This Article is From Jul 05, 2019

হাফিজ সইদ নিয়ে পাক পদক্ষেপকে কসমেটিক্স পদক্ষেপ বলল ভারত

বৃহস্পতিবার, হাফিজ সইদসহ ১২জনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসে অর্থ জোগানো, আর্থিক তছরুপ সহ একাধিক অভিযোগে এফআইআর দায়ের করে পাকিস্তানের পঞ্জাব পুলিশের সন্ত্রাস মোকাবিলা বিভাগ।

হাফিজ সইদ নিয়ে পাক পদক্ষেপকে কসমেটিক্স পদক্ষেপ বলল ভারত

সন্ত্রাসে অর্থ জোগানো, আর্থিক তছরুপসহ একাধিক অভিযোগে মামলা রুজু করা হয়েছে হাফিজ সইদের বিরুদ্ধে।

নয়াদিল্লি:

হাফিজ সইদ নিয়ে পাকিস্তানের পদক্ষেপকে কসমেটিক্স পদক্ষেপ বলল ভারত।কেন্দ্রের তরফে বৃহস্পতিবার বলা হল, লস্কর-ই-তৈয়বা প্রধান হাফিজ সইদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা এবং তাকে গ্রেফতারের আশ্বাস একটি কসমেটিক্স পদক্ষেপ। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে আরও বলা হয়, সেদেশের মাটিতে থেকে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণে যথেষ্ঠ পদক্ষেপ করেনি ইসলামাবাদ।ভারতের তরফে সাক্ষ্যপ্রমাণ পাকিস্তানের হাতে তুলে দেওয়ার পরেও, সেদেশে অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছে মুম্বই হামলার মাস্টার মাইন্ড হাফিজ সইদ। আন্তর্জাতিক মহলের চাপের মুখে, বৃহস্পতিবার হাফিজ সই এবং তার ঘনিষ্ঠদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসে অর্থ জোগানোসহ একাধিক অভিযোগে মামলা রুজু করে পাকিস্তানের পঞ্জাব পুলিশের সন্ত্রাস মোকাবিলা বিভাগ। 

বিদেশমন্ত্রকের তরফে বলা হয়, “জঙ্গিগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে পাকিস্তানকে আন্তরিকভাবে প্রমাণসাপেক্ষ পদক্ষেপ করতে হবে, শুধুমাত্র আন্তর্জাতিক মহলের চোখে ধুলো দিতে চাপে কোনওমতে পদক্ষেপ করা চলবে না”।

সন্ত্রাসে অর্থ জোগানোয় হাফিজ সইদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু পাকিস্তানের

২০১৭-এ হাফিজ সইদ এবং তার চারসঙ্গীকে আটক করে পাকিস্তান সরকার। তবে ১১ মাস পর, পঞ্জাবের জুডিসিয়াল রিভিউ বোর্ড তাদের বন্দির মেয়াদ বাড়াতে অস্বীকার করলে মুক্তি দেওয়া হয়।  বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের তরফে জানানো হয়, “খুব দ্রুতই” জঙ্গি হামলার মূলচক্রী এবং তারদলবলকে গ্রেফতার করা হবে। তাকে এখনও পর্যন্ত কেন গ্রেফতার করা হয়নি, সে প্রশ্নের উত্তরে পাঞ্জাব পুলিশের মুখপাত্র নিয়াব হায়দার নাকভি বলেন, এফআইআর দায়ের করা প্রথম ধাপ। তিনি বলেন, “সইদ এবং তার যে সমস্ত সঙ্গীদের নাম এফআইআরে রয়েছে, তাদের গ্রেফতার করা হবে”।

সব সমস্যার সমাধানে আলোচনা চেয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে চিঠি ইমরান খানের: রিপোর্ট

ভারতের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রবিশ কুমার বলেন, ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলছে পাকিস্তান। তিনি বলেন, “যখন মানুষ জানতে পারবে, আমরা ব্যবস্থা চাই, তখন আপনারা অস্বীকার করবেন। আপনারা আন্তর্জাতিক মহলকে সামনে রাখার চেষ্টা করবেন। এটা দ্বিচারিতা”।

আন্তর্জাতিক পর্যায়ের প্যারিসের সংস্থা, ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স, যারা কাজ করে তারা একটি তালিকা প্রকাশ করে এবং সেখানে সন্ত্রাসে অর্থ জোগানো এবং আর্থিক তছরুপ রোধ করতে পাকিস্তানের আইন খুবই দুর্বল বলে চিহ্নিত করে। অক্টোবরে তারা জানায়, পাকিস্তানকে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে অ্যাকশন প্ল্যান সম্পূর্ণ করতে হবে নাহলে শাস্তি পেতে হবে।

.