This Article is From Jun 10, 2018

গোয়াতে তৈরি 229 কেজির মাছের প্যাটি নাম তুললো গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে

বিশ্ব রেকর্ডের প্রচেষ্টাটি গোয়ার নির্বাহী শেফের নেতৃত্বে 40 জন পেশাদার রন্ধনশিল্পীর দ্বারা সম্পন্ন করা হয়।

গোয়াতে তৈরি 229 কেজির মাছের প্যাটি নাম তুললো গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে

প্রায় 5 ঘণ্টা ধরে মাছ এবং উপাদান তৈরির জন্য দলটি পরিশ্রম করে

পানাজি: আক্ষরিক অর্থে, গোয়ার সীফুড এর থেকে বড় হতে পারে না। গোয়াতে তৈরি প্রায় 300 কেজি ওজনের মাছের প্যাটি নাম তুলে নিল গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে। প্রায় মাস খানেক আগে তৈরি 296 কেজির এই ফিস কাটলেটটিকে, যেটি কিনা গোয়ার খুব নামকরা একটি স্ন্যাকস, গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস লিমিটেডের রেকর্ড রক্ষকরা বিশ্বের বৃহত্তম মাছের প্যাটি হিসাবে স্বীকৃতি  দিয়েছে।

এই খবর মুম্বাই-এর 'ট্রিনিটি' এবং সমস্ত শেফ যারা এই বিশাল কর্মযজ্ঞে অংশ নিয়েছিলেন তাদের খুব খুশি করেছে। ট্রিনিটি হলো একটি আতিথেয়তা, খাদ্য এবং পানীয় কোম্পানী।

বিশ্বের সবচেয়ে বড় মাছের প্যাটিটি, যেটি 29 সেমি উচ্চ এবং 122 সেন্টিমিটার ব্যসযুক্ত, পানাজির নিকটবর্তী একটি ইনডোর স্টেডিয়ামে 2017 সালের আগস্ট মাসে ট্রিনিটি-র চেয়ারম্যান জোসেফ ডায়াস, যিনি নিজে একজন গোয়ান, তার নেতৃত্বে তৈরি হয়।

দলটি বেশ কয়েকটি বড় হোটেল থেকে শেফদের  অন্তর্ভুক্ত করে, যারা স্থানীয় পরিষেবা এবং সরবরাহ প্রদানকারীদের দ্বারা সমর্থিত, গোয়ার কুলিনারী ফোরামের অংশ।

"আমরা এই রেকর্ডের সমস্ত প্রয়োজনীয়তা সম্পূর্ণ করেছি। আমাদের দরকার ছিল 200 কেজি ওজনের কারণ একই রকম সীফুডের যে গিনেস রেকর্ডটি আছে সেটি 136 কেজি ওজনের, তিন ফুট ব্যসযুক্ত এবং প্রায় 7 ইঞ্চি উচ্চতাযুক্ত।" বলেছেন ডায়াস।

"আমরা প্রায় 12 ঘণ্টা কাজ করি যা খাদ্য ও ঔষধ, প্রশাসন, ওজন এবং পরিমাপ বিভাগের কর্মকর্তাদের তত্ত্বাবধানে সম্পন্ন হয়।

"নিরবিচ্ছিন্ন ভিডিও ফুটেজ, ফটো, ডকুমেন্টেশন ইত্যাদি, পাঠানো হয় ক্রমাগত। তারপর গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেন মাছের প্যাটিটি সর্ববৃহৎ।" তিনি বলেন।

বিশ্ব রেকর্ডের প্রচেষ্টাটি গোয়ার নির্বাহী শেফের নেতৃত্বে 40 জন পেশাদার রন্ধনশিল্পীর দ্বারা সম্পন্ন করা হয় যাদের মধ্যে সিনার্জি হসপিটালিটি- প্যান এশিয়ান হাট-এর প্রসাদ পল, কেরাভেলা বিচ রিসর্টের সৌরভ পুরী, হলিডে ইন-এর রঞ্জিত পান্ডে, সিডেড দে গোয়া-র সুনিত শর্মা, হলিডে ইন-এর মনসুর সিং, এবং রডিসন ব্লু-এর কে মহেশ ও শেফ লিয়ন পেরেরা উল্লেখযোগ্য।

"প্রায় 5 ঘণ্টা ধরে মাছ এবং উপাদান তৈরির জন্য দলটি পরিশ্রম করে এবং এই উপলক্ষে বিশেষভাবে প্রস্তুত একটি ওভেনে সেটিকে বেক করতে প্রায় চার ঘন্টা সময় লেগেছিল।"

ডায়াস বলেন "সমস্ত উপকরণগুলি কেটে, পিষে মিশ্রিত করার পর, পুরো জিনিসটিকে কয়লার ওপরে বসানো পাত্রের মধ্যে রাখা হয় এবং ঢিমে আঁচে রান্না করা হয়।"

বিশাল এই কাজটি ছিল 185 কেজি মাছ, 660 কেজি ডিম, 2 লিটার দুধ, 25 কেজি আলু, 33 কেজি পেঁয়াজ, 10 কেজি রসুন, আট কেজি জেরকিনস, 16 কেজি গাজর, 16 কেজি ক্যাপসিকাম, 16 কেজি ধনেপাতা, 10 কেজি জালাপিনোস, ছয় কেজি পার্সলে, দুই কেজি লেবু এবং থাইম, জলপাই তেল, মশলা, লেবু একসঙ্গে একটি পেস্টের মধ্যে মেশানো এবং একটি করে প্যাটির আকৃতি দেওয়া, যা পরে একসঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়।

"রান্নার পর প্যাটিটি গিনেস কর্তৃপক্ষের দ্বারা পরিমাপ করা হয়। সেটিকে প্রদর্শনীতে ও ব্যবসায়ী পর্যটকদের মধ্যে বিতরণ করা হয় এবং বাকি অংশ একটি দাতব্য প্রতিষ্ঠানে প্রদান করা হয়, যেখানে সেটি দরিদ্রদের জন্য একটি খাদ্য ব্যাংক হিসাবে ব্যবহার করা হয়।" আরো যোগ করলেন ডায়াস।

তিনি আরো জানান "খাদ্য বিশারদরা নিশ্চিত করেছে যে সেটি খাওয়ার যোগ্য এবং উচ্চ পুষ্টির মূল্যের, কারণ তাতে ব্যবহার করা হয়েছে উপযুক্ত মানের উপকরণ।" তার মতে বিশ্বের সবচেয়ে বড় মাছের প্যাটি তৈরির কথা মাথায় আসার কারণ দলটি আবার সেই গোয়ান খাদ্যের স্বাদ ও আতিথেয়তা শিল্পটিকে ফিরিয়ে আনতে চেয়েছিল যা তারা এক দশকেরও বেশি সময় ধরে পরিবেশন করে এসেছে।

(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদিত করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে.)Click for more trending news


.