This Article is From Feb 07, 2020

আবারও রাহুল গান্ধির 'ডাণ্ডা' মন্তব্য তুলে ধরলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, “ কেউ মা এবং দেশের বোনদের সুরক্ষায় থাকলে তার ক্ষতি করা যায় না”

বোড়ো অধিগ্রহণ নিয়ে এদিন অসমে সভায় বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

নয়াদিল্লি: এই নিয়ে দুদিনে দ্বিতীয়বার রাহুল গান্ধির “তাঁকে ডাণ্ডা দিয়ে মারা” মন্তব্য তুলে ধরলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এবার অসমের জন সমাবেশে এই মন্তব্য করলেন তিনি। বৃহস্পতিবার দিল্লি নির্বাচনের প্রচারে কংগ্রেস সাংসদের মন্তব্যের প্রসঙ্গ তুলে ধরে জবাবি ভাষণ দিয়েছিলেন সংসদে। কোকরাঝাড়ের সভায় শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, “একটা সময়ে, কিছু নেতা আমায় লাঠি দিয়ে মারার কথা বলত., তবে আমি ভারতের সমস্ত মায়েদের আশীর্বাদে নিজেকে বাঁচিয়েছি। আমি আপনাদের শ্রদ্ধা এবং সম্মান জানাই। আমি এখানে সকল আসামবাসীর বিশ্বাস তৈরির জন্য হাজির হয়েছি”।

এখানে রইল ১০'টি তথ্য:

  1. শুক্রবার সংসদে ব্যাপক হট্টগোল হয়, সরব হন বিরোধী সাংসদরা। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হর্ষ বর্ধন অভিযোগ করেন, “সংসদে আমার আসনে বসতে এসেছিলেন কংগ্রেস সাংসদরা, আমার ওপর হামলা চালানোর চেষ্টা করেন এবং আমার কাগজপত্র কেড়ে নেন”, পাশাপাশি লোকসভায় রাহুল গান্ধির মন্তব্য তুলে ধরে তাঁর ক্ষমা চাওয়ার দাবি তোলেন তিনি।
     

  2. সভার কাজ মুলতুবি করে দিতে বাধ্য হন অধ্যক্ষ। আবারও সংসদ শুরু হলে ফের হট্টোগোল শুরু হয়, আবারও মুলতুবি হয়ে যায় সভার কাজ।
     

  3. সাংবাদিকদের রাহুল গান্ধি বলেন, “বিজেপি অবশ্যই আমি সংসদে কথা বলি তা চায় না। ফলে সম্পূর্ণ অসংসদীয়ভাবে আমি বাইরে যা বলেছি, তা সংসদে তুলে ধরেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী, যাতে তার কোনও কাজ নেই। আমি মনে করি, মূল ব্যপারটা হল আমাদের কণ্ঠরোধ করা। আমাদের সংসদে বলতে না দেওয়া”।
     

  4. বৃহস্পতিবার, রাহুল গান্ধির মন্তব্য তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী  মোদি, এবং মজা করে বলেন, তাঁকে “হারাতে” আরও বেশী করে সূর্য প্রমাণ করবেন।
     

  5. রাহুল গান্ধির অভিযোগ, “প্রধানমন্ত্রী একজন প্রধানমন্ত্রীর মতো আচরণ করেন না”। সংসদের বাইরে শুক্রবার তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “সাধারণভাবে, প্রধানমন্ত্রীর একটা আলাদা ঐহিত্য আছে, তাঁর আচরণের আলাদা দিক রয়েছে, আলাদা উচ্চতা রয়েছে, আমাদের প্রধানমন্ত্রীর সেইসব নেই। তিনি প্রধানমন্ত্রীর মতো আচরণ করেন না”।
     

  6. শান্তি চুক্তির জন্য অসমে বোড়োদের অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী মোদি। তিনি বলেন, “সমগ্র ভারতবাসী আপনাদের সঙ্গে উৎযাপন করছে”। ২৭ জানুয়ারি বোড়োদের সঙ্গে অস্ত্র ফেলে দেওয়ার চুক্তি হয়।
     

  7. প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, “এর আগের সরকার যেভাবে উত্তর পূর্বের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছিল, তা খুবই অসন্তোষজন ছিল। সমস্ত পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাওয়ার পর, তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছিল, তবে স্থায়ী সমাধানের চেষ্টা করেনি”।
     

  8. নরেন্দ্র মোদি বলেন, “স্থায়ী সমাধানের জন্য আমাদের সরকার কঠোর সিদ্ধান্ত নেয়। একটা সময় ছিল যখন, দিল্লির জন্য, উত্তর পূর্ব ছিল দুর্গম এলাকা...আজ, দিল্লি আপনাদের দোরগোড়ায়”।
     

  9. বোড়ো চুক্তি অনুসারে, এলাকার নাম হবে বোড়ো ল্যান্ড টেরিটোরিয়াল রিজিয়ন এবং অসমের পার্বত্য এলাকায় বসবাসকারী বোড়োদের জন্য ফাস্ট-ট্র্যাক পার্বত্য উপজাতি স্ট্যাটাস দেবে। বোড়োদের ভাষা, দেবনাগরী অসমের সহকারী সরকারি ভাষা হবে।
     

  10. স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, “চুক্তি কার্যকর করতে আমরা কোনও কসুর করব না...সময়মতো সব প্রতিশ্রুতি পূরণ করা হবে”।



Post a comment
.