যে মহিলারা প্রশিক্ষণ নেবেন তারা Maharashtra-এর আদিবাসী সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত (ফাইল চিত্র)
পুণে: আদিবাসী মহিলাদের সামাজিক ও অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে উদ্যোগ নিল মহারাষ্ট্র সরকার। দেশের মধ্যে প্রথমবার Maharashtra State Road Transport Corporation-এর বাস চালানোর জন্য আদিবাসী মহিলাদের বেছে নিল তাঁরা। প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রতিভা পাতিল শুক্রবার মহিলাদের চালক হিসাবে প্রশিক্ষণ ও নিয়োগের জন্য কর্পোরেশনের এই উদ্যোগের উদ্বোধন করেন। এই পাইলট প্রকল্পে প্রায় ১৬৩ জন মহিলাকে বাছাই করা হয়েছে যাঁরা ভারী যানবাহন চালানোর প্রশিক্ষণ নেবেন এবং পরে Maharashtra-এর সরকারি বাসের Women bus drivers হিসাবে অন্তর্ভুক্ত হবেন। ওই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী দিবাকর রাভতে বলেন, মহিলা মহিলা চালকদের সুরক্ষার বিষয়ে সবরকমের পদক্ষেপ করার দিকেও মনোনিবেশ করেছে মহারাষ্ট্র সরকার। "দেশে এমন উদ্যোগ এই প্রথম। আমরা মহিলাদের নিরাপত্তা এবং সুরক্ষা নিশ্চিত করার সমস্ত রকম ব্যবস্থা করেছি।"
Internet Saathi: গুগল বদলে দিচ্ছে ভারতের গ্রামীণ মহিলাদের জীবন! জানেন কীভাবে?
প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রতিভা পাতিল পরামর্শ দেন যে এমএসআরটিসি যেন তাদের মহিলা চালকদের সুরক্ষার কথা বিবেচনা করে বাড়ি থেকে খুব দূরে না পাঠায়। যদি বাইরে থাকতেও হয়, তাহলে যেন ওই চালকদের সেখানে রাত্রি যাপনের জন্যে নিরাপদ স্থানের ব্যবস্থা রাখার ব্যাপারটি নিশ্চিত করতেও বলেন তিনি।
তিনি বলেন, "প্রশাসনের উচিত এই মহিলা চালকদের তাঁদের বাড়ি থেকে দূরে না পাঠানো। তবে তাঁদের যদি রাতের বেলা কোথাও বাস থামাতেও হয়, তাহলে তাঁদের থাকার জন্য নিরাপদ জায়গারও ব্যবস্থা রাখতে হবে। এই বিষয়গুলি যেন খেয়াল রাখা হয়" ।
তিনি একথাও বলেন, "মহিলাদের শিক্ষার ব্যবস্থা করা এবং তাঁদের অগ্রগতির পথে নিয়ে যাওয়ার পদক্ষেপ এমন একটি বিষয় যা আমাদের গোটা জাতিকেই এগিয়ে নিয়ে যাবে।" তিনি আরও বলেন, আদিবাসী সম্প্রদায় "আমাদের সংস্কৃতি"-এর একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ।
এই মহিলারা গড়চিরোলি, ভর্ধা, ভান্ডারা-গন্ডিয়া জেলা সহ রাজ্যের বিভিন্ন উপজাতি অঞ্চলেও প্রশিক্ষণ নেবেন।
মহিলাদের বাসের চালক হিসাবে নিয়োগের মহারাষ্ট্র সরকারের এই সিদ্ধান্তে খুশি সবাই, কেননা এতদিন পর্যন্ত আদিবাসী মহিলাদের কাছে এই ধরণের কাজ করার সুযোগ পাওয়ার বিষয়টি স্বপ্নেরও অতীত ছিল।
চন্দ্রযান ২-এর উৎক্ষেপণেও নারীশক্তি,অভিযানের নেপথ্যে মহিলা বিজ্ঞানীরা
সংবাদ সংস্থা এএনআইয়ের সঙ্গে কথা বলেন বিজয়া রাজেশ্বরী নামে একজন আদিবাসী মহিলা চালক। তিনি বলেন, তাঁর চালক হিসাবে এই সুযোগ পাওয়া অনেকটা স্বপ্ন পূরণের মতো ছিল। "আমি কখনই ভাবিনি যে আমি গাড়ি চালাব। আমি খুব খুশি," বলেন তিনি।
"এটি মহিলাদের জন্য একটি খুব ভাল সুযোগ। তাঁরা প্রতিটি ক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে। এবার তাঁরা এই ক্ষেত্রেও দক্ষতা প্রমাণ করবে", একথাও বলেন ওই মহিলা চালক।
অন্য একজন মহিলা চালক রাপন্না পাঠানও একই রকম অনুভূতি প্রকাশ করে বলেন যে তিনি "জীবনে এটি করার" কথা কখনও ভাবেননি।