রজনীকান্ত মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এই সিনেমা মুক্তির সময় হলগুলিতে প্রয়োজনীয় সুরক্ষা প্রদানের আবেদন জানিয়েছেন
হাইলাইটস
- প্রো-কান্নাড়া দল 'কালা'-র মুক্তি বন্ধের আবেদন জানিয়েছে
- তারা মঙ্গলবার এইচডি কুমারস্বামীর সঙ্গে দেখা করে আবেদন জানায়
- কর্ণাটক রাজ্য আদালত মুখ্যমন্ত্রীকে 'কালা'-র সুষ্ঠু স্ক্রিনিং-এর আদেশ দেয়
সুপারস্টার-রাজনীতিবিদ রজনীকান্তের সিনেমা “কালা” সুপ্রিমকোর্টের হস্তক্ষেপে আজ মুক্তি পাচ্ছে। কর্ণাটক এবং তামিলনাড়ুতে কাবেরী জলবন্টন সম্পর্কে রজনীকান্তের মন্তব্যে অসন্তুষ্ট হয়ে প্রো-কান্নড়া দল এই সিনেমা মুক্তি বন্ধ করার জন্য সুপ্রিমকোর্টে আবেদন জানিয়েছিল। কর্ণাটকের নতুন মুখ্যমন্ত্রী এইচডি কুমারস্বামী, যিনি কর্ণাটকের ‘সাম্প্রতিক অবস্থা’ দেখে এই সিনেমা মুক্তি পাওয়া উচিত নয় বলে দাবী করেছিলেন, এটাই নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে তাঁর প্রথম বড় পরীক্ষা।
- বুধবার এইচডী কুমারস্বামী বলেন, যদিও ‘কালা’-র নির্ঝঞ্ঝাট স্ক্রিনিং করানো সরকারেরই কর্তব্য, তবুও তিনি ডিস্ট্রিবিউটারদের নির্দেশ দেন কাবেরী সমস্যা সমাধান না হওয়া পর্যন্ত ‘কালা’ মুক্তি স্থগিত রাখতে। প্রো-কান্নাড়া দল মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে এই সিনেমা মুক্তি বন্ধ করার আবেদন জানায়।
- কর্ণাটক হাই কোর্ট মঙ্গলবার রাজ্য সরকারকে কর্ণাটকে সুষ্ঠুভাবে ‘কালা’-র স্ক্রিনিং করানোর জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেয়।
- সিনেমা নির্মাতারা তিনটে কোর্ট থেকে আজ কর্ণাটকে সিনেমা মুক্তির নির্দেশ পেলেও, আজ কর্ণাটকে কতটা সুষ্ঠুভাবে ‘কালা’-র স্ক্রিনিং সম্ভব হবে, সে বিষয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে।
- ‘কালা’ প্রো- কান্নাড়া দলের রোষের সম্মুখীন। যারা ব্যান সত্ত্বেও কর্ণাটকে আজ কালা মুক্তি পেলে স্ক্রিনিং সুষ্ঠুভাবে হতে দেবে না বলে ‘কালা’-র নির্মাতাদের হুমকি দিয়েছে।
- রজনীকান্ত মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এই সিনেমা মুক্তির সময় হলগুলিতে প্রয়োজনীয় সুরক্ষা প্রদানের আবেদন জানিয়েছেন।
- রজনীকান্ত, যিনি নিজেও কর্ণাটকের বাসিন্দা, কান্নাড়াকে জানিয়েছেনঃ “আমি এইচডি কুমারস্বামীর অবস্থা বুঝতে পারছি। এটা কর্ণাটকের জন্য ভালো নয়। সারা বিশ্বে এই সিনেমা মুক্তি পাবে, আর কর্ণাটকে ব্যান করা হলে কাবেরী সমস্যাকে হাইলাইট করা হবে। এই ফিল্ম চেম্বারের কাজ হল ডিস্ট্রিবিউশনে কোনও সমস্যা যেন না হয় তা খতিয়ে দেখা। কর্ণাটক ফিল্ম চেম্বারের কালা নিয়ে সমস্যা হওয়া উচিত নয়। ''
- গত মাসে, সিদ্দারামাইয়ার কংগ্রেস সরকার বলপ্রয়োগ করে কর্ণাটক নির্বাচনে জিতেছিল। রজনীকান্ত তখন বলেছিলেন, যেই দলই জিতুক না কেন, কর্ণাটকের কাবেরীর জল তামিলনাড়ুতে ছাড়া উচিত।
- মিস্টার কুমারস্বামী রজনীকান্তকে এই বিষয়ে মন্তব্য করার আগে বাঁধগুলোর জলতল এবং চাষিদের অবস্থা খতিয়ে দেখার অনুরোধ জানিয়েছিলেন।
- 765 কিমি. লম্বা কাবেরী নদীকে দক্ষিণ ভারতের গঙ্গা বলে অভিহিত করা হয়। কর্ণাটক এবং তামিলনাডু উভয় রাজ্যই এটির ওপর নির্ভরশীল। প্রায় এক শতকের বেশী সময় দক্ষিণের অঞ্চলগুলোতে জলবন্টনের সমস্যা রয়েছে।
- ফেব্রুয়ারির একটা উল্লেখযোগ্য রায়ে, শীর্ষ আদালত কর্ণাটকের জলের অংশ বৃদ্ধি করে তামিলনাড়ুর অংশে জলের পরিমাণ কমিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। আদালত কাবেরী ম্যানেজমেন্ট বোর্ডকে নির্দেশ দেয় কর্ণাটক থেকে তামিলনাড়ুতে কত পরিমাণ জল ছাড়া হচ্ছে তার হিসেব রাখতে। কর্ণাটক জানায় তাদের কাছে ছাড়ার মতো যথেষ্ট জল নেই।