কলকাতা: কোনোদিন ভেবেছিলেন, তিনি আঁকবেন মায়ের ত্রি-নয়ন! ভাবনা দূরে থাক, এমন স্বপ্নও বোধহয় কেনোদিন দেখেননি তিনি। কিন্তু, দীর্ঘ লড়াইয়ের পর এমন অকল্পনীয় স্বপ্ন সত্যি হতে চলেছে রাজ্যের প্রথম মহিলা রূপান্তরকামী আইনজীবী সায়ন্তনী ঘোষ মেঘের জীবনে। গত বছর শহরের দুটি দুর্গাপুজোর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হওয়ার পর এবছর তিনিই প্রথম পুজোয় জেলার মুখ। আয়োজনে হাওড়ার (Howrah District) কল্যাণপল্লী ইয়ুথ ক্লাব। তৃতীয়ার দিন সায়ন্তনী নিজের হাতে চক্ষুদান করবেন কল্যাণপল্লী সার্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির দুর্গাপুজোর দুর্গাপ্রতিমার। পুজোর ভাবনা সমানুভূতির বার্তা। সেই পরিকল্পনাকে বাস্তবে রূপ দিতেই আগামীকাল ১৪ অগাস্ট এক বিশেষ উৎসবের আয়োজন করেছে পুজো কমিটি। 'সংবেদন' সংস্থার একদল স্পেশ্যাল চাইল্ডদের (Special Child) হাতে কাল রাখী (Rakhi Bandhan Utsav) বেঁধে দেবেন সায়ন্তনী (Sayantan Gosh Megh)। উদ্বোধন হবে পুজোর। জেলা থেকে সম্প্রীতির বার্তা ছড়িয়ে পড়বে শহরের বুকে--- এই আশা নিয়ে।
সংস্থার থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্তদের শিশুরা রাখী পরাবে সায়ন্তনী এবং তাঁর প্রতিষ্ঠান রুদ্রপলাশের সমস্ত রূপান্তরকামী বোনেদের হাতে। অনুষ্ঠানে উপস্থিতে থাকবেন পণ্ডিত মল্লার ঘোষ, ফ্যাশন ডিজাইনার প্রমিত মুখোপাধ্যায়। কমিটির পুজোতেও জড়িত থাকছে এই সংস্থা। এখানকার সদস্যদের তৈরি করা হাতের কাজ দিয়ে সাজানো হবে মণ্ডপ।
‘‘তৃণমূল ভয় পাচ্ছে'': পুজো কমিটিকে আয়করের নোটিশ প্রসঙ্গে মমতাকে আক্রমণ বিজেপির
ফোনালাপে সায়ন্তনী জানান, রূপান্তরকামী মা পৃথিবীতে আসছেন তাঁর ব্যতিক্রমী শিশুদের নিয়ে। এটাই হাওড়া কল্যাণপল্লী সার্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির থিম। বাজেট অল্প হলেও আয়োজনে ত্রুটি নেই। আছে আন্তরকিতাও। প্রসঙ্গত, গতবছর কলকাতার বাগুইআটি নির্ভীক সংঘ আর সোনারপুর রিক্রিয়েশন ক্লাবের পুজোর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হয়েছিলেন সায়ন্তনী।