Kathua case:কাঠুয়ায় ৮ বছরের এক নাবালিকাকে ধর্ষণ করে হত্যার ঘটনায় শিউরে উঠেছে গোটা দেশ
জম্মু: এবার খোদ তদন্তকারী দলের বিরুদ্ধেই মামলা করার নির্দেশ দিল আদালত। ২০১৮ সালে জম্মুর কাঠুয়ার একটি গ্রামে আট বছরের এক নাবালিকাকে ধর্ষণ (Kathua Gangrape) ও হত্যার দায়ে ৬ জনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। এই ঘটনার প্রায় চার মাস পরে স্থানীয় একটি আদালত পুলিশকে ওই মামলার বিষয়েই নিযুক্ত বিশেষ তদন্ত দলের ৬ সদস্যের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়েরের নির্দেশ দিল। কাঠুয়া (Kathua) ধর্ষণ তথা হত্যা মামলায় সাক্ষীকে মিথ্যা বক্তব্য দেওয়ার জন্য নির্যাতন ও বলপ্রয়োগের অভিযোগ পাওয়ার পরেই এই মামলাটির (Kathua Case) তদন্ত করার জন্য ওই বিশেষ তদন্তকারী দলকে নিয়োগ করা হয়েছিল। জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট প্রেম সাগর জম্মুর সিনিয়র পুলিশ সুপারকে এই মামলার সাক্ষী শচীন শর্মা, নীরজ শর্মা এবং সাহিল শর্মার আবেদনের ভিত্তিতে ওই ৬ জন তদন্তকারী আধিকারিকের বিরুদ্ধে কগনিজেবল অফেন্স বা প্রত্যক্ষ অপরাধের অভিযোগে এই নির্দেশ দেন।
আদালত তৎকালীন এসএসপি আর কে জল্লা (বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত), এএসপি পীরজাদা নাভিদ, পুলিশ সুপার সুপারিন্টেনডেন্ট শেতমবাড়ী শর্মা এবং নিছার হুসেন, উপ-পরিদর্শক উরফান ওয়ানি এবং পুলিশের অপরাধ শাখার কেওয়াল কিশোরের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়েরের নির্দেশ দেয় এবং জম্মুর এসএসপিকে ১১ নভেম্বর অর্থাৎ পরবর্তী শুনানির তারিখের মধ্যেই সম্মতি জানাতে বলে।
চলতি বছরের জুনে, জেলা ও দায়রা বিচারক তেজবিন্দর সিং এই মামলার তিন প্রধান অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে তাঁদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় শোনান, এবং গোটা দেশকে নাড়িয়ে দেওয়া এই নক্কারজনক মামলার প্রমাণ নষ্ট করার দায়ে আরও তিনজনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের রায় দেন।
জম্মুর কাটোয়ায় ৮ বছরের নাবালিকাকে গনধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় রায়দান ১০টি পয়েন্ট
কাঠুয়ায় আইনজীবীরা আদালতে চার্জশিট জমা দিতে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করার পরে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে এই মামলাটি পাঞ্জাবের পাঠানকোটে স্থানান্তর করা হয়।
অভিযুক্তদের সমর্থনে একটি সমাবেশে অংশ নেওয়ার জন্য বিজেপি দলীয় সদস্য তথা দুই প্রতিমন্ত্রী চৌধুরী লাল সিং ও চন্দর প্রকাশ গঙ্গাকে বরখাস্ত করতে বাধ্য হয়।
কাঠুয়া মামলার চার্জশিট অনুসারে, চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি এক কিশোরীকে অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে জেলার ছোট্ট একটি মন্দিরের ভিতরে ধর্ষণ করা হয় পরে তাঁকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।
গণধর্ষণের অভিযুক্তর হয়ে মামলা লড়া আইনজীবী পেলেন সরকারি পদ
এই ঘটনায় যেখানে এই অপরাধ হয়েছিল সেই মন্দিরের তত্ত্বাবধায়ক সানজি রাম, বিশেষ পুলিশ অফিসার দীপক খজুরিয়া এবং একজন সাধারণ নাগরিক পারভেশ কুমারকে রণবীর পেনাল কোড ধারায় ষড়যন্ত্র, হত্যা, গণধর্ষণ এবং সাক্ষ্য প্রমাণ নষ্ট করার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
দুই পুলিশ আধিকারিক, সাব-ইন্সপেক্টর আনন্দ দত্ত এবং হেড কনস্টেবল তিলক রাজ এবং বিশেষ পুলিশ আধিকারিক সুরেন্দ্র ভার্মাকে প্রমাণ নষ্ট করার দায়ে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
"এই অপরাধের দুষ্কৃতীরা এমনভাবে আচরণ করেছেন যেন সমাজে জঙ্গলের কোনও আইন বলবৎ রয়েছে", নিজের রায়ে বলেন বিচারক।