This Article is From Apr 15, 2020

অসমের গ্রামে মহিলাদের হাতে গামোসা থেকে তৈরি হচ্ছে চিত্রবিচিত্র মাস্ক

এই চিত্রবিচিত্র মাস্কের দাম পড়বে ৩০ টাকা। বিহুর মরশুমে উপহার হিসেবে এটি জনপ্রিয়ও হয়ে উঠেছে।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Reported by , Edited by

গোটা দেশের মতো অসমেও ছড়িয়েছে করোনা ‌সংক্রমণ (প্রতীকী)

Highlights

  • অসমের বিখ্যাত গামোসা থেকে তৈরি হল মাস্ক
  • মাস্কগুলির মূল্য ৩০ টাকা
  • বিহুর মরশুমে উপহার হিসেবে জনপ্রিয় হয়েছে এগুলি

কোভিড-১৯ (COVID-19) সংক্রমণের ধাক্কায় বেসামাল দেশ। এই পরিস্থিতিতে এই অভূতপূর্ব বিপদের সঙ্গে সাক্ষাতের মুহূর্তে নানা সৃষ্টিশীলতার পরিচয় দিয়েছেন অনেকেই। তেমনই এক সৃষ্টিশীলতার দেখা মিলল অসমেও (Assam)। সেখানকার গামোসা (Gamosa) থেকে তৈরি করা হল অভিনব দর্শন মাস্ক (Mask)। প্রান্তিক লাল ও বাকি অংশে সাদা রঙের গামছা সদৃশ এই গামোসা অসমের এক নিজস্ব সাংস্কৃতিক অভিজ্ঞান। অসমের কামরূপ জেলার এক গ্রামে এবার সেই গামোসা থেকেই তৈরি করা হল মাস্ক। এর প্রান্তে কেবল ফুলের নকশাই নয়, তার সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছে হাতি, গণ্ডার কিংবা হাড়গিলের মতো অসমের বিপন্ন পাখিদের ছবিও। এভাবেই মাস্কটি হয়ে উঠেছে বন্য প্রাণ সংরক্ষণেরও বার্তাবাহী। সেই মাস্কই এবার ভাইরাসের কবল থেকে বাঁচানোর জন্য লড়াইয়ে নামছে।

জনৈক গ্রামবাসী মামণি মালাকার জানাচ্ছেন, ‘‘অসমের এই গামোসা আমাদের গর্ব এবং এবার আমরা তা থেকে মাস্কও বানিয়ে ফেলেছি। খুব সামান্য খরচেই এটি বানানো যায়। লকডাউনের সময় ইউটিউব দেখে মাস্ক বানানোর কৌশল শিখে আমরা তার সাহায্যে গামোসা থেকে মাস্ক বানিয়েছি। এভাবেই আমাদের সীমিত ক্ষমতায় আমরা লড়াই করছি প্রাণঘাতী অসুখটির সঙ্গে।''

২০ এপ্রিল থেকে করোনা সংক্রমিত অঞ্চলের বাইরে কী কী বিষয়ে মিলবে ছাড়, জানুন

Advertisement

ডোডোরা গ্রামের অলাভজনক সংস্থা যারা হাড়গিলের মতো বিপন্ন পাখির মতো বন্যপ্রাণ সংরক্ষণের জন্য লড়ছে, তাদেরই পরিকল্পনা মেনে গামোসার শরীরে এঁকে দেওয়া হয়েছে হাড়গিলের মোটিফ। এই চিত্রবিচিত্র মাস্কের দাম পড়বে ৩০ টাকা। বিহুর মরশুমে উপহার হিসেবে এটি জনপ্রিয়ও হয়ে উঠেছে।

"স্বাদ-গন্ধ কিছুই পাচ্ছিলাম না": অভিজ্ঞতা শেয়ার করলেন করোনাকে জয় করে ফেরা তরুণী

Advertisement

গ্রামের এক মহিলা রিন্টি বোরা জানাচ্ছেন, বিহু এখানকার সবথেকে বড় উৎসব। কিন্তু এবার কোভিড-১৯-এর দাপটে উৎসব উদযাপন বিশ বাঁও জলে। দুঃখ ভুলতে এই গামোসার মাস্কই এখন পরস্পরকে উপহার দিচ্ছেন তাঁরা। লক্ষ্য মাস্কের আড়ালে সুরক্ষিত থাকুক গ্রামের মানুষ। দৈনিক একশোটির মতো করে মাস্ক তৈরি হচ্ছে।

দেশজুড়ে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করেছে কেন্দ্র। এই পরিস্থিতিতে গামোসা অবশ্য সীমানা পেরিয়ে অন্য রাজ্যে যেতে পারবে না। কিন্তু এটা নিশ্চিত, এমন অভিনব মাস্কের সন্ধান পেলে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষও অনুপ্রেরণা পাবেন। জীবন বাঁচানোর এমন অভিনব প্রকাশের সন্ধান তাঁদের এই মারণ রোগের সঙ্গে লড়তে সাহস জোগাবে।

Advertisement