தமிழில் படிக்க Read in English
This Article is From May 29, 2019

আজ রাহুলকে ফেরাতে তাঁর বাড়ি যাচ্ছেন শীলা দীক্ষিত ও কংগ্রেসের অন্য নেতারা

কংগ্রেস সভাপতির পদ ছাড়ার ব্যাপারে তাঁর সিদ্ধান্তে এখনও অনড় রাহুল গান্ধী । বহু দলীয় কর্মী আজ দিল্লিতে তাঁর বাড়িতে গিয়ে তাঁকে বোঝানোর চেষ্টা করবেন।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া ,
নয়াদিল্লি:

কংগ্রেস (Congress) সভাপতির পদ ছাড়ার ব্যাপারে তাঁর সিদ্ধান্তে এখনও অনড় রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। বহু দলীয় কর্মী আজ দিল্লিতে তাঁর বাড়িতে গিয়ে তাঁকে বোঝানোর চেষ্টা করবেন। বর্ষীয়ান নেত্রী শীলা দীক্ষিত বুধবার একথা জানিয়েছেন। তিনবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকা শীলা দীক্ষিত জানিয়েছেন, তিনি বিকেল চারটের সময় ওই কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে রাহুলের সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করবেন। NDTV-কে শীলা বলেন, ‘‘রাহুল গান্ধী পদত্যাগের ব্যাপারে অনড়। কিন্তু আমরা তাঁর পদত্যাগকে গ্রহণ করব না। উনি ভালো কাজ করেছেন। জেতা-হারা তো জীবনেরই অঙ্গ, কিন্তু লড়াই চা‌লিয়ে যাওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ।'' প্রসঙ্গত, এবার লোকসভা নির্বাচনে (National Election 2019) কংগ্রেস দিল্লিত সাতটি আসনেই হেরেছে। শীলাও ছিলেন সেখানকার এক প্রার্থী।

 পঞ্চম বারের জন্য ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন নবীন পট্টনায়ক

গান্ধী পরিবারের ঘনিষ্ঠ নেত্রী আরও বলেন, ‘‘আমরা হেরে গিয়েছি। এবং আমরা সেই হারকে বিশ্লেষণ করছি। আমরা আমাদের ভুলের প্রতিকার করবই। ইন্দিরা গান্ধীর সময়েও আমরা হেরেছিলাম। আজ আমরা দলীয় কর্মীদের সঙ্গে ওঁকে শান্ত করতে যাব।''

Advertisement

গত শনিবার কংগ্রেসের কার্যকরী কমিটির একটি বৈঠক ডাকেন রাহুল। লোকসভা নির্বাচনে দলের ভরাডুবির পরে ডাকা ওই বৈঠকে তিনি জানান, তিনি সিদ্ধান্ত ‌নিয়েছেন সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করার। ২০১৭ সালে মা সোনিয়া গান্ধী সরে দাঁড়ানোর পরে রাহুল ওই পদে স্থলাভিষিক্ত হন। ওই বৈঠকে তিনি বর্ষীয়ান নেতাদের কটাক্ষ করেন। তিনি অভিযোগ করেন, দলকে অগ্রাধিকার না দিয়ে নেতারা নিজেদের ছেলেদের ভোটে দাঁড়ানো নিয়ে বেশি আগ্রহী ছিলেন। এবং তার ফলেই মধ্যপ্রদেশ ও রাজস্থানের মতো বড় রাজ্য, যেখানে মাত্র পাঁচ মাস আগে তাঁরা জিতেছিলেন, সেখানে দলকে মূল্য চোকাতে হয়েছে। 

"নতুন মন্ত্রী সভায় কোনো দায়িত্ব নিতে রাজি নন অরুণ জেটলি'' লিখিত আবেদন প্রধানমন্ত্রীর কাছে

Advertisement

সেই থেকেই রাহুল নিজের সিদ্ধান্তে অটল থেকেছেন। দলীয় সদস্যদের সব অনুরোধ ও মিনতিতে কান না দিয়ে তিনি সোজাসুজি দলকে জানিয়ে দিয়েছেন, নতুন সভাপতি বেছে নিতে। এবং সেটা গান্ধী পরিবারের কাউকে নয়। কংগ্রেস দল, যেখানে নেহরু-গান্ধীদেরই অধিকাংশ সময় ক্ষমতায় থাকতে দেখা গিয়েছে, সেখানে এই পরিস্থিতি সত্যিই অভাবনীয়।

বহু রাজ্য কংগ্রেস সংগঠনের তরফ থেকে রাহুল গান্ধীকে অনুরোধ জানানো হয়েছে ইস্তফাপত্রটি ফিরিয়ে নিতে।

Advertisement