জেনে নিন এই বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ১০টি তথ্য:
এই কেলেঙ্কারির তদন্তের ভার রয়েছে যে বিশেষ তদন্তকারী দলের উপরে তার প্রধান সঞ্জীব শামি জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত দশজনের বেশি সিনিয়র আধিকারিককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। ক্যামেরায় ধরা পড়া রাজনীতিবিদদের মধ্যে বিজেপি ও কংগ্রেস উভয় দলেরই সদস্য রয়েছে।
বুধবার পাঁচ মহিলাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এঁদের মধ্যে এক ১৮ বছরের কলেজপড়ুয়াও রয়েছে।
গ্রেফতার হওয়া আর এক মহিলা বরখা সোনি (৩৫) কংগ্রেসের আইটি সেলের কর্মী অমিত সোনির স্ত্রী।
আর একজন শ্বেতা জৈন (৩৯) একটি স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা চালান। এক ব্রিজেন্দ্রপ্রতাপ সিংহ নামে এক বিজেপি বিধায়কের বাড়িতে ভাড়া থাকেন। শ্বেতাই এই চক্র চালাতেন বলে অভিযোগ। সূত্রানুসারে জানা যাচ্ছে, ওই মহিলার সঙ্গে এক প্রভাবশালী রাজনীতিবিদের যোগাযোগ ছিল।
জিজ্ঞাসাবাদের পর শ্বেতা দাবি করেন, কুড়িও বেশি কলেজ পড়ুয়া, যাদের অধিকাংশই নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে উঠে এসেছে তাদের ব্যবহার করা হত শীর্ষ আধিকারিক ও রাজনীতিবিদদের ফাঁদে ফেলার জন্য। শ্বেতা মেনে নিয়েছেন, তিনি বহু কলেজ ছাত্রীকে চাকরি, অডি গাড়ি ও পাঁচতারা হোটেলে থাকার লোভ দিয়ে ফাঁদে ফেলেছেন।
বছরখানেক ধরে ১০০০-এরও বেশি ভিডিও ক্লিপ তৈরি করে ধনী ও ক্ষমতাবানদের ব্ল্যাকমেল করা হচ্ছিল টাকা চেয়ে। শ্বেতার বাড়ি থেকে পুলিশ ল্যাপটপ, মোবাইল, কাগজপত্র ও ভিডিও-প্রমাণ সংগ্রহ করেছে।
ধৃত প্রতিটি মহিলা নিজেদের দল চালাতেন। এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, সম্ভবত এটা এদেশের সবচেয়ে বড় নারীসঙ্গে ফাঁদ পেতে ব্ল্যাকমেল করার সবচেয়ে বড় চক্র।
এই দলের সাম্প্রতিক লক্ষ্য ছিল এক শীর্ষ আইএএস আধিকারিক। তাঁকে একটি ভিডিওর জন্য ব্ল্যাকমেল করে ২ কোটি টাকা চাওয়া হয়।
ধৃত মহিলাদের অন্যতম আরতি দয়াল ইন্দোরের এক পৌর আধিকারিককে ব্ল্যাকমেল করে ৩ কোটি টাকা চাইলে তিনি অভিযোগ দায়ের করে। এর ফলেই ওই দলটি পুলিশের হাতে ধরা পড়ে।
আরতিকে ব্ল্যাকমেলের প্রথম কিস্তি বাবদ ৫০ লক্ষ টাকা দেওয়ার জন্য ইন্দোরে আসতে বলা হয়। ওখানেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে। এরপর জেরা শুরু হলে বাকিদের নাম উঠে এলে ক্রমে সবাইকেই গ্রেফতার করে পুলিশ।