কংগ্রেস নেতারা বলছেন রাজস্থান জুড়ে প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার হাওয়া রয়েছে।
হাইলাইটস
- আজ রাজস্থান এবং তেলেঙ্গানায় বিধানসভা নির্বাচন
- বিজেপির জন্য ২০০ আসন বিশিষ্ট রাজস্থান বিধানসভায় জেতা একান্ত জরুরি
- পাঁচ বছর বাদে আবার ক্ষমতায় ফেরার স্বপ্ন দেখছে কংগ্রেস
নিউ দিল্লি:
গত দুদশক ধরে একই দলকে পরপর দু’বার ভোটে জেতায়নি রাজস্থান। এই পরিসংখ্যান চাপে রেখেছে মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে সিন্ধিয়াকে। অন্যদিকে পাঁচ বছর বাদে আবার ক্ষমতায় ফেরার স্বপ্ন দেখছে কংগ্রেস। ১১৯ আসনের তেলেঙ্গানা বিধানসভায় লড়াইটা মূলত টিআরএস বনাম কংগ্রেস এবং টিডিপি জোটের। নির্বাচনে জোটের জয় হলে স্বভাবতই লোকসভা নির্বাচনের আগে বিরোধী শিবির নতুন করে অক্সিজেন পাবে।
জানুন ১০টি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
কংগ্রেস নেতারা বলছেন রাজস্থান জুড়ে প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার হাওয়া রয়েছে। নিজেদের বক্তব্যের সমর্থনে তাঁরা গত ফেব্রুয়ারি মাসে হওয়া উপনির্বাচনের প্রসঙ্গ তুলে ধরছেন। সেই নির্বাচনে আজমের এবং আলোয়ার লোকসভার উপনির্বাচনে জয় হয়েছিল কংগ্রেসের। একই সঙ্গে বিজেপির হাত থেকে মণ্ডলগড় বিধানসভাও ছিনিয়ে নিয়েছিল তারা।
শেষবেলায় আরও একবার বিজেপিকে উদ্দেশ করে আক্রমণ শানিয়েছেন কংগ্রেসের হয়ে নির্বাচনের দায়িত্ব পালন করা শচিন পাইলট। তিনি বলেন, বসুন্ধরা রাজে সরকারের ব্যর্থতা মানুষ ভোলেনি তাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বা বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ প্রচার করলেও কিছু হবে না।
বিরোধীদের তোপের মুখে বসুন্ধরা বলেছেন, আমার কোনও অনুতাপ নেই কারণ আমার যা করার ছিল আমি সবই করেছি।
তেলেঙ্গানায় আট মাস ভোট এগিয়ে এনেছেন মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও। বিজেপির দাবি মানুষের উপর আস্থা রাখতে না পেরেই বিধানসভা ভেঙেছেন কেসিআর।
তেলেঙ্গানার ভোটে ২ শতাংশ ভোট-ই নির্ণায়ক হয়ে উঠতে পারে।
১৯৯৩ থেকে শেষ পাঁচটি ভোটে একবার বিজেপি আরেকবার কংগ্রেসকে ভোট দিয়েছে রাজস্থান। আর ২০১৩ সালে বিরাট জয় পান বসুন্ধরা। মোট ২০০ আসনের মধ্যে ১২১টি পেয়েছিল বিজেপি। কংগ্রেসের দখলে ছিল মাত্র ২১টি আসন।
নির্বাচনের আগে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে কাউকে তুলে ধরেনি কংগ্রেস। তবে শেষমেশ কংগ্রেস জিতলে নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা শচিন পাইলট বা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলতের মতো কাউকে তুলে ধরা হতে পারে।
অন্ধ্রপ্রদেশের জন্য বিশেষ আর্থিক মর্যাদা না পেয়ে এনডিএ ছাড়ে টিডিপি। আর তার পর থেকেই বিজেপি বিরোধী জোট গঠনের তৎপরতা শুরু করেছেন টিডিপি প্রধান চন্দ্রবাবু নায়ডু।
তেলেঙ্গানায় ১৩ টি আসনে লড়ছে চন্দ্রবাবুর দল। বাকি গুলিতে প্রার্থী দিয়েছে কংগ্রেস। এখানেও মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে কাউকে তুলে ধরেনি কংগ্রেস।
মধ্যপ্রদেশ, মিজোরাম, ছত্তিশগড়, রাজস্থান এবং তেলেঙ্গেনা বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশিত হবে ১১ ডিসেম্বর।
Post a comment