This Article is From Sep 02, 2019

আক্রান্ত অর্জুন সিং, ব্যারাকপুরে বিজেপির ডাকা ১২ঘণ্টার বনধে নাজেহাল মানুষ

Barrackpore Bandh: রবিবারের সংঘর্ষে মাথা ফাটে বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংয়ের। পুলিশের বিরুদ্ধে লাঠিচার্জের অভিযোগ ওঠে । এই ঘটনার প্রতিবাদেই এই বনধ পালন।

আক্রান্ত অর্জুন সিং, ব্যারাকপুরে বিজেপির ডাকা ১২ঘণ্টার বনধে নাজেহাল মানুষ

Barrackpore Bandh: রবিবারের সংঘর্ষে মাথা ফাটল অর্জুন সিংয়ের, প্রতিবাদে সোমবার এলাকায় বনধ পালন বিজেপির।

কলকাতা:

আজ অর্থাৎ সোমবার বিজেপির ডাকা ১২ ঘণ্টার বনধে (Barrackpore Bandh) অবরুদ্ধ হয়ে পড়ল কাঁকিনাড়া  (Kankinara) সহ ব্যারাকপুরের বেশ কিছু অঞ্চল। গতকালই (রবিবার) বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষে ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কাঁকিনাড়া, শ্যামনগর সহ ব্যারাকপুর অঞ্চল। মাথা ফেটে যায় স্থানীয় সাংসদ অর্জুন সিংয়ের (Arjun Singh), হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। এরপরেই এই ঘটনার প্রতিবাদে আজ (সোমবার) ব্যারাকপুর এলাকায় ১২ ঘণ্টা বন্ধের ডাক দেয় বিজেপি । সাংসদ অর্জুন সিং দাবি করেন যে ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার নিজেই তাঁকে লাঠি দিয়ে আঘাত করায় মাথা ফেটে যায় তাঁর। যদিও পুলিশ এবং শাসক দল তৃণমূলের পক্ষ থেকে ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদের এই দাবি প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। উল্টে তাঁরা বলে যে অর্জুন সিংয়ের নিজের দল বিজেপিরই ছোঁড়া পাথরের আঘাতে আহত হয়েছেন তিনি।

রক্তাক্ত অর্জুন সিং, পুলিশের বিরুদ্ধে লাঠিচার্জের অভিযোগ, উত্তপ্ত শ্যামনগর

তবে ঘটনা যাই-ই হোক না কেন, এর প্রতিবাদেই ব্যারাকপুর সংলগ্ন এলাকায় ১২ ঘণ্টার বনধের ডাক দেয় রাজ্য বিজেপি।আজ (সোমবার) সকাল ৬টয় একটি মিছিল করে কাঁকিনাড়ার ট্রেন অবরোধ করে বিজেপি কর্মী সদস্যরা। প্রায় ৩০ মিনিট চলে এই অবরোধ, নাজেহাল হতে হয় নিত্যযাত্রীদের।  শুধু রেল অবরোধই নয়, বনধ সমর্থকরা বিভিন্ন স্থানে বিক্ষিপ্তভাবে রাস্তা অবরোধও করে। 

এই অঞ্চলে কয়েকটি জুটমিল রয়েছে। এই বনধের ফলে সেখানে অপেক্ষাকৃত কম শ্রমিক কাজে যোগ দিতে পারায় জুটমিলের স্বাভাবিক কাজ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। জুটমিলের বাইরে বেশ কয়েকজন শ্রমিকও এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখান।

ফের উত্তপ্ত ভাটপাড়া, বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংয়ের বাড়ি লক্ষ্য করে বোমা

রবিবার থেকেই থমথমে ব্যারাকপুর সহ গোটা এলাকা। বিজেপি বনধ ডাকলেও বসে নেই তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরাও।তাঁরাও এই বনধের বিরোধিতা করে বিভিন্ন জায়গায় ছোট ছোট মিছিল করছে।

গতকাল (রবিবার) তৃণমূল লোকসভা নির্বাচনের পরে বিজেপি তাঁদের যে দলীয় কার্যালয়গুলি দখল করে, সেগুলিকেই পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করায় শাসক-বিরোধী সংঘর্ষ শুরু হয়। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা এলাকা।

.