রথযাত্রা হবে কি না তা নিয়ে এখনও কোনও স্পষ্ট নির্দেশ দেয়নি কলকাতা হাইকোর্ট।
হাইলাইটস
- দুদিন আগে বিজেপির সভা হয়েছিল, পতপত করে উড়েছিল গেরুয়া পতাকা
- আজ সেখানে হল ‘শুদ্ধিকরণ’। সৌজন্যে তৃণমূল কর্মীরা।
- গঙ্গাজল নিয়ে এসে ছিটিয়ে দিলেন তাঁরা
কোচবিহার: এই মাঠে দুদিন আগে বিজেপির সভা হয়েছিল, পতপত করে উড়েছিল গেরুয়া পতাকা। আর আজ সেখানে হল ‘শুদ্ধিকরণ'। সৌজন্যে তৃণমূল কর্মীরা। গঙ্গাজল নিয়ে এসে ছিটিয়ে দিলেন তাঁরা। ব্যবহার করা হয় গোবর-জলও। দলের নেতা পঙ্কজ ঘোষ বললেন এখানে এসে সাম্প্রদায়িক বিভাজনের বার্তা দিয়েছেন বিজেপি নেতারা। তাই মাঠটিকে শুদ্ধ করতেই হত। এই মাঠটি মদনমোহনের মাঠ। হিন্দু রীতি মেনেই শুদ্ধিকরণ করলাম আমারা। বিরোধিতার স্বর আরও কিছুটা এগিয়ে কর্মীরা বলে দিলেন গোটা কোচবিহার জেলায় মদনমোনের ছাড়া আর কারও রথ বেরবে না। এ কথা বলার নির্দিষ্ট কারণ আছে। এই কোচবিহার থেকেই রথযাত্রা শুরু করার কথা ছিল বিজেপির। কিন্তু কলকাতা হাইকোর্টে মামলা চলায় আপাতত তা স্থগিত আছে। কিন্তু শুক্রবার এই মাঠেই সভা হয়েছে।
বিজেপি রথযাত্রা কর্মসূচির কথা ঘোষণা করার কিছু দিন বাদেই একটি দলীয় সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন রথ যে রাস্তা দিয়ে যাবে সেই পথ দিয়েই পবিত্রযাত্রা হবে। আজকের কর্মসূচি তারই অঙ্গ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একটা বড় অংশ।
রথযাত্রা হবে কি না তা নিয়ে এখনও কোনও স্পষ্ট নির্দেশ দেয়নি কলকাতা হাইকোর্ট। আপাতত হাইকোর্টের নির্দেশে প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে বিজেপিকে। সেই মর্মে চিঠিও দেওয়া হয়েছে।
এদিকে রথযাত্রার অনুমতি না দেওয়ায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীবত আক্রমণ করেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। তাঁর দাবি বিজেপির শক্তি বৃদ্ধিতে তৃণমূল নেত্রী ভয় পেয়েছেন। এ ছাড়া রাজ্যে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম হয়েছে বলেও দাবি করেন অমিত। তবে তাঁরা যে রথযাত্রা কর্মসূচি থেকে সরে আসছেন না তাও জানিয়ে দেন তিনি। তাঁর কথায় , প্রতিটি যাত্রাই হবে। কেউ আটকাতে পারবে না। কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের রায় অনুসারে কোচবিহার থেকে রথযাত্রা শুরু করতে পারেনি বিজেপি। ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি শুরু হওয়ার অব্যবহিত পরেই দিল্লির সদর দপ্তরে সাংবাদিক সম্মেলন করেন অমিত। একাধিক প্রসঙ্গ তুলে তৃণমূলকে আক্রমণ করেন তিনি। তাঁর কথায় গণতন্ত্রের কন্ঠরোধ করছেন মুখ্যমন্ত্রী।