Read in English
This Article is From Jan 30, 2020

"কোনও প্রমাণ নেই": CAA বিক্ষোভকারীদের জামিন, উত্তরপ্রদেশ পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন!

CAA Proteste: দিল্লি থেকে ১৬১ কিলোমিটার দূরে বিজনৌরে সিএএ-বিক্ষোভ ঘিরে ব্যাপক হানাহানির ঘটনা ঘটে, ২০ ডিসেম্বর বিক্ষোভ চলাকালীন মারা যান ২ জন

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by

CAA: গত ডিসেম্বরে উত্তরপ্রদেশে বিক্ষোভ ঘিরে ব্যাপক হিংসা ছড়ায়

Highlights

  • প্রমাণের অভাবে উত্তরপ্রদেশে জামিনে মুক্ত ৪৮ জন সিএএ-বিক্ষোভকারী
  • তাঁদের জামিন দিল স্থানীয় আদালত
  • গোটা দেশের মতো সিএএ-র বিরোধিতায় বিক্ষোভে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে উত্তরপ্রদেশও
বিজনৌর:

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (CAA) বিরুদ্ধে সহিংস বিক্ষোভের অভিযোগে গত মাসে হিংসা এবং হত্যার চেষ্টার অভিযোগে ৪৮ জনকে গ্রেফতার করেছিল উত্তরপ্রদেশ (Uttar Pradesh) পুলিশ। যথাযথ প্রমাণের অভাবে এবার সেই অভিযুক্তদেরই জামিন দিল পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের বিজনৌরের (Bijnor) একটি আদালত। দিল্লি থেকে ১৬১ কিলোমিটার দূরে বিজনৌরে সিএএ-বিক্ষোভ ঘিরে ব্যাপক হানাহানির ঘটনা ঘটে, ২০ ডিসেম্বর ওই বিক্ষোভ চলাকালীন মারা যান ২ জন। সেই সময় উত্তরপ্রদেশ পুলিশের তরফে স্বীকার করা হয় যে দুই ব্যক্তির মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছিল পুলিশের গুলিতে। উত্তরপ্রদেশে পুলিশের গুলিতে মৃত্যুর ঘটনার সেটাই ছিল একমাত্র স্বীকারোক্তি।

বিজনৌরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সহিংসতার ঘটনা ঘটে নাগিনা নামের একটি শহরে, অভিযোগ ২০ ডিসেম্বর শুক্রবার, নমাজ পাঠের পর সহিংস সংঘর্ষ হয় সেখানে, ওই ঘটনায় সেই সময় পুলিশ মোট ৮৩ জনকে গ্রেফতার করে। এফআইআরে স্থানীয় পুলিশ জানায় যে নমাজের পরে হাজার হাজার জনতা, বিনা প্ররোচনায় বহু যানবাহন ও দোকানে ভাঙচুর চালায়, নষ্ট করে সরকারি সম্পত্তিও। সেখানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ গেলে তাঁদের লক্ষ্য করে পাথর ও গুলি ছোঁড়ে বিক্ষোভকারীরা।

উত্তরপ্রদেশে শান্তি ফেরাতে পুলিশের নোটিশ, বাদ গেলেন না মৃত মানুষ, নব্বই পেরোনো বৃদ্ধও

Advertisement

কিন্তু ওই মামলার শুনানি চলাকালীন গ্রেফতার হওয়া ৮৩ জন বিক্ষোভকারীর মধ্যে ৪৮ জনেরই জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন স্থানীয় আদালতের বিচারক।  জামিনের আদেশে বিচারক বলেন, "পুলিশি এফআইআরে দাবি করা হয়েছে যে উত্তেজিত জনতা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছিল, কিন্তু তার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ কোনও অস্ত্র বাজেয়াপ্ত করার প্রমাণ আদালতে দেখাতে পারেনি। পাশাপাশি সরকারি আইনজীবীরাও আদালতে এ বিষয়ে কোনও প্রমাণ উপস্থাপন করতে ব্যর্থ হয়েছেন। জনতার একটি অংশ যে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছিল তার কোনও যথাযথ প্রমাণ মেলেনি"।

"এই মামলায় পুলিশের করা এফআইআর দাবি করেছে যে জনতা ব্যক্তিগত ও সরকারি যানবাহন ভাঙচুর করে এবং দোকানগুলিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। তবে কোনও প্রাইভেট গাড়ি বা দোকান ভাঙচুর করা হয়েছে এমন কোনও প্রমাণ আদালতে পেশ করা হয়নি। যদিও একটি সরকারি গাড়ির ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে পুলিশি রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে, কিন্তু দেখা গেছে যে ওই রিপোর্টটি সহিংসতা হওয়ার কমপক্ষে ২০ দিন পরে তৈরি করা হয়েছিল। সরকারি আইনজীবীরা বলছেন যে এই ঘটনায় ১৩ জন পুলিশ কর্মী আহত হয়েছেন, তবে তাঁদের মেডিকেল রিপোর্টে দেখা গেছে যে এই আঘাতগুলি খুবই অল্প", বলেন বিচারক।

Advertisement

আলিগড়ে সিএএ-বিরোধী মিছিলে বিতর্কিত মন্তব্য়ের অভিযোগে গ্রেফতার ডঃ Kafeel Khan

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন অনুযায়ী, ২০১৫ সালের আগে আফগানিস্তান, বাংলাদেশ, পাকিস্তান থেকে এদেশে আসা অমুসলিম শরণার্থীরা ভারতের নাগরিকত্ব পাওয়ার আবেদন করতে পারবেন। সমালোচকদের দাবি, এই আইন বৈষম্যমূলক এবং সংবিধানে বর্ণিত দেশের ধর্মনিরপেক্ষ ভাবমূর্তির পরিপন্থী। এরই বিরোধিতায় উত্তরপ্রদেশে আছড়ে পড়ে বিক্ষোভের ঝড়।

Advertisement