हिंदी में पढ़ें Read in English
This Article is From May 26, 2019

আজব ঘটনা! নিজের বিয়েতে নিজেই আসেন না বর?

এই তিন গ্রামের তিন দেবতাই ছিলেন অবিবাহিত। তাঁদের সম্মান দেখাতেই বরকে নিজের বিয়েতে যেতে দেন না গ্রামবাসীরা। নিজের ঘরেই রাখেন তাঁকে।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া (with inputs from ANI)

গুজরাতের তিন আদিবাসী গ্রাম সুরখেদা, সানাদা আর আম্বালে নিজের বিয়েতে নিজেই অনুপস্থিত থাকেন বর

গুজরাট:

এমন ঘটনা কোনোদিন দেখেছেন না শুনেছেন! গুজরাতের তিন আদিবাসী গ্রাম সুরখেদা, সানাদা আর আম্বালে নিজের বিয়েতে নিজেই অনুপস্থিত থাকেন বর! বিয়ের আসরে উপস্থিত বরের বোন বা অবিবাহিত যেকোনও মহিলাকেই বর হিসেবে গ্রহণ করে তাঁকে বিয়ে করেন কনে।

এ সময় এই তিন গ্রামের তিন দেবতাই ছিলেন অবিবাহিত। তাঁদের সম্মান দেখাতেই বরকে নিজের বিয়েতে যেতে দেন না গ্রামবাসীরা। বরের বরের সাজে নিজের ঘরেই রাখা হয় তাঁকে।

বিয়ের দিন কিন্তু পাত্র বরের সাজেই সাজেন। মাথায় বাঁধেন সাফা। পরনে শেরওয়ানি। রীতি মেনে তলোয়ারও থাকে তাঁর হাতে। কিন্তু সাজগোজই সার। বরের সাজে গ্রামের পুরনো ঐতিহ্য মেনে ঘরবন্দি তিনি।

Advertisement

শুধু কি তাই? সাজুগুজু করে লক্ষ্মী ছেলের মতো মায়ের কাছে বসে থাকতে হয় তাঁকে। তাঁর বদলে বারাত বা বরযাত্রী নিয়ে যান তাঁর বোন। বা তাঁর বাড়ির যেকোনও অবিবাহিত মহিলা। তিনিই বরের প্রতিনিধি হয়ে বিয়ে করে ঘযরে নিয়ে আসেন নতুন বউকে!

এতটা পড়ে আপনাার চোখ কপালে উঠলেও সুরখেদা গ্রামের বাসিন্দারা কিন্তু হাসিমুখে মেনে নিয়েছেন এই ব্যবস্থা। এই গ্রামেরই বাসিন্দা কাঞ্জিভাই রাঠওয়ার যুক্তি, এই প্রথা আমাদের গ্রামের অনেক পুরনো প্রথা। রীতি মেনে বরের বোন নববধূকে নিয়ে সাতপাক ঘোরেন।

Advertisement

গ্রামের মুখিয়া রামসিং ভাই রাঠোয়ার কথায়, প্রাচীন কাল থেকে আমাদের এই তিন গ্রামে চলে আসছে এই রীতি। যখনই এই রীতি কেউ ভাঙতে গেছেন চরম ক্ষতি হয়েছে তাঁর। তাই ভয়ে এই রীতি ভাঙার চেষ্টাই আর কেউ করেন না।

তিনি আরও জানান, অনেক বারই এই নিয়ম মানতে মানতে বিরক্ত হয়েছেন অনেকে। জোর করে নতুন নিয়ম চালু করতে গেছেন তাঁরা। ফল কিন্তু খুব খারাপ হয়েছে। পুরনো নিয়ম না মানায় হয় তাঁদের বিয়ে ভেঙে গেছে। নয়তো অন্য কোনও বিপদ এসেছে তাঁদের জীবনে।

Advertisement

Advertisement