This Article is From Jun 10, 2018

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি মামনুন হুসেনকে স্বাগত জানালেন চিনে

চিনের কিংডাওতে এসসিও সম্মেলনে আজ নরেন্দ্র মোদিকে হাত মেলাতে দেখা গেল পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি মামনুন হুসেনের সঙ্গে। আটটি রাষ্ট্রের চুক্তিতে স্বাক্ষর করার সময় দুই দেশের দুই শীর্ষনেতা একে অপরের সঙ্গে হাত মেলান।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Translated By

চিনের সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি মামনুন হুসেনকে স্বাগত জানালেন

নিউ দিল্লি: চিনের কিংডাওতে সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের সম্মেলনে আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে হাত মেলাতে দেখা গেল পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি মামনুন হুসেনের সঙ্গে। আটটি রাষ্ট্রের চুক্তিতে স্বাক্ষর করার সময় দুই দেশের দুই শীর্ষনেতা একে অপরের সঙ্গে হাত মেলান।
আটটি মূল সদস্য রাষ্ট্র এবং চারটি পর্যবেক্ষক রাষ্ট্রের শীর্ষনেতারা এই আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেছেন। এই সম্মেলনে সন্ত্রাসবাদ, চরমপন্থা ও মৌলবাদ বিরোধী আন্দোলন নিয়ে প্রতিটি সদস্য দেশের মধ্যে একে অপরের প্রতি সহযোগিতার রাস্তাগুলি বিবেচনা করে দেখা হবে আলোচনার মাধ্যমে।
ভারতের মাটিতে সন্ত্রাসবাদ চালানোর জন্য পাকিস্তানের বিরূদ্ধে বরাবরই সরব হয়েছে ভারত। পাকিস্তান কর্তৃক চালানো সন্ত্রাসবাদের ইস্যু নিয়ে বিশ্বের নানাবিধ আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বহুবার অভিযোগ করে এসেছে ভারত। সন্ত্রাসবাদকে রুখে দেওয়ার জন্য বিভিন্ন আন্তরজাতিক মহল থেকে ইসলামামাবাদের উপর বিভিন্ন সময় ক্রমাগত চাপ সৃষ্টি করার চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছে নিউ দিল্লি।
গত সপ্তাহে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ বলেন, “পাকিস্তানের নিজেদের ভূখণ্ড থেকে সন্ত্রাসবাদ কার্যকলাপ পরিচালনা করা এবার বন্ধ করা উচিত। ওঁরা মুখে বলেন যে ওঁরা এটা থামাতে চান। যদি নিজেরা থামাতে না পারেন, তাহলে প্রতিবেশিদের সাহায্য নেন না কেন”?
2016 সালের সেপ্টেম্বরে উরির সেনাশিবিরে জঙ্গিহানার পর, যে হানায় স্পষ্টতই জড়িত ছিল পাকিস্তানি জঙ্গিরা, জম্মু ও কাশ্মীরে মুহুর্মুহু জঙ্গিহানা শুরু হয়েছিল। তাদের মধ্যে সবথেকে বড়ো জঙ্গিহানাটি হয় ফেব্রুয়ারি মাসে সাঞ্জোয়ানে। যে হানায় নিহত হয়েছিলেন 10 জন। যাঁদের মধ্যে ছ’জন হলেন সেনাবাহিনীর জওয়ান।  
এসসিও শীর্ষ সম্মেলনে সদস্য রাষ্ট্রগুলির মধ্যে আন্তর্দেশীয় বাণিজ্যিক সম্পর্ককে দৃঢ় করার ব্যাপারেও মনোনিবেশ করতে চায় ভারত। ইরানের চাবাহার বন্দর প্রকল্পের সঙ্গে নিজেদের যুক্ত করতে চায় ভারত। এছাড়া, 7200 কিলোমিটার লম্বা আন্তর্জাতিক পরিবহণ করিডোরের সঙ্গেও নিজেদের যুক্ত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে একাগ্রভাবে, যাতে মধ্য এশিয়ার ধনী দেশগুলোর সঙ্গে সংযোগ রক্ষা করার ব্যবস্থাটি আরও সুগম হয়।  


   

 
Advertisement
Advertisement