This Article is From Jun 06, 2019

কলকাতার পর কোচবিহারে খুন তৃণমূল কর্মী, পিটিয়ে মারার অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে

অভিযোগ গতকাল রাতে আজিজুর  রহমান নামে এক তৃণমূল নেতাকে মারধর করেন আজহার আলি সহ বিজেপির কয়েকজন কর্মী।

Advertisement
Kolkata

আগে খোদ কলকাতায়  আততায়ীর গুলিতে খুন হন তৃণমূল কাউন্সিলর

Highlights

  • কলকাতার পর কোচবিহারে প্রাণ গেল তৃণমূল কর্মীর
  • মারধরের জেরেই দলীয় কমীর প্রাণ গিয়েছে বলে দাবি তৃণমূলের
  • বিজেপির দাবি ব্যাক্তিগত কারণেই মৃত্যু হয়েছে তৃণমূল কর্মীর
কোচবিহার :

কলকাতার পর কোচবিহারে  (Cooch Behar) প্রাণ গেল তৃণমূল কর্মীর। অভিযোগ গতকাল রাতে আজিজুর  রহমান নামে এক তৃণমূল কর্মীকে মারধর করেন আজহার আলি সহ বিজেপির কয়েকজন কর্মী। আর সেই মারধরের জেরেই  তাঁর প্রাণ গিয়েছে  বলে  দাবি তৃণমূলের। অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আজাহার। তাঁর  দাবি  ব্যাক্তিগত আক্রোশের কারণেই আজিজুরের মৃত্যু হয়েছে।  স্থানীয় বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামানিকেরও (BJP MP Nishith Pramanik)  দাবি ব্যক্তিগত কারণেই প্রাণ গিয়েছে তৃণমূল কর্মীর। কিন্ত  সেটাকে রাজনৈতিক কারণে ব্যবহারের চেষ্টা হচ্ছে। বিজেপির কেউ এই খুনের ঘটনায় জড়িত নয়। এর আগে খোদ কলকাতায়  আততায়ীর গুলিতে খুন হন তৃণমূল কাউন্সিলর নির্মল কুণ্ডু। 

হামসে যো টকরায়ে গা... ইদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ মমতার

দমদম  পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের এই কাউন্সিলরকে বাইকে চেপে এসে গুলি করে পালায় আততায়ীরা। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে  নিয়ে  যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। চিকিৎসকদের অনুমান গুলি লাগার অব্যবহিত পরেই তাঁর  মৃত্যু হয়েছে। কারা কেন তাঁকে খুন করল তা এখনও স্পষ্ট নয়। এর নেপথ্যে কোনও রাজনৈতিক সমীকরণ আছে  কিনা তা স্পষ্ট নয়। ঘটনায় দুজুনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।     

Advertisement

  এমনিতেই উত্তর চব্বিশ পরগনায় তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে এলাকা দখলের লড়াই তীব্র হয়েছে । তার সঙ্গে এই ঘটনার কোনও যোগ আছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। 

সিসিটিভি বন্দি হত্যাদৃশ্য! তৃণমূল কাউন্সিলরকে খুন করল দুষ্কৃতীরা, ধৃত ২

Advertisement

এই উত্তর চব্বিশ পরগনাতেই রাজ্যের প্রথম পুরসভা দখল করেছে বিজেপি। তাছাড়া এই  জেলার ব্যারাকপুর লোকসভা আসন  দখল  করে চমকে দিয়েছে  বিজেপি। প্রায়  প্রতিদিনই রাজনৈতিক আক্রমণ প্রতি আক্রমণ চলছে দু-দলের নেতা-নেত্রীদের মধ্যে। আজ ইদের শুভেচ্ছা জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন,  হিন্দুরা ত্যাগের প্রতীক, মুসলমানরা ইমানের প্রতীক। খ্রিষ্টানরা ভালোবাসার প্রতীক। আর  শিখেরা   প্রতীক। এ নিয়েই আমাদের ভালোবাসার দেশ তৈরি হয়েছে। আর আমরা সেটিকে রক্ষা করব, এর পরেই মমতা লেখেন, ‘হামসে যো টাকরায় গা উয়ো চুর চুর হো জায়গা'।  কেউ খারাপ চাইলেই খারাপ হয় না। ঈশ্বর যা চান তাই হয়। যারা যত তাড়াতাড়ি ইভিএম দখল করেছে তারা ততো তাড়াতাড়ি দেশ থেকে বিদায় নেবে। কারও নাম না করলেও মমতা যে কেন্দ্রের শাসকদলের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন তা বুঝতে সমস্যা হয় না। পাল্টা রাজ্য বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক জানিয়েছেন ২০২১ সালের আগেই রাজ্যের তৃণমূল  সরকারের পতন হবে।                  

Advertisement