This Article is From Feb 06, 2019

পরকীয়া সম্পর্ক নিয়ে সন্দেহ, গাড়িচালককে খুন করে দেহ টুকরো করে কেটে দিলেন চিকিৎসক

৫৬ বছর বয়সী চিকিৎসক সুনীল মন্ত্রীকে নিজের গাড়ি চালক বীরেন্দ্র পচৌরিকে সোমবার খুন করেন। বীরেন্দ্র সন্দেহ করতেন, তার স্ত্রীর সঙ্গে ওই চিকিৎসকের সম্পর্ক ছিল। পুলিশ জানিয়েছে, ওই চিকিৎসককে গ্রেফতার করা হয়েছে।

পরকীয়া সম্পর্ক নিয়ে সন্দেহ, গাড়িচালককে খুন করে দেহ টুকরো করে কেটে দিলেন চিকিৎসক

তথ্যপ্রমাণ লোপাটের জন্য চিকিৎসক দেহটিকে অ্যাসিডে ডুবিয়ে রাখেন

হাইলাইটস

  • গাড়িচালকের সন্দেহ ছিল চিকিৎসকের সঙ্গে তার স্ত্রীর অবৈধ সম্পর্ক ছিল
  • চিকিৎসক তার সার্জিক্যাল ছুরি দিয়ে গাড়িচালকের গলার নলি কেটে দেন
  • চিকিৎসক পরিকল্পনা করেই বাড়িতে ড্রাম ভর্তি অ্যাসিড জমিয়েছিলেন
হোসঙ্গাবাদ:

মধ্যপ্রদেশের হোসাঙ্গাবাদ থেকে একজন নামী অর্থোপেডিক চিকিৎসককে গ্রেফতার করল পুলিশ। অভিযোগ, তিনি নিজের ৩০ বছর বয়সী গাড়িচালককে খুন করে তার দেহ টুকরো টুকরো করে কেটে সেগুলি অ্যাসিডে ডুবিয়ে বাড়িতে রেখেছিলেন যাতে সমস্ত তথ্য প্রমাণ লোপাট করা যায়। মঙ্গলবার এমনটাই জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ।

৫৬ বছর বয়সী চিকিৎসক সুনীল মন্ত্রীকে নিজের গাড়ি চালক বীরেন্দ্র পচৌরিকে সোমবার খুন করেন। বীরেন্দ্র সন্দেহ করতেন, তার স্ত্রীর সঙ্গে ওই চিকিৎসকের সম্পর্ক ছিল। পুলিশ জানিয়েছে, ওই চিকিৎসককে গ্রেফতার করা হয়েছে।

জানা গিয়েছে, ওই চিকিৎসকের স্ত্রী বাড়িতেই একটি বুটিক চালাতেন। তবে বীরেন্দ্রর মৃত্যুর পর থেকে বীরেন্দ্রর স্ত্রী পলাতক। ‘গাড়িচালকের স্ত্রীর সঙ্গে চিকিৎসকের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল, আর তাই তিনি পালিয়ে গিয়েছেন', বলে পিটিআই-কে জানিয়েছেন পুলিশ সুপারিনটেনডেন্ট অরবিন্দ সাক্সেনা।

অরবিন্দ আরও বলেছেন ওই চিকিৎসক প্রথমে বীরেন্দ্র কে মাসে ১৬ হাজার টাকা প্রতি মাসে মাইনে তার বিনিময় গাড়ি চালক হিসেবে রেখেছিলেন। কিন্তু চিকিৎসকের অভিযোগ, বীরেন্দ্র তাকে ক্রমাগত হুমকি দিচ্ছিল স্ত্রীর থেকে দূরে থাকার জন্য।

মহাত্মা গান্ধীর প্রতিকৃতিতে গুলি করার দায়ে গ্রেফতার হিন্দু মহাসভার সম্পাদক

মঙ্গলবার পুলিশ সুপারিনটেনডেন্ট বলেন, ‘‘আমরা ওই চিকিৎসকের বাড়িতে গোপন কোনও কাজ চলছে খবর পেয়ে পৌঁছই।'' পুলিশ দেখে, চিকিৎসক অত্যন্ত অস্থির হয়ে রয়েছেন এবং মেঝেয় রক্তের দাগ। বাড়িতে পুলিশ দেখে চিকিৎসক ভেঙে পড়েন এবং নিজের অপরাধ স্বীকার করে নেন।

ডক্টর মন্ত্রী ইত্রাসির সরকারি সিভিল হাসপাতালে কাজ করতেন। জেরায় তিনি স্বীকার করেছেন যে তিনি দীর্ঘদিন ধরেই নিজের গাড়িচালককে খুন করার পরিকল্পনা করছিলেন তিনি। সে জন্য বাড়িতে এক গ্রাম ভর্তি অ্যাসিড এবং কাটারি মজুত করে রেখেছিলেন।

সুপ্রিম নির্দেশে শুধু মমতাই নৈতিক জয় দেখতে পারেন, কটাক্ষ স্মৃতির

সোমবার যখন বীরেন্দ্র পাচৌরি নিজের দাঁতে ব্যথা হচ্ছে বলে ডাক্তারের কাছে আসে চিকিৎসক তাকে বসিয়ে রেখে সুযোগ বুঝে সার্জিকাল ছুরি দিয়ে তার গলা কেটে দেন। তখন রাত ন'টা। এরপরে তিনি দ্রুত হাতে তার গলার আরও বেশ কিছু জায়গা কেটে দেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।

পুলিশ অফিসার বলেন, ‘‘ওই ড্রাইভারকে খুন করার পরে চিকিৎসক তার দেহটা একতলার শৌচাগারে নিয়ে গিয়ে টুকরো টুকরো করে কাটেন। এই পদ্ধতি চলে প্রায় রাত একটা পর্যন্ত। এর পরে তিনি ক্লান্ত হয়ে স্থির করেন বাকি অংশটা পরের দিন ব্যবস্থা করবেন। পরের দিন সকালে তিনি বীরেন্দ্রর জামাকাপড় সরিয়ে ফেলেন। সেগুলো এখনও পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।

দুপুরের দিকে তিনি দেহের টুকরোগুলোকে অ্যাসিডে ডুবিয়ে তথ্য প্রমাণ লোপাটের ব্যবস্থা করেন। কিন্তু তখনই পুলিশ তাকে হাতেনাতে ধরে ফেলে। পুলিশ জানিয়েছে, ওই ডাইভারের দেহের অনেকগুলো টুকরো পাওয়া গিয়েছে। তদন্ত চলছে।

আরও খবর দেখুন এখানে

.