অব্যাহতি কমল হাসানের (ফাইল)
চেন্নাই: হঠাৎই পুরসভা থেকে তাঁর দলীয় কার্যালয়ের দেওয়ালে কোয়ারান্টাইন স্টিকার সেঁটে দিয়েছিল। ফলে, সবাই ভয় পেয়েছিলেন কমল হাসানও (Kamal Haasan) বোধহয় করোনা ভাইরাসে (coronavirus) আক্রান্ত। কাউকে বুঝিয়ে পারছিলেন না। তিনি। যেমন আচমকা সাঁটা হয়েছিল তেমনি আকস্মিক ভাবেই মুছল তা। হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন প্রযোজক-পরিচালক-রাজনীতিবিদ-অভিনেতা। খবর, তাঁর মাক্কাল নিধি মাইয়ামের অফিসের গেটে সাঁটা হয়েছিল পোস্টারটি।
খোশমেজাজে 'রামায়ণ'-এ ডুবে মন্ত্রীমশাই, সোশ্যালে ভাইরাল হতেই ডিলিট ছবি!
পোস্টার সাঁটার পরে জল্পনা ছড়িয়েছিল, কমল হাসানের স্ত্রী গৌতমী তড়িমল্লি সম্প্রতি দুবাই থেকে ফিরেছেন। তারপরেই চেন্নাই পুরসভার কর্মীরা এই স্টিকার সেঁচে দেন কার্যালয়ের গেটে। কারণ, গৌতমীর পাসপোর্টে কার্যালয়ের ঠিকানা দেওয়া ছিল। গৌতমীর বর্তমান ঠিকানা এখনও কেউ জানেন না।
কী লেখা ছিল স্টিকারে? পুরসভার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, "আমরা নিজেদেরকে করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচানোর জন্য হোম কোয়ারান্টাইনে আছি। চেন্নাইকে সংক্রমণ মুক্ত করতেই এই পদক্ষেপ।" এরপরেই কমল হাসান একটি বিবৃতিতে জানান, তিনি বা তাঁর পরিবারের কেউ করোনায় আক্রান্ত নন। এবং তাঁরা সেল্ফ কোয়ারান্টাইনেও নেই। তবে সভা, জমায়েতেও অংশ নিচ্ছেন না সাবধানতা অবলম্বনের জন্য।
এখনও সজাগ নয় জনতা, করোনা হেলমেট মাথায় তাই পথে নামল পুলিশ
ক্ষিপ্ত কমল আরও জানান, "কার্যালয়ের বাইরে আটকে দেওয়া নোটিশের জন্য গুজব ছড়িয়েছিল, আমরা করোনায় আক্রান্ত। এতে সামাজিকভাবে প্রায় একঘরে হওয়ার দশা হয়েছিল। কৈফিয়ত দিতে দিতে হাঁপিয়ে উঠেছি দিনের পর দিন। অবশেষে দূর হল সেই কাঁটা।"