অনেক বলার পরও ছাত্রী রাজি না হওয়ায় প্রশিক্ষক নিজেই তাঁকে ঠেলে ফেলে দেয়।
হাইলাইটস
- মহড়া চলাকালীন তামিলনাড়ুতে কলেজ পড়ুয়ার মৃত্যু
- 'প্রশিক্ষক' ধাক্কা মারায় মাটিতে পড়েন ছাত্রী
- ' প্রশিক্ষক'কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ
কোয়েম্বাটুর: ছাত্রী ঝাঁপ দিতে ভয় পেয়েছিলেন। রাজি না হওয়ায় ' প্রশিক্ষক' নিজেই তাঁকে ঠেলে ফেলে দিলেন। ফল যা হওয়ার তাই হল। তিন তলা থেকে নীচে পড়ে গুরুতরভাবে আহত হন। পরে হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। ঘটনাটি ঘটেছে তামিলনাড়ুর কোয়েম্বাটুরে। জানা গিয়েছে যে ব্যক্তি নিজেকে প্রশিক্ষক বলে দাবি করছে সে আসলে তা নয় । ন্যাশনাল ডিসাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটি বা এনডিএমএ এনডিটিভিকে জানিয়েছে ওই ব্যক্তি তাদের সঙ্গে জড়িত নন এমনকী তাঁর এ সংক্রান্ত প্রশিক্ষণও নেই।
কোয়েম্বাটুরের কালাই মাগাল আর্টস ও সায়েন্স কলেজের বাণিজ্য বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন 19 বছরের লোকেশ্বরী। ওই কলেজে বৃহস্পতিবার এক প্রশিক্ষণ শিবির চলছিল। সেখানে পড়ুয়াদের বিপদ থেকে বাঁচতে বেশ কিছু কৌশল শেখানো হচ্ছিল। তারই অঙ্গ হিসেবে তিলতলা থেকে লোকেশ্বরীকে ঝাঁপ দিতে বলে আরুমুগাম নামে ওই ব্যক্তি। পড়ে যেতে পারেন আশঙ্কা করে রাজি হচ্ছিলেন না লোকেশ্বরী। প্রকাশ্যে এসে পড়া ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে নিজের আপত্তির কথা জানাচ্ছেন ছাত্রী। চোখে মুখের ভয়ের ছাপ। অনেক বলার পরও ছাত্রী রাজি না হওয়ায় প্রশিক্ষক নিজেই তাঁকে ঠেলে ফেলে দেয়। ভিডিয়োতে ধরা পড়েছে সেই বিষয়টি।
নীচে অনেকেই দাঁড়িয়ে ছিলেন। কিন্ত কাজের কাজ হয়নি। মাটিতে পড়ে জখম হন লোকেশ্বরী। প্রথমে তাঁকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্ত তারা চিকিৎসা না করে সরকারি হাসপাতালে রেফার করে । কিছুক্ষন পরে সেখানেই মৃত্যু হয় ছাত্রীর। ওই প্রশিক্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
অপ্রশিক্ষিত এক ব্যক্তি কীভাবে কলেজে গিয়ে প্রশিক্ষণ দিতে শুরু করল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে নানা মহলেই। মৃত ছাত্রীর পরিবারকে পাঁচ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ই পালানিস্বামী। তাছাড়া গোটা ঘটনায় কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।