আবাসিক হোমটি আপাতত বন্ধ রয়েছে। পাটনা ও মধুবনিতে পাঠানো হয়েছে বাকি আবাসিকদের।
হাইলাইটস
- চুয়াল্লিশজনের ডাক্তারি পরীক্ষা হয়েছে। তাদের মধ্যে একুশজন ধর্ষিতা
- একজনকে হত্যা করে পুঁতে দেওয়া হয়।
- দশজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মোজাফফরপুর, বিহার: ফের ভয়াবহ ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনা প্রকাশ্যে এল। এবার বিহারের মুজাফফরপুরে। বিহার পুলিশের একটি দল মুজাফফরপুরের আবাসিক হোমের মহিলা আবাসিকদের মৃতদেহ উদ্ধার করার জন্য খননকার্য শুরু করল।
ওই হোমেরই এক আবাসিক পুলিশের কাছে অভিযোগ জানান, হোমের কর্মচারীদের সঙ্গে মনোমালিন্য হওয়ার দরুণ হোমের অন্য এক আবাসিককে মারধর করে হত্যা করার পর মাটিতে পুঁতে দেওয়া হয়। অভিযোগ পাওয়ার পরেই খননকার্য শুরু করার সিদ্ধান্ত নেয় পুলিশ।
এর আগে রাজ্য সরকার-শাসিত ওই আবাসিক হোমের এক মহিলার শ্লীলতাহানীর ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে জেলা প্রশাসনের এক কর্তাকে গ্রেফতার করা হয়। ঘটনাটি নিয়ে অত্যন্ত চাপে রয়েছে নীতিশ কুমার। আরজেডির ভারপ্রাপ্ত প্রধান তেজস্বী যাদব সংশ্লিষ্ট ঘটনা নিয়ে তীব্র আক্রমণ করেছেন রাজ্য সরকারকে। তাঁর কথায়, মোজাফফরপুরের ওই আবাসিক হোমের মহিলাদের সুরক্ষা দিতে না পারাটি সরকারের বড় ‘ব্যর্থতা’।
“গত মার্চ মাস থেকেই মোজাফফরপুরের ওই সরকারি আবাসিক হোমে চল্লিশ জন নাবালিকাকে বছরের পর বছর ধরে ধর্ষণ করার ঘটনাগুলি বিহার সরকারের জানাই ছিল। বহু নাবালিকাকেই জোর করে গর্ভপাত করানো হয়। কোনও ব্যবস্থা তো নেওয়াই হয়নি। উল্টে যুদ্ধকালীন তৎপরতার সঙ্গে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়া হয়”, বলেন তেজস্বী যাদব।
ডাক্তারি পরীক্ষায় একুশজন নাবালিকার ধর্ষণ প্রমাণিত হওয়ার পর অধিকাংশ অভিযুক্তকেই গত মাসে পুলিশ গ্রেফতার করে বলে খবর। এই ঘটনাটি প্রথম প্রকাশ্যে আসে, যৌন নির্যাতনের শিকার হওয়া নাবালিকাদের নিয়ে টাটা ইনস্টিটিউট অব সোশ্যাল সায়েন্সেসের একটি সমীক্ষা প্রকাশিত হওয়ার পর। তাদের করা সমীক্ষার ওপর ভিত্তি করেই বিহার সরকারের সমাজকল্যাণ বিভাগ থেকে প্রথম এফআইারটি করা হয়েছিল।