লরি চালক পালিয়ে গেলেও লরিটিকে আটকাতে পেরেছে পুলিশ
রায় বরেলি: উন্নাও গণধর্ষণ কাণ্ডের (Unnao rape case) নিগৃহীতা এবং তার পরিবার উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) রায়বরেলি জেলায় একটি দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন। ওই গণধর্ষণ কাণ্ডে নাম জড়ায় কুলদীপ সেঙ্গার (Kuldeep Sengar) নামে এক বিজেপি (BJP) বিধায়কের । পুলিশ জানিয়েছে, ওই নিগৃহীতা এবং তাঁর পরিবার তাঁর কাকার সঙ্গে রায়বরেলির জেলা কারাগারে দেখা করতে যাচ্ছিলেন, ভারী বৃষ্টি চলাকালীন তাঁদের গাড়িটি একটি লরির মুখোমুখি হলে ঘটে ওই দুর্ঘটনা। জানা গেছে, ওই দুর্ঘটনায় গুরুতর ভাবে আহত হয়েছে ওই নিগৃহীতা মেয়েটি। পাশাপাশি মেয়েটির সঙ্গে গাড়িতে থাকা তাঁর কাকিমা সহ দুই মহিলা মারা যান। উন্নাও গণধর্ষণ কাণ্ডে নিগৃহীতা ওই মেয়েটির আইনজীবীও একই গাড়িতে ছিলেন বলে জানা গেছে। গাড়ি দুর্ঘটনার ফলে তিনিও আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বলে জানিয়েছেন আইনজীবীর জুনিয়র বিমল কুমার যাদব।
ভয়ঙ্কর! ধর্ষণের পর ইঁট দিয়ে মাথা থেঁতলে খুন ১১ বছরের নাবালিকা
রবিবার বেলা ১টা নাগাদ ওই দুর্ঘটনাটি ঘটে । জানা গেছে উন্নাওয়ের বাসিন্দা ওই মেয়েটি এবং তাঁর পরিবার একসঙ্গে গাড়িতে করে রায় বরেলির জেলে থাকা কাকার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যাচ্ছিল। অন্য একটি মামলায় তিনি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্ত হয়ে ওই জেলে রয়েছেন। সেই সময় যে রাস্তা দিয়ে গাড়িটি যাচ্ছিল সেখানে প্রচণ্ড বৃষ্টি হচ্ছিল। তখনই একটি চলন্ত লরি এসে সজোরে ধাক্কা দেয় তাঁদের গাড়িটিকে। ওই ঘাতক লরিটির নাম্বার প্লেট কালো রঙ করা ছিল।
জেলা পুলিশ প্রধান সুনীল কুমার সিং জানিয়েছেন, "রায় বরেলির সঙ্গে ফতেহপুর জেলার সঙ্গে সংযোগকারী রাস্তায় ওই দুর্ঘটনাটি ঘটে। গাড়িতে থাকা চারজনই গুরুতর আহত হন।" "তাঁদের স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ... এই দুর্ঘটনার ধরণ দেখে প্রাথমিকভাবে কোন ষড়যন্ত্র বলে মনে হচ্ছে না," বলেন তিনি।
"ধর্ষণের ঘটনার পরে নিগৃহীতা এবং তাঁর পরিবারকে সুরক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। নিরাপত্তা রক্ষীরা সব জায়গায় ওই নিগৃহীতাকে অনুসরণ করতেন। কিন্তু আমাদের কাছে তথ্য এসেছে যে আজ (রবিবার) ওই নিরাপত্তা রক্ষীরা তাঁদের সঙ্গে ছিলেন না, মনে করা হচ্ছে তাঁরা যে কোনও কারণেই হোক নিজেদের সঙ্গে আজ(রবিবার) নিরাপত্তা রক্ষীদের যেতে বারণ করেছিলেন। কিন্তু কেন ওই নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁদের সঙ্গে যাননি সে বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে" , জানান পুলিশ আধিকারিক এমপি বর্মা।
কাঠুয়া কাণ্ডে আট জনের মধ্যে তিনজনকে যাব্বজীবনের সাজা দিল আদালত, ১০টি পয়েন্ট
২০১৭ সালে ওই মেয়েটিকে ধর্ষণের অভিযোগে প্রায় একবছরের বেশি সময় ধরে জেলে রয়েছেন বিজেপি বিধায়ক কুলদীপ সেঙ্গার (Kuldeep Sengar) । নিগৃহীতা অভিযোগ করে যে চাকরির জন্য নিজের আত্মীয়ের সঙ্গে ওই বিধায়কের উন্নাওয়ের বাড়িতে গেলে তিনি তাঁকে ধর্ষণ করেন।
ওই বিধায়ককের (Kuldeep Sengar) বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হয়েছে সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে, যারা এই মামলার তদন্ত করছে। সিবিআই আদালতকে জানিয়েছে যে ওই বিজেপি (BJP) বিধায়ক ২০১৭ সালের ৪ জুন রাত ৮ টা নাগাদ ওই মেয়েটিকে ধর্ষণ করে।