাজ। মাঝে বাতিল হয়েছে ধুমধাম করে বাসন্তী পুজো ও পয়লা বৈশাখের আয়োজন। তাই আরও দৈন্যদশা মৃৎশিল্পীদের।
কুমোরটুলির অন্যতম মহিলা মৃৎশিল্পী কাঞ্চি পাল জানিয়েছেন; তাঁর কাছে পাঁচটি প্রতিমার বাজেট এসেছে। ছোট আকারে বাজেটসাধ্য প্রতিমার প্রতি বেশী নজর দিয়েছেন আয়োজকরা। যেহেতু লকডাউনের কারণে শিল্পীরা গ্রামের বাড়িতে, তাই ফের কাজে ফিরলেই শুরু হবে মূর্তি তৈরির কাজ। এমনটাই জানিয়েছেন কাঞ্চি পাল।