Read in English
This Article is From May 23, 2018

কুমারস্বামীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে আজ সর্বদলীয় নেতাদের উপস্থিতি: 10টি তথ্য

আজ বিকেলে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথগ্রহণ করলেন এইচ ডি কুমারস্বামী। উপমুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিলেন জি পরমেশ্বর

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Translated By
আজ বিকেলে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথগ্রহণ করলেন এইচ ডি কুমারস্বামী। উপমুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিলেন জি পরমেশ্বর। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান উপলক্ষে মেগা জমায়েত হল বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক নেতার। এই অনুষ্ঠানকে 2019'এর লোকসভা নির্বাচনের আগে বিরোধী দলগুলির মধ্যে ঐক্যের চিত্রটি তুলে ধরার এক দারুণ প্রদর্শন বলেও মনে করা হচ্ছে। 58 বছর বয়সী জেডিএস নেতা শপথগ্রহণের স্থান পরিবর্তন করে স্টেডিয়াম থেকে নিয়ে যান কর্ণাটকের বিধান সৌধ কমপ্লেক্সে। জেডিএস নেতারাই তাঁকে এই পরামর্শ দিয়ে বলেন যে, বিভিন্ন বিরোধী দলগুলির জমায়েতের জন্য এই স্থানটিই আদর্শ। অন্তত চারজন মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতি নিয়ে নিশ্চয়তা জানানো হলেও দুজন আসতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন। তেলেঙ্গানার কে চন্দ্রশেখর এবং ওড়িশার নবীন পটনায়ক। তাঁদের অনুপস্থিতি সর্বদলীয় জোটের ক্ষেত্রে যে একটি প্রশ্নচিহ্ন তুলে দিল, তা নিশ্চিতভাবে বলা যায়।

1. শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে এই প্রথমবার উত্তরপ্রদেশের দুই 'একদা শত্রু-বর্তমানের বন্ধু' অখিলেশ যাদব এবং মায়াবতীকে এক মঞ্চে দেখা গেল। মায়াবতী অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছানোর পর অখিলেশ নিজে এগিয়ে এসে তাঁকে স্বাগত জানান। দুজনে মিলে জনতার দিকে তাকিয়ে হাত নাড়েন।  বাকি অনুষ্ঠানটি তাঁরা পাশাপাশি আসনে বসেই দেখলেন। উত্তরপ্রদেশের দুটি লোকসভা  উপনির্বাচনে সমাজবাদী পার্টির দুই প্রার্থীকে জেতানোর জন্য মায়াবতীর বড়ো ভূমিকা ছিল। তিনি কথা দিয়েছেন, আগামী বছরের লোকসভা নির্বাচন পর্যন্ত এই জোট থাকবে।

2. কুমারস্বামীর জেডিএস এবং রাহুল গান্ধীর কংগ্রেসও নির্বাচনের ফল প্রকাশের আগের দিন পর্যন্ত একে অপরের ঘোরতর শত্রু ছিল। কংগ্রেস তো একধাপ এগিয়ে জেডিএসকে বিজেপির 'বি-টিম'ও বলে দিয়েছিল।

Advertisement
3. নির্বাচনের ফল বেরোনোর পর 222টি আসনের মধ্যে 104টি আসনে জয়ী হয়ে বিজেপি একক বৃহত্তম দল হওয়ার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই রাহুল গান্ধী ও কুমারস্বামীর দল নির্বাচন-পরবর্তী জোট করে নেয়।

4. মঙ্গলবারে দুই দলের নেওয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী 34টি বিভাগের মন্ত্রীত্বের মধ্যে 22টি পাবে কংগ্রেস এবং মুখ্যমন্ত্রী-সহ 12টি মন্ত্রীত্ব পাবে জেডিএস।

Advertisement
5. বাকি মন্ত্রীদের নাম এবং তাঁদের বিভাগ ঘোষণা করা হবে এই সপ্তাহে কুমারস্বামীর আস্থা ভোটের পর।

6. স্পিকার এবং ডেপুটি স্পিকারের পদও দুই শরিকের মধ্যে ভাগ হয়ে যাবে। স্পিকারের পদ পাবে কংগ্রেস এবং ডেপুটি স্পিকারের পদটি যাবে জেডিএসের কাছে। স্পিকার হিসাবে কংগ্রেস রমেশ কুমারের নাম ঘোষণা করে দিয়েছে। জেডিএসের এখনও নাম ঘোষণা বাকি।

Advertisement
7. এই জোটের ফলে, জেডিএস নেতাদের আশা, বাকি বহু আঞ্চলিক দলকেও নিজেদের যুযুধান প্রতিপক্ষের সঙ্গে জোট করার ক্ষেত্রে অনুপ্রেরণা যোগাবে।

8.  কর্ণাটকে গণতন্ত্রের  ফিরে আসাকে স্বাগত জানানো নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের করা মন্তব্যকে একহাত নিয়ে বলেছেন, 'কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে তো গণতন্ত্রকে হত্যা করা হচ্ছে'। 

Advertisement
9.মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কথা কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন, দিল্লির অরবিন্দ কেজরিওয়াল, অন্ধ্রপ্রদেশের চন্দ্রবাবু নায়ড়ু প্রমুখের। সনিয়া গান্ধী এবং রাহুল গান্ধীও উপস্থিত থাকবেন এই অনুষ্ঠানে।

10. তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর এবং ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পটনায়ক কংগ্রেস ও জেডিএস নেতাদের সঙ্গে হাত মেলানোর ব্যাপারে দ্বিধায় রয়েছেন।
Advertisement