Tabrez Ansari Mob Lynching Case: মারাত্মকভাবে আহত হওয়ার পর গত ২২ জুন মারা যান Tabrez Ansari
পাটনা: জুনে ঝাড়খণ্ডে মোটর সাইকেল চোর সন্দেহে গণপিটুনির জেরে (Jharkhand mob lynching) মৃত্যু হয় ২৪ বছরের এক যুবকের। তবে ওই গণপিটুনির ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ খারিজ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত তাবরেজ আনসারির (Tabrez Ansari) ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বলছে গণপিটুনিতে নয়, তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন । এই মামলার চার্জশিট নিয়ে বিতর্ক চলাকালীন পুলিশ জানিয়েছে যে তাঁরা ২৪ বছর বয়সী তাবরেজ আনসারির উপর হামলার জন্য অভিযুক্ত ১১ জন ব্যক্তির বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ দায়ের করেছে। যদিও শনিবার আরও এক অভিযুক্ত আত্মসমর্পণ করলে দ্বাদশ অভিযুক্ত হিসাবে তাঁকেও গ্রেফতার করা হয়।ঝাড়খণ্ডের সারাইকেলা-খারওয়ানে আরও দুই যুবককে সঙ্গে নিয়ে মোটরসাইকেল চুরি করছিলেন এই সন্দেহে তাবরেজ আনসারিকে কয়েক ঘন্টা ধরে বেধড়ক মারধর করে উত্তেজিত জনতা। মারধরের পাশাপাশি ওই যুবককে "জয় শ্রী রাম" জপ করতেও বাধ্য করা হয় বলে অভিযোগ।
ঝাড়খণ্ডে গণপিটুনিতে যুবকের মৃত্যু, পাঁচ জন গ্রেফতার, সাসপেন্ড ২ পুলিশ আধিকারিক
গণপিটুনিতে মারাত্মকভাবে আহত হওয়ার চার দিন পরে ২২ শে জুন একটি হাসপাতালে মারা যান তাবরেজ আনসারি। ঘটনাটির কথা বিস্তারিত ভাবে তুলে ধরেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
"মেডিকেল রিপোর্টে হত্যার পক্ষে কোনও সমর্থনযোগ্য প্রমাণ মেলেনি যার ভিত্তিতে আমরা হত্যাকাণ্ডের অভিযোগে অভিযুক্তদের দোষী সাব্যস্ত করাতে পারি" , এনডিটিভিকে জানিয়েছেন ঝাড়খণ্ডের একজন প্রবীণ পুলিশ আধিকারিক কার্তিক এস । তিনি এও জানান যে দুটি পৃথক ময়নাতদন্তের রিপোর্টে একই জিনিস পাওয়া গেছে, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই মারা গেছেন তাবরেজ আনসারি।
পুলিশি অবহেলা ও চিকিৎসকদের গাফিলতিই তাবরেজের মৃত্যুর কারণ:তদন্ত রিপোর্ট
"আমরা প্রথমবার যখন এই মেডিকেল রিপোর্ট পাই তখন আমরা উচ্চ পর্যায়ের বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে দ্বিতীয়বার মতামত চেয়েছিলাম।কিন্তু তাঁরাও একই মতামত দিয়েছে," বলেন কার্তিক এস।
মৃত তাবরেজ আনসারির পরিবারের অভিযোগ ছিল যে তাঁর মাথা একেবারে মেরে থেঁতলে দেওয়া হয়েছিল, সে বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, তাঁরা কেবলমাত্র মেডিকেল রিপোর্ট অনুযায়ীই পদক্ষেপ করতে পারেন।
"আপনাকে এর জন্যে তাহলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের জিজ্ঞাসা করতে হবে। আমি তো এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞ নই। এটুকু বলতে পারি প্রথমবার ময়নাতদন্তের রিপোর্টে সন্তুষ্ট না হওয়ায় আমরা দ্বিতীয় মতামত নিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু দ্বিতীয়বারও বিশেষজ্ঞরা একই মতামত দিয়েছেন যে তিনি গ্রেফতারের কারণে হওয়া মানসিক বা শারীরিক অসুস্থতা জেরেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছিলেন", বলেন ওই পুলিশ আধিকারিক।
তাবরেজ আনসারির মৃত্যুর পর তদন্তে নেমে সারাইকেলা-খারওয়ানের জেলা প্রশাসক অঞ্জনেউলু দোডের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি দল প্রাথমিক ভাবে পুলিশ এবং তদন্তকারী চিকিৎসক উভয়পক্ষকই তাঁর মৃত্যুর জন্য দায়ী করেছিলেন।
জুলাই মাসে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, "পুলিশ দেরিতে পৌঁছনোয় চিকিৎসকরাও মাথার খুলির আঘাতের সঠিক পরিমাণ শনাক্ত করতে পারেননি।"